খন্দকার মোশাররফ : বিএনপিকে নির্যাতন করে দমিয়ে রাখা যাবে না

আগের সংবাদ

দুই সংকটে তৈরি পোশাক খাত : সংকট কাটলে ৮ বছরে পোশাক খাতে রপ্তানি আয় ১০০ বিলিয়ন ডলারের আশা

পরের সংবাদ

মির্জা ফখরুলের হুঁশিয়ারি : জনগণকে প্রতিপক্ষ বানালে পরিণতি শুভ হবে না

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : জনগণকে প্রতিপক্ষ বানালে এর পরিণতি শুভ হবে না বলে প্রশাসনের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, প্রশাসনকে খুব স্পষ্টভাবে বলতে চাই, জনগণকে প্রতিপক্ষ বানাবেন না। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় আপনাদের বেতন চলে, সংসার চলে। সুতরাং জনগণকে সম্মান করুন। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেবেন না।
গতকাল রবিবার বিকালে রাজধানীর উত্তরায় জ্বালানি তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং পুলিশের গুলিতে ভোলায় নুরে আলম, আব্দুর রহিম ও নারায়ণগঞ্জে শাওন প্রধান হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
উত্তরার পওয়েল কনভেনশন সড়কে বিএনপি মহানগর উত্তর পূর্ব জোনের উদ্যোগে এই সমাবেশ হয়। গত শনিবার থেকে রাজধানীতে শুরু হওয়া ১৪ দিনের ঘোষিত কর্মসূচির এটি দ্বিতীয় সমাবেশ। মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম।
প্রশাসনের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব আরো বলেন, বেআইনি নির্দেশ নিয়ে কথায় কথায় গুলি করবেন না।
আজকে র‌্যাবের ওপরে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। তেমনি যে কোনো বাহিনীর ওপরেও স্যানশন আসতে পারে। উত্তরায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে সদস্যদের হাতে গুম হওয়া ছাত্র দলের সাজেদুল ইসলাম মুন্না ও ঝন্টু হোসেনের পরিবারের কান্নার কথাও তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব।
ফখরুল বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, তেল, সার, পেট্রোল-ডিজেল-কেরোসিনের মূল্য কমানোর জন্য আন্দোলন করছি।
আমাদের ভাই ভোলায় নুরে আলম, আব্দুর রহিম ও নারায়ণগঞ্জের শওকত প্রধানকে যে হত্যা করা হয়েছে তার বিচার করার জন্য আমরা আন্দোলন করছি। দেশের মানুষ গর্জে উঠেছে। নুরে আলমরা প্রাণ দিতে দ্বিধা করে নাই। আজকে আমি ঘোষণা করতে চাই, আমরা কেউ প্রাণ দিতে দ্বিধা করবো না।
নতুন ইসি ছাড়া কোনো নির্বাচন নয় জানিয়ে ফখরুল বলেন, আমাদের দাবি একটাই- এই দেশে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনা। গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে এই মুহূর্তে সংসদ বাতিল করতে হবে এবং সরকারকে পদত্যাগ করে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে সব দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য একটা নির্বাচন চাই।
এদেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে, এটাই আমাদের লক্ষ্য। এ সময় সারাদেশে বিএনপির প্রায় ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, গায়েবি মামলা দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির মহাসচিব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়