এশিয়া কাপ : হংকংকে লজ্জায় ডুবিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

আগের সংবাদ

বন্ধুত্ব সুসংহত করার প্রত্যয় : বাংলাদেশে চীনা বলয় ঠেকাতে চায় দিল্লি > পানিসহ সীমান্ত সুরক্ষায় সমাধান চায় ঢাকা

পরের সংবাদ

চট্টগ্রামে অবিলম্বে হোল্ডিং ট্যাক্স আইন পরিবর্তনের দাবি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : পুনর্মূল্যায়নের ভিত্তিতে বর্ধিত হারে গৃহ কর আদায় প্রত্যাহার দাবিতে আবারো আন্দোলনে নেমেছে ‘চট্টগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদ’। ‘গলাকাটা হোল্ডিং ট্যাক্স আইন বাতিল করো/দৈর্ঘ্য-প্রস্থ গুণ করো তার ওপর কর ধরো’ এই দাবিতে আয়োজিত জনসমাবেশে বক্তারা ব্রিটিশ আমলের নীল বিদ্রোহের ন্যায় চট্টগ্রামে গৃহ কর বিদ্রোহের হুঁশিয়ারি দেন। হোল্ডিং ট্যাক্স আইন পরিবর্তন করে পুরানো নিয়মে আয়তনের ভিত্তিতে গৃহ কর নেয়ার দাবি জানানো হয় সমাবেশ থেকে।
নেতাকর্মীরা বলেন, গৃহ কর বাড়ানোর প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সিটি মেয়র নির্বাচনী ওয়াদা ভঙ্গ করে রাজস্ব বিভাগের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ঘুষের অবাধ সুযোগ করে দিয়েছেন। আপিলের নামে সিটি করপোরেশনের ফাঁদে পা না দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। দি মিউনিসিপ্যাল ট্যাক্সেশন রুলস-১৯৮৬ বাতিল করে আয়তনের ভিত্তিতে গৃহ কর নির্ধারণের দাবিতে গত শুক্রবার কদমতলী আবুল খায়ের মেম্বার চত্বরে চট্টগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদ আয়োজিত সমাবেশ শেষে মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
সংগঠনের সভাপতি নুরুল আবছারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আমির উদ্দিন, সাবেক কাউন্সিলর এম এ মালেক, সংগঠনের নেতা হাসান মারুফ রুমি, সাবেক সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস, মুজিবুল হক, হারুনুর রশীদ, মফিজুর রহমান, এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম, মীর মো. ইসলাম, মো. নজরুল ইসলাম, আরশাদ হোসেন, হাজি সৈয়দ হোসেন, হাসান ইমরান, হাসান মুরাদ শাহ, মো. ইসলাম, মো. আনোয়ার প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন সাজ্জাদ হোসেন জাফর ও সোহেল আহমদ।
নুরুল আবছার বলেন, সিটি নির্বাচনের আগে এম রেজাউল করিম চৌধুরীর বাসায় গেলে জানতে চেয়েছিলাম, মহিউদ্দিন চৌধুরী গৃহ করে হাত দেননি। আপনি কী করবেন? তখন রেজাউল করিম চৌধুরী বললেন, আমার নেতা যেখানে হাত দেননি, সেখানে হাত দিয়ে আমার নেতাকে অপমান করতে চাই না। গৃহ কর বাড়াব না। কিন্তু চেয়ারে বসার পর ৫ হাজার টাকার গৃহ কর ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দাবি করছেন। কালেকটররা লাখ লাখ টাকা ঘুষ বাণিজ্য চালাচ্ছেন। কালেকটররা বলছেন, এর ভাগ মেয়র পর্যন্ত যায়।
বক্তারা বলেন, রাষ্ট্রের মালিক জনগণ। মেয়র-কাউন্সিলররা সেবক। সেবা দেয়ার জন্যই তাদের আমরা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছি। ভাড়ার ওপর হোল্ডিং ট্যাক্স বাংলাদেশের, এমনকি পৃথিবীর কোথাও নেই- তাই চট্টগ্রামবাসীর ওপর এ যন্ত্রণাদায়ক পরীক্ষা না চালিয়ে অবিলম্বে স্বৈরাচারী আমলে করা অকার্যকর দি মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন ট্যাক্সেশন রুলস-১৯৮৬ আইন বাতিল করে যৌক্তিক উপায়ে গৃহ কর না নিলে সুরক্ষার আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
পরিষদের মুখপাত্র হাসান মারুফ রুমী বলেন, মেয়র সাহেব বলছেন, তিনি কর বাড়াচ্ছেন না, করের আওতা বাড়াচ্ছেন। তিনি স্পষ্ট মিথ্যা বলছেন। মিথ্যা বলার মাধ্যমে তিনি শপথভঙ্গ করেছেন। আমি মেয়রকে বলতে চাই, চট্টগ্রামের মানুষ শান্ত আছে, তাদের শান্ত থাকতে দিন। অবিলম্বে অন্যায্য হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় বন্ধ করুন। না হলে এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামবাসী আপনার বিরুদ্ধে আরো বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়