ঢাকা কলেজ : ক্যান্টিনে খাওয়া নিয়ে দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

আগের সংবাদ

ভাঙা সড়কে খোঁড়াখুঁড়ির মচ্ছব : সড়ক খনন নীতিমালা উপেক্ষিত > তিন মাসের কাজ বছরজুড়ে > সেবা সংস্থার কাজে সমন্বয় নেই

পরের সংবাদ

জামালপুরে সার না পেয়ে কৃষকদের বিক্ষোভ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুর সদর উপজেলায় চাহিদা অনুযায়ী সার না পেয়ে সড়ক অবরোধ করেছেন বিক্ষুদ্ধ কৃষকরা। গতকাল রবিবার বেলা ১১টার দিকে শরিফপুর বাজার এলাকায় জামালপুর- ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন কৃষকরা।
কৃষকদের অভিযোগ, শরিফপুর বাজারে মেসার্স নাশাদ এন্ট্রারপ্রাইজ থেকে সার বিক্রি করা হয়। কয়েক দিন ধরে কৃষকরা সেখানে ঘোরাঘুরি করলেও সার পাচ্ছিলেন না। তবে ওই বিক্রয় কেন্দ্র থেকে জানানো হয়েছিল, রবিবার সকালে সার বিক্রি করা হবে। ফলে শরিফপুর ইউনিয়নের কৃষকরা ওই বিক্রয় কেন্দ্রে যান। কিছু কৃষককে ৫ থেকে ১০ কেজি করে সার দেয়ার পর বিক্রয় কেন্দ্রটি বন্ধ করে দেয়া হয়। কিন্তু কৃষকরা চাহিদা অনুযায়ী সার পাচ্ছিলেন না। এ জন্য সকালে ওই প্রতিষ্ঠানের সামনে জামালপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা। এতে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
খবর পেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিটুস লরেন্স চিরান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও কৃষি কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে ইউএনওর উপস্থিতিতে ওই বিক্রয় কেন্দ্রের স্বত্বাধিকারী মো. মোশারফ হোসেন কৃষকদের মধ্যে সার বিক্রি শুরু করেন।
শরিফপুর এলাকার কৃষক মুকবুল মিয়ার ৫ বিঘা জমিতে ইউরিয়া সার দেয়ার এখন উপযোগী সময়। ফলে তিনি গত দুদিন ধরে ওই বিক্রয় কেন্দ্রে ঘুরছিলেন। কবে থেকে সার দেয়া হবে। তিনি জানতে পারেন গতকাল সকালে সেখানে সার দেবেন। ফলে তিনি সকাল থেকে সেখানে অবস্থান নেন। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী সার না থাকায় সেখানে হুড়াহুড়ি শুরু হয়। তিনি বলেন,‘ক্ষেতে এখন সারের প্রয়োজন, কিন্তু আমরা কোথাও সার পাচ্ছি না। দুই এক দিনের মধ্যে সার না দিতে পারলে ধানের চারা নষ্ট হয়ে যাবে। আমার মতো বেশিরভাগ কৃষকই সার পাচ্ছেন না। তাহলে সার কোথায় গেলো।
হামিদপুর এলাকার কৃষক জামাল উদ্দিন বলেন, যেখানে প্রয়োজন এক থেকে দুই বস্তা সার, সেখানে ওই দোকান থেকে মাত্র ৫ থেকে ১০ কেজি দিতে চাইতেছে। তারপরও কিছু কৃষককে সার দিয়ে দোকান বন্ধ করে দিয়েছে। তাই সবাই সড়ক অবরোধ করেছে। সার ছাড়া কৃষক বাঁচবে না। জরুরি ভিত্তিতে চাহিদা অনুযায়ী সার দিতে হবে। অন্যথায় ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মেসার্স নাশদ এন্ট্রারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো.মোশারফ হোসেন বলেন, আমি এই বাজারের একজন সাব-ডিলার। মূল ডিলার নবীন এন্ট্রারপ্রাইজ। সেখান থেকে ২০ টন ইউরিয়া সার বরাদ্দ পেয়েছি। তার মধ্যে ১০ টন উত্তোলন করা হয়েছে। এই ১০ টনই বিক্রি শুরু করেছিলাম। কিন্তু এত কৃষক জড়ো হয়েছেন যে,তারা ব্যাপক বিশৃঙ্খলা শুরু করে দেন। পরে সার বিক্রি কিচুক্ষণ বন্ধ রাখা হয়েছিল। পরে ইউএনও মহোদয়ের উপস্থিতিতে সার বিক্রি শুরু হয়।
এসব বিষয়ে জামালপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিটুস লরেন্স চিরান সাংবাদিকদের জানান, কৃষকদের বিশৃঙ্খলার কারণে সার দেয়া বন্ধ রেখেছিল দোকানদার। পরে উপজেলা প্রশাসনের উপস্থিতিতে কৃষকদের মাঝে সার বিক্রি শুরু করেন দোকান মালিকরা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়