একদিনে ২৭৮ করোনা রোগী শনাক্ত

আগের সংবাদ

দেশীয় কয়লা উত্তোলনে গুরুত্ব : বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে নীতি ও পরিবেশ, বিশ্বে কয়লার ব্যবহার বেড়েছে

পরের সংবাদ

যমুনা সার কারখানা : ৪৮৬ শ্রমিক পুনর্নিয়োগ দাবিতে ফের বিক্ষোভ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মোস্তাক আহমেদ মনির, সরিষাবাড়ী (জামালপুর) থেকে : জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার তারাকান্দিতে অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ ও একমাত্র দানাদার ইউরিয়া উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা সার কারখানার (জেএফসিএল) ৪৮৬ জন শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে ও তাদের পুনর্নিয়োগের দাবিতে দ্বিতীয়দিনের মতো বিক্ষোভ হয়েছে।
গতকাল শনিবার সকালে কারখানা এলাকার প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল শেষে তারা প্রধান ফটকে অবস্থান ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা চাকরি ফেরত পেতে দুদিনের আল্টিমেটাম দেন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কারখানা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল, অবস্থান ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
জেএফসিএল সূত্র জানায়, বাংলাদেশ রাসায়নিক শিল্প সংস্থার (বিসিআইসি) নিয়ন্ত্রণাধীন কেপিআই-১ মানের যমুনা সার কারখানায় ১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দৈনিক হাজিরাভিত্তিক শ্রমিক নিয়োগ করা হয়। দরপত্র আহ্বান করে নির্বাচিত ঠিকাদারের মাধ্যমে দুই বছরের জন্য এসব শ্রমিক নিয়োগ দেয়া হয়।
সর্বশেষ সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এমপির প্রতিনিধি সাখাওয়াত আলম মুকুলের মালিকানাধীন মেসার্স জান্নাত এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে ৪৮৬ জন শ্রমিক নিয়োজিত হয়ে কর্মরত ছিল। তাদের মেয়াদকাল শেষ হয়ে যাওয়ায় ১ সেপ্টেম্বর থেকে সব শ্রমিককে কারখানায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয় কর্তৃপক্ষ।
এর প্রতিবাদে গতকাল শনিবার সকালে শ্রমিকরা কারখানা এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রধান ফটকে সমাবেশ করেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা দাবি করেন, মামলায় শ্রমিক নিয়োগে বাধা না থাকলেও বিধিবহির্ভূতভাবে কর্তৃপক্ষ নিজেদের পছন্দমতো লোকজন নিয়োগের পাঁয়তারা করছে। অস্থায়ী ভিত্তিতে ঠিকাদার নিয়োগ ও ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের পুনরায় কাজের সুযোগ দিতে তারা দুদিনের আল্টিমেটাম দেন। অন্যথায় বৃহত্তর কর্মসূচি দেয়া হবে বলে জানান।
সমাবেশে শ্রমিকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন পোগলদিঘা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম মানিক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল হক, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আল মামুন প্রমুখ।
ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম মানিক বলেন, শ্রমিকদের দাবি যৌক্তিক। বিষয়টির দ্রুত সমাধান না হলে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।
এ ব্যাপারে কারখানার ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) দেলোয়ার হোসেন মুঠোফোনে জানান, চুক্তিভিত্তিক ৪৮৬ জন শ্রমিকের মধ্যে ১৯৩ জনের নিয়োগ বিধি মোতাবেক আগেই বাতিল হয়েছে। বাকি ২৯৩ জনের মেয়াদকাল গত ৩১ আগস্ট শেষ হয়। নতুন ঠিকাদার নিযুক্ত করতে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল, কিন্তু কর্মরত ঠিকাদারের মামলার কারণে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় নতুন শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ আছে।
সরিষাবাড়ী থানার ওসি মুহাম্মদ মহব্বত কবীর জানান, শান্তিপূর্ণভাবে শ্রমিকরা কর্মসূচি পালন করেন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়