বাংলাদেশ শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টের যাত্রা শুরু

আগের সংবাদ

সিন্ডিকেটে চড়ছে চালের বাজার : প্রতি কেজিতে পরিবহন খরচ বেড়েছে ৫৮ পয়সা, বিপরীতে দাম বেড়েছে ৫ থেকে ৬ টাকা

পরের সংবাদ

সখীপুরের ছালাফিয়া মাদ্রাসা : চার যুগ ধরে জরাজীর্ণ মাটির ঘরে পাঠদান

প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি : সখীপুর উপজেলার মাওলানা পাড়া ছালাফিয়া সিনিয়র মাদ্রাসায় চার যুগ ধরে শ্রেণি কার্যক্রম চলছে জরাজীর্ণ মাটির ঘরে। এই ডিজিটাল যুগে বাংলাদেশের প্রতিটি এলাকায় উন্নয়নের ছোঁয়া লাগলেও অবহেলিত রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানটি।
সরজমিন গিয়ে জানা যায়, মাওলানা পাড়া ছালাফিয়া সিনিয়র মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৪ সালে। প্রতিষ্ঠাকালে এর শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য ওই সময় লম্বা একটি মাটির ঘর তৈরি করা হয়। ছাউনি দেয়া হয় টিন দিয়ে। যার বর্তমান অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। ঘরের মাটির দেয়ালগুলো অনেক জায়গায় ধসে গেছে। আর টিন ছিদ্র হয়ে একটু বৃষ্টিতেই পানি পড়ে ভিজে যায় শিক্ষার্থীদের বই-খাতাসহ অন্যান্য শিক্ষা উপকরণ। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুটি অনুদানের মাধ্যমে অফিস কক্ষগুলো পাকা করা হলেও শ্রেণিকক্ষগুলো এখনো রয়েছে কাঁচা এবং ঝুঁকিপূর্ণ। উপজেলায় এর চেয়ে পরে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানগুলোও পাকা ভবন অথবা টিনের ঘর নির্মাণের জন্য সরকারি নানা অনুদান পেলেও এই প্রতিষ্ঠানটি এখনো রয়েছে অবহেলিত। জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচনের আগে এলাকাবাসীর কাছে একাধিকবার এর উন্নয়নের প্রতিশ্রæতি দিলেও নির্বাচনের পর তা আর কার্যকর হয়নি।
মাদ্রাসার একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা এই প্রতিষ্ঠানে পড়ি কিন্তু অন্য প্রতিষ্ঠানের দিকে তাকালে আমাদের মনে অনেক কষ্ট লাগে। কারণ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান যেখানে আধুনিক দালানকোঠায় সুসজ্জিত সেখানে ভাঙাচোরা ঘরের কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই আমাদের বই-খাতাসহ নানা শিক্ষা উপকরণ ভিজে যায়। প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল মো. তালেবুর রহমান বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানের নানা সমস্যা নিয়ে অনেক নেতা ও জনপ্রতিনিধির কাছে গিয়েছি। কিন্তু জেলা পরিষদের সামান্য অনুদান ছাড়া কোনো অনুদান বা সাহায্য-সহযোগিতা আমরা পাইনি।
প্রতিষ্ঠানের সভাপতি মো. আতিকুর রহমান জুয়েল ভোরের কাগজকে বলেন, সারা বাংলার দিকে তাকালে আজ গর্বে বুক ভরে যায়। কিন্তু আমাদের এই প্রতিষ্ঠানের দিকে তাকালে মনটা কষ্টে কেঁদে ওঠে। কারণ ভালো একটি ভবন বা টিনশেড ঘর না থাকায় আমাদের প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৪৫০ জন কোমলমতি শিক্ষার্থী নানাভাবে কষ্টের মাঝে শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়