৪ বোন চুরি করেই পালাত অন্য জেলায়

আগের সংবাদ

সফরে প্রাপ্তির পাল্লাই ভারী

পরের সংবাদ

ভাড়াভিত্তিক ৪ বিদ্যুকেন্দ্রের মেয়াদ বাড়াল সরকার

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ভাড়াভিত্তিক (কুইক রেন্টাল) চারটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ দুই বছর করে বাড়িয়েছে সরকার। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রের মোট উৎপাদন ক্ষমতা ৩০০ মেগাওয়াট। গতকাল বুধবার সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল চিকিৎসার জন্য বিদেশে থাকায় কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মধ্যে ঢাকার কেরানীগঞ্জে অবস্থিত পাওয়ার প্যাক লিমিটেড ও চট্টগ্রামের অ্যাক্রন ইনফ্রাস্ট্রাকচার সার্ভিসেসের উৎপাদন ক্ষমতা ১০০ মেগাওয়াট করে। রাজশাহীর নর্দার্ন পাওয়ার সলিউশন ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিনহা পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৫০ মেগাওয়াট করে।
জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুতের ঘাটতি মেটাতে সরকার ২০১০ সালে ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুকেন্দ্র চালানোর বিশেষ আইন পাস করে। এ ধরনের বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ পাঁচ বছর বাড়াতে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে নতুন আইন করা হয়।
ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন নিরুৎসাহিত করা হলেও বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মেয়াদ বাড়ল কোন যুক্তিতে, এ বিষয়ে বৈঠকের সভাপতি কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের কিছু জানাননি। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুল বারিক সাধারণত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করে থাকেন। তিনিও আজ তা করেননি।
এ বিষয়ে আবদুল বারিক বলেন, ‘আমি নির্দেশিত হইনি।’ বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বাড়ানোর কারণ জানতে চাইলে আবদুল বারিক বলেন, ‘যতটুকু জেনেছি, বিদ্যুৎ না দিলে টাকা পাবেন না। এ ভিত্তিতে মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে মিয়ানমার থেকে দুই লাখ টন আতপ চাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে ক্রয় কমিটিতে। প্রতি টন চালের দাম পড়বে ৪৬৫ ডলার। তবে বাজারদরের চেয়ে বেশি দামে কেনা হচ্ছে কিনা, তা জানতে চাওয়ার সুযোগ পাওয়া যায়নি।
ক্রয় কমিটির গত ৩১ আগস্টের বৈঠকে রাশিয়া থেকে ৫ লাখ টন গম এবং ভারত ও ভিয়েতনাম থেকে আতপ ও সিদ্ধ মিলিয়ে ৩ লাখ ৩০ হাজার টন চাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। খাদ্য মন্ত্রণালয় অবশ্য রাশিয়ার কাছ থেকে গম আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় তারও এক সপ্তাহ আগে ২৪ আগস্ট।
ওই দিন রাশিয়ার গমের দর ছিল প্রতি টন ৩৩০ ডলার। তবে বাংলাদেশের বন্দরে পৌঁছাতে প্রতি টনের দাম দাঁড়াবে ৩৮৭ ডলারে। বাড়তি দরে গম আমদানি করায় এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়