৪ বোন চুরি করেই পালাত অন্য জেলায়

আগের সংবাদ

সফরে প্রাপ্তির পাল্লাই ভারী

পরের সংবাদ

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন : খসড়া দ্রুত পাস করার তাগিদ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের অধিকতর সংশোধনীর জন্য একটি খসড়া প্রণয়ন করেছে। আইন সংশোধনের এ খসড়া দ্রুত পাস করার পক্ষে মতামত জানিয়েছেন বিশিষ্টজনরা।
গতকাল বুধবার এ উপলক্ষে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের আয়োজনে সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ। বক্তব্য দেন- ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশের গ্র্যান্টস ম্যানেজার আবদুস সালাম মিয়া ও সিনিয়র পলিসি অ্যাডভাইজার মো. আতাউর রহমান মাসুদ, আহ্ছানিয়া মিশনের উপপরিচালক মোখলেছুর রহমান। ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের মিডিয়া ম্যানেজার রেজাউর রহমান রিজভীর সঞ্চালনায় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প সমন্বয়কারী মো. শরিফুল ইসলাম। সভায় বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, বর্তমান ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ আইনে পাবলিকপ্লেস, রেস্তোরাঁ ও গণপরিবহনে ধূমপানের সুযোগ থাকার কারণে পরোক্ষ ধূমপানজনিত ক্ষতির শিকার হচ্ছেন অধূমপায়ী নাগরিকরা। এটা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। অন্যদিকে বিদ্যমান আইনে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা পুরোপুরি নিষেধ। তবে বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকজাত পণ্যের প্রদর্শনী বন্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। আর এ সুযোগে তামাক কোম্পানিগুলো বিক্রয়কেন্দ্রে তাদের পণ্যের প্রদর্শনীর মাধ্যমে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা করছে। এজন্য সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের অধিকতর সংশোধনীর জন্য একটি খসড়া প্রণয়ন করেছে। এই খসড়াটি অনুমোদন পেলে পাবলিকপ্লেস ও গণপরিবহনে ধূমপান বাতিল, বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকজাত দ্রব্যের প্রদর্শনী, খুচরা বিক্রি, ই-সিগারেট ও তামাক কোম্পানির সিএসআর নিষিদ্ধসহ তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের বেশ কিছু দুর্বল দিক অনেকাংশেই দূর হবে এবং শক্তিশালী একটা তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন হবে।
এ সময় ইকবাল মাসুদ বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের অধিকতর সংশোনীর জন্য যে খসড়াটি প্রণয়ন করেছে, সেটি পাস হলে দেশে তামাক সেবনকারীদের সংখ্যা হ্রাস পাবে। ফলে ২০৪০ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত তামাক মুক্ত বাংলাদেশ হওয়া সম্ভব হবে।
মো. আতাউর রহমান মাসুদ বলেন, ‘গণমাধ্যমকর্মীদের একটি বড় ভূমিকা রয়েছে সংশোধিত আইনটি পাস করার পেছনে। তারা তাদের লেখনীর মাধ্যমে সরকারের একজন পলিসি মেকারকেও যদি মোবিলাইজড করতে পারে, তবে সেটিও অনেক বড় কাজ হবে।’
আবদুস সালাম মিয়া বলেন, ‘গণমাধ্যমকর্মীরা সমাজের দর্পণ। তারা যদি জোরালো ভূমিকা রাখে তবে সংশোধিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়াটি সরকার দ্রুতই পাস করবে বলে আশা করছি। আইন সংশোধনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে তামাকের ব্যবহার কমানো, অধূমপায়ী শিশু-কিশোরদের ধূমপান শুরু করায় বাধা সৃষ্টি করা এবং অধূমপায়ীদের ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার মাধ্যমে পরোক্ষ ধূমপানের মারাত্মক ক্ষতি থেকে রক্ষা করা।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়