মাদক দিয়ে ফাঁসানো পুলিশসহ তিনজন কারাগারে

আগের সংবাদ

বাণিজ্যিক জাগরণের সম্ভাবনা > উত্তর-পূর্বের দুয়ার খুলছে : কানেক্টিভিটিতে গুরুত্ব বাংলাদেশ ও ভারতের

পরের সংবাদ

সুন্দরবন উপকূল সুরক্ষা : ‘একটি বাড়ি একটি শেল্টার হোম’ প্রকল্প দাবি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের আদলে সুন্দরবন উপকূলে ‘একটি বাড়ি একটি শেল্টার হোম’ প্রকল্প নেয়ার দাবি জানিয়েছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। তারা বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবে উপকূলীয় জনজীবনে সংকট প্রতিনিয়ত বাড়ছে। সিডর, আইলা ও আম্ফানের মতো সুপার সাইক্লোন এই সংকট আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। তা মোকাবিলায় নতুন আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণের পাশাপাশি উপকূলের সব বাড়িকে আশ্রয়কেন্দ্রে পরিণত করার দাবি জানান তারা।
গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বেসরকারি সংস্থা ‘লিডার্স’ এবং নাগরিক সংগঠন সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশে এই দাবি জানানো হয়। সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্রের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নৌ সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, স্ক্যান সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মুকুল, ওয়াটারকিপারস বাংলাদেশের প্রতিনিধি মো. নূর আলম শেখ, সচেতন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সাকিলা পারভীন, লিডার্সের কর্মসূচি ব্যবস্থাপক মো. ইকবাল ফারুক, ফেইথ ইন একশনের কর্মসূচি সমন্বয়কারী তীমন বাড়ুই, সমাজ কল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থার (স্কাস) এস এম মামুন, শহীদ আলীম সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক সানজিদুল হাসান প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভৌগলিক অবস্থান, ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ভঙ্গুর অবকাঠামো, দারিদ্র্য, দীর্ঘমেয়াদি লবণাক্ততা, সংকটাপন্ন কৃষি ইত্যাদির কারণে উপকূলীয় এলাকার মধ্যে সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। ওই অঞ্চলের মানুষ বাঁচার স্বপ্ন হারিয়ে ফেলছে। ওই এলাকাকে বিশেষ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা বা জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা নিতে হবে। উপকূলের ঘরবাড়িগুলো দুর্যোগ সহনশীল করে গড়ে তুলতে হবে। এজন্য বিশেষ প্রকল্প নিয়ে সেই প্রকল্পের মাধ্যমে দুর্যোগ সহনশীল মজবুত ঘর তৈরিতে সাধারণ মানুষকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে হবে।
বক্তারা বলেন, আগামীতে সরকারের প্রকল্প নেয়ার ক্ষেত্রে দুর্যোগের ঝুঁকিতে থাকা উপকূলের মানুষের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ নির্মাণ করতে হবে। বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণে জরুরি তহবিল গঠন ও বাঁধ ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় সরকারকে সম্পৃক্ত করা এবং সুপেয় পানির স্থায়ী সমাধান করতে হবে। কপোতাক্ষসহ উপকূলের নদ-নদীগুলো ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে স্বাভাবিক জোয়ার-ভাটা নিশ্চিত করতে হবে। টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ প্রকল্পসহ সুন্দরবন উপকূলে নেয়া সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তারা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়