মাদক দিয়ে ফাঁসানো পুলিশসহ তিনজন কারাগারে

আগের সংবাদ

বাণিজ্যিক জাগরণের সম্ভাবনা > উত্তর-পূর্বের দুয়ার খুলছে : কানেক্টিভিটিতে গুরুত্ব বাংলাদেশ ও ভারতের

পরের সংবাদ

পুলিশসহ আট ডাকাত গ্রেপ্তার : কেরানীগঞ্জে ৯৮ ভরি স্বর্ণ লুট

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : কেরানীগঞ্জ থেকে ৯৮ ভরি ওজনের ৮ পিছ স্বর্ণের বার ডাকাতি মামলার ঘটনায় এক পুলিশ সদস্যসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- লালবাগ থানায় কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল মো. কামরুজ্জামান (৪২), শফিকুল ইসলাম ওরফে সুমন (৩৮), মো. রহমান (৩২), উত্তম মজুমদার (৩৬), জাকির হোসেন (৩৮), মো. শরীফ (৩৬), আনন্দ পাল (২৭) ও নাহিদা নাহার (৩২)। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকাসহ ঢাকা জেলার আশুলিয়া, সাভার ও খুলনা জেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। পুলিশ সদস্যসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গতকাল রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) আসাদুজ্জামান বলেন, গত ২ সেপ্টেম্বর সিংগাইর থানার গোবিন্দল জামটি বাজারের সোলাইমান জুয়েলার্সের মালিক মো. হাবু মিয়া গহনা তৈরির জন্য ৯৮ ভরি স্বর্ণ দিয়ে তার দোকানের বিশ্বস্ত কর্মচারী বরুণ ঘোষকে তাঁতীবাজারের স্বর্ণের দোকানে পাঠান। তবে ওই স্বর্ণের দোকান বন্ধ পাওয়ায় ফেরার পথে কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন জনি টাওয়ার সংলগ্ন সাজেদা হাসপাতালের গলির রাস্তায় পৌঁছালে পুলিশ পরিচয়ে পোশাক পরিহিত কয়েকজন লোক তার কাছে অবৈধ মালামাল আছে বলে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে নেয়।
তিনি বলেন, গাড়িতে তুলেই বরুণের চোখমুখ বেঁধে মারতে শুরু করে। একপর্যায়ে তার কাছে থাকা ৮টি স্বর্ণের বার ও নগদ ৩ হাজার টাকা কেড়ে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন ঝিলমিল এলাকার ফাঁকা স্থানে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে দোকান মালিক হাবু মিয়া বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেন।
তিনি বলেন, তদন্তের শুরুতে কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে ও তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রকে শনাক্তের চেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার একটি দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ওই ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় ডাকাতের দেয়া তথ্যমতে লুণ্ঠিত ৫১ ভরি ৬ রতি স্বর্ণ ও তা বিক্রয়ের ১৫ লাখ টাকা এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি উদ্ধার করে।
এসপি আসাদুজ্জামান বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বর্ণ ডাকাতির কথা স্বীকার করেছেন। তারা একটি সংঘবদ্ধ আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের সক্রিয় সদস্য। পুলিশ পরিচয়ে ঢাকা ও এর আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত স্বর্ণ ও টাকাপয়সা ডাকাতি করে থাকে। ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়