ভূমির কুতুবকে দেয়া হাইকোর্টের জামিন আপিলে বাতিল

আগের সংবাদ

তৃণমূলে সহিংসতা বাড়ছেই : দুই সপ্তাহে অন্তত ২০টি স্থানে সংঘর্ষ হয়েছে, দলগুলোকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ বিশ্লেষকদের

পরের সংবাদ

পুলিশ-র‌্যাব পরিচয়ে প্রতারণা : চট্টগ্রামে সহযোগীসহ বেলাল গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : বেলাল হোসেন (৩১), নিজেকে কখনো দাবি করতেন পুলিশের এসআই-ওসি, কখনো এসপি বা র‌্যাবের কর্মকর্তা। আবার কখনো বিজিবি কর্মকর্তা সেজে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে হাতিয়ে নিতেন লাখ লাখ টাকা। বেশ কয়েকজনের অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। বেলালের সহযোগী মো. ওসমানকেও (৫৩) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে চান্দগাঁও ক্যাম্পে আয়োজিত এক বিফ্রিংয়ে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমএ ইউসুফ। চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার নাজিরহাট এলাকা থেকে বেলালকে সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার মো. বেলাল ফটিকছড়ি থানার বক্তপুর এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে। সহযোগী ওসমান ভুজপুর থানার পশ্চিম সুয়াবিল এলাকার মৃত এজাহার মিয়ার ছেলে। বেলাল নিজে সামনে না এসে ওসমানের মাধ্যমে টাকা আদায় করতেন।
সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব চট্টগ্রাম জোনের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমএ ইউসুফ জানান, বেলাল দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছে। পোলট্রি ফার্মের ব্যবসায় লোকসানের পর নিজেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, এমনকি হাটহাজারীর সংসদ সদস্য পরিচয় দিয়েও সে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বছর খানেক আগে এক মুদি দোকানিকে ফোন করে সয়াবিন তেলের ‘ডিলার’ পরিচয় দিয়ে দাম বাড়ার তথ্য জানিয়ে ৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এর কিছুদিন পর স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বেলাল নিজেকে ভুজপুর থানার এসআই পরিচয় দিয়ে স্থানীয় এক দফাদারের কাছ থেকে ৯ জন ইউপি সদস্য প্রার্থীর ফোন নম্বর সংগ্রহ করে। পরবর্তী সময়ে তাদের ফোন করে ৭ জনের কাছ থেকে টাকা আদায় করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে টাকা হাতিয়ে নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে।
এম এ ইউসুফ আরো বলেন, ‘মাসখানেক আগে রাউজান উপজেলায় পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়। বেলাল শিশুটির বাবাকে ফোন করে ছেলের ময়নাতদন্ত না করাতে ৫ হাজার টাকা দাবি করে। পরবর্তী সময়ে সেই টাকা আদায় করে। সম্প্রতি হাটাহাজারী উপজেলায় ইভটিজিংকে কেন্দ্র করে কিছু দুষ্কৃতকারী এক তরুণীর বাবাকে মারধর করে। পরবর্তী সময়ে তারা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। ওই মামলার বাদী তরুণীর বাবাকে ফোনে হাটহাজারী থানার এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ১০ হাজার টাকা আদায় করে। পরপর দুদিন ওসি এবং সার্কেল এএসপি পরিচয় দিয়ে ৫৩ হাজারের বেশি টাকা আদায় করে। এরপর নিজেকে র‌্যাব কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ওই তরুণীর বাবার কাছ থেকে ফের টাকা দাবি করে। বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হলে তারা র‌্যাবকে অবহিত করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়