৪ বোন চুরি করেই পালাত অন্য জেলায়

আগের সংবাদ

সফরে প্রাপ্তির পাল্লাই ভারী

পরের সংবাদ

দুর্গাপূজায় ৩২ নির্দেশনা : সাম্প্র্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় সিএমপির জিরো টলারেন্স

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজায় সাম্প্র্রদায়িক হামলা কিংবা সম্প্র্রীতি নষ্টের বিরুদ্ধে পুলিশের ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ থাকবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়। তিনি জানান, কেউ যেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা অন্য কোনো উপায়ে কোনো গুজব ছড়িয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টা করতে না পারে সেজন্য ফেসবুকে নজরদারিসহ গোয়েন্দা তৎপরতা থাকবে।
আগামী ৫ অক্টোবর বিজয়া দশমীর দিন সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সব প্রতিমা নিরঞ্জনসহ পূজামণ্ডপগুলোকে ৩২ দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে দুর্গাপূজায় আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমন্বয় সভা শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সিএমপি কমিশনার এসব কথা জানান। নগরীর দামপাড়ায় সিএমপির মাল্টিপারপাস শেডে আয়োজিত এই সভায় বিভিন্ন সরকারি সংস্থা এবং মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সিএমপি কমিশনার জানান, দুর্গাপূজায় এবার ‘সার্বজনীন নিরাপত্তা বলয়’ তৈরির কৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে। এজন্য থানাভিত্তিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি করা হচ্ছে, এতে সনাতন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি ছাড়াও সামাজিক ও রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা থাকবেন। থানা কমিটিতে প্রধান থাকবেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। ওই জোনের উপকমিশনার, অতিরিক্ত উপকমিশনার এবং সহকারী কমিশনার থাকবেন উপদেষ্টা হিসেবে। এছাড়া মণ্ডপভিত্তিক কিছু কমিটিও করা হচ্ছে, যেখানে থানার ডিউটি অফিসার সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
তিনি বলেন, দুর্গাপূজায় আমরা অসাম্প্রদায়িক একটি পরিবেশ তৈরি করতে চাই। প্রতিমা ভাংচুর বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা দেয়া আছে। সেজন্য প্রতিমা যেখানে তৈরি হয়, সেখানে আমরা এরই মধ্যে নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছি। প্রতিমা যারা তৈরি করেন, তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থানার মাধ্যমে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, গত বছর কিছু সমস্যা হয়েছে। সেটা আমাদের জন্য একটা অভিজ্ঞতা। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে এবার আমরা নিরাপত্তা পরিকল্পনা করেছি। ফেসবুক নজরদারি করা হচ্ছে। গত বছর যে গোষ্ঠী সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পূজামণ্ডপে হামলা করেছিল, তাদের এবার নজরদারিতে রাখা হবে।
তিনি জানান, চট্টগ্রাম নগরীতে প্রাথমিকভাবে ২৮২টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা আয়োজন হচ্ছে। তালিকা আবার হালনাগাদ করা হবে, কোনো মণ্ডপ যেন আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থার আওতার বাইরে না থাকে। গোয়েন্দারা একটি স্তরে কাজ করবেন, পোশাকধারী পুলিশরা একটি স্তরে কাজ করবেন, কুইক রেসপন্স টিম ও সোয়াট টিম থাকবে, ইলেকট্রনিক ইনস্ট্রুমেন্ট নিয়ে আমাদের টিম থাকবে। এর চেয়ে বড় কথা হচ্ছে, আমরা এবার অংশগ্রহণমূলক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছি। এই নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আমরা সবাইকে সম্পৃক্ত করতে চাই। সভায় সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার এম এ মাসুদ, আ স ম মাহতাব উদ্দিনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়