৪ বোন চুরি করেই পালাত অন্য জেলায়

আগের সংবাদ

সফরে প্রাপ্তির পাল্লাই ভারী

পরের সংবাদ

‘দ্বিধার মাঝে শিল্পের উন্নয়ন হয় না’

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মীর সাব্বির। একাধারে অভিনেতা, চিত্রনাট্যকার, গীতিকার, নির্মাতা। সম্প্রতি তার নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘রাত জাগা ফুল’ প্রদর্শিত হয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। সাম্প্রতিক কাজ ও অন্যান্য প্রসঙ্গে তার সঙ্গে কথা বলেছেন আর এস সৈকত
আপনার পরিচালিত ‘রাত জাগা ফুল’ আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রদর্শিত হলো, কেমন সাড়া পেলেন?
ভালো সাড়া পেয়েছি। বৃষ্টির কারণে আমার পৌঁছাতে একটু দেরি হয়েছিল। সবারই অপেক্ষা ছিল ‘রাত জাগা ফুল’ দেখার জন্য মিলনায়তন ভর্তি ছিল দর্শকে। সিনেমাটির বয়স প্রায় ৮-৯ মাস হয়ে গেলেও তাদের অভিব্যক্তি আমাকে আলোড়িত করেছে। 

নতুন সিনেমা কবে আসছে?
নতুন সিনেমার চিত্রনাট্যের কাজ চলছে। একটা সিনেমা বানানো আসলে দীর্ঘ প্রক্রিয়া, বেশ প্রস্তুতির প্রয়োজন হয়। স্ক্রিপ্ট, ডেভেলপমেন্ট, কাস্টিং, শুটিং লোকেশন বিভিন্নরকম কাজ থাকে, আশা করি আগামী বছর নতুন সিনেমা নিয়ে আসতে পারব, দর্শকরা ভালো কিছুই পাবেন আমার কাছ থেকে। 

পরবর্তী সিনেমার নাম ঠিক হয়েছে?
নাম এখনো ঠিক হয়নি। এ ব্যাপারে শিগগিরই জানাব।

বর্তমানে সিনেমার যেমন একটা ভালো সময় যাচ্ছে, তেমনি প্রতিবন্ধকতাও দেখা যাচ্ছে- সেন্সরে আটকে থাকার মতো ব্যাপার ঘটছে, বিষয়টাকে কীভাবে দেখছেন?
আমরা সবাই ভালো সিনেমা তৈরি করতে চাই। সিনেমা ভালো অথবা মন্দ হতে পারে, মাঝামাঝি কোনো সিনেমার জায়গা নেই। তবে কোনটা ভালো সিনেমা সেটা দর্শক নির্ধারণ করবে। তাদের ভালো লাগার জায়গাটা আমাকে গুরুত্ব দিতে হবে, যেহেতু এটা একটা বাণিজ্যিক মাধ্যম। যেমন হলের পরিবেশ ভালো না হলে যত ভালো ছবিই আমরা বানাই না কেন, সেই ছবি মানুষের কাছে পৌঁছাবে না। এখন মানুষ তারপরও কষ্ট করে ভালো সিনেমা দেখতে যায়, আমি মনে করি সিনেমা হলসহ সামগ্রিক পরিবেশ সুন্দর থাকলে মানুষ আনন্দ নিয়ে সিনেমা দেখবে। আর সেন্সরের ক্ষেত্রে যা বলব, চলচ্চিত্র একটা দেশের সংস্কৃতির মুখপাত্র হিসেবে কাজ করে। সরকার কখনো মনে করে কোনো কিছু মানুষের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করবে কিনা, সেক্ষেত্রে সেন্সর করে। কিন্তু পুরো পৃথিবী এখন ওপেন, ইচ্ছা করলে সারা বিশ্বের যেকোনো কিছুই আমরা দেখতে পারি। সেক্ষেত্রে সেন্সর কতটা কার্যকরী সেটা সরকারের মুখপাত্র ও বিজ্ঞজনেরা ভালো বলতে পারবেন। তবে বলতে চাই, সেন্সর যদি থাকে তাহলে অনেক মনের কথা সবসময় বলা যায় না। একটা ভয় কাজ করে এটা বলব নাকি বলব না, এটা ঠিক হবে নাকি হবে না, এভাবে সৃষ্টির জায়গাটা বাধাপ্রাপ্ত হয়। বাধাগ্রস্ত শিল্পের পক্ষে আমি নই। দ্বিধার মাঝে কখনো শিল্পের উন্নয়ন হবে না। আমি মনে করি, সেন্সরের ডিসিশন একটু শিথিল হলে ভালো হয়। আমি চাই শিল্প ও শিল্পী পাখির মতো হোক।

বর্তমানে কী নিয়ে ব্যস্ততা চলছে? 
সিনেমার পাশাপাশি নাটকের কাজ চলছে, অভিনয় করছি। নিজস্ব কিছু নাটকের কাজে যুক্ত আছি। এছাড়া ধারাবাহিক, খণ্ড নাটকে অভিনয় করছি; নিজে নাটক নির্মাণ করছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়