যাকাত তহবিলের অর্থ আত্মসাৎ : সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য পেছাল

আগের সংবাদ

বিসিবির ধমকে পিছু হটলেন সাকিব : বিসিবি সভাপতি পাপনের আল্টিমেটামের পর বেটউইনার নিউজের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দিয়ে চিঠি

পরের সংবাদ

আন্দোলনের নামে ফের চবি অচলের হুঁশিয়ারি

প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস ও চবি প্রতিনিধি : পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিরোধে আবার আন্দোলনের নামে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস অচল করে দেয়ার হুমকি দিয়েছে চবি ছাত্রলীগের একাংশ। আগস্টের মধ্যে তিন দাবি পূরণ না হলে আন্দোলনে যাবে শাখা ছাত্রলীগের সাত উপগ্রুপ। এর আগে গত ৩১ জুলাই পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর অবরোধ করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস অচল করে দেন ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত গ্রুপের কর্মীরা। অবরোধের কারণে বন্ধ ছিল শাটল ট্রেন, শিক্ষক বাস, ক্লাস-পরীক্ষা। পরে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এ নিয়ে একটি ফেসবুক পোস্ট শেয়ার করার পর অবরোধ তুলে নেন তারা।
ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ বিরোধের জেরে আবারো আন্দোলনের নামে চবি অচল করে দেয়ার ঘোষণায় শঙ্কিত চবি শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, চবি শাখা ছাত্রলীগের কোনো ঝামেলা হলে তার ভোগান্তি পোহাতে হয় পুরো বিশ্ববিদ্যালয়কে। ব্যক্তিগত সমস্যা বা উপগ্রুপের মধ্যে বিবাদ হলেই অচল করে দেয়া হয় পুরো ক্যাম্পাস। যার প্রভাব পড়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপরও। ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের পর পদবঞ্চিতরা অচল করে দিয়েছিলেন পুরো বিশ্ববিদ্যালয়। হয়নি ক্লাস বা পরীক্ষা। চলেনি শিক্ষার্থীদের বহনকারী শাটল ট্রেন ও শিক্ষকদের বাস। এ ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে বহুবার। আগস্টের পর আবার আন্দোলনের ডাক দিয়েছে ছাত্রলীগের একাংশ। এতে ক্যাম্পাস অচল হয়ে যাবে। শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ব্যাহত হবে।
এবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুর প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেছে সাতটি উপগ্রুপ। এ সময় তারা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে তিনটি দাবি জানায়। এই তিনটি দাবি পূরণ না হলে শোকের মাস আগস্টের পরেই আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন নেতাকর্মীরা। গতকাল বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান উপগ্রুপগুলোর নেতারা। উপগ্রুপগুলো হলো ভার্সিটি এক্সপ্রেস, কনকর্ড, রেড সিগনাল, একাকার, বাংলার মুখ, এপিটাফ ও উল্কা। সবগুলো উপগ্রুপই সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছিরের অনুসারী।
নেতাদের অভিযোগ, পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তাদের গ্রুপের অনেক ত্যাগী নেতা-কর্মীকে রাখা হয়নি। এছাড়া গঠনতন্ত্র ও জ্যেষ্ঠতার ক্রম না মেনেই বিতর্কিত ও অনিয়মিতদের কমিটিতে স্থান দেয়া হয়েছে। তাদের দাবি তিনটি হলো পদবঞ্চিত ত্যাগী ও পরিশ্রমী কর্মীদের মূল্যায়ন করে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা, কমিটিতে পদ পাওয়া নেতাদের জ্যেষ্ঠতার ক্রম অনুযায়ী পুনরায় মূল্যায়ন এবং কমিটিতে পদ পাওয়া বিবাহিত, চাকরিজীবী ও রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়দের বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া।
শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি পদ পাওয়া প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় সংবাদ সম্মেলনে সবগুলো গ্রুপের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে বলেন, দুই সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণার ৩ বছর পর গত ৩১ জুলাই চবি শাখা ছাত্রলীগের বহুল প্রতীক্ষিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে। উক্ত পকেট কমিটিতে যোগ্যদের যথাযথ মূল্যায়ন না করা ও অযোগ্যদের স্থান দেয়ায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করছি। এ অবস্থায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের কাছে আমাদের আবেদন আমাদের তিন দফা দাবিসমূহ বিবেচনা করে যথাযথ সাংগঠনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রেড সিগনালের নেতা ও সহসভাপতি রকিবুল হাসান দিনার, কনকর্ডের নেতা ও সহসভাপতি আবরার শাহরিয়ার, বাংলার মুখের নেতা ও সহসভাপতি আবু বকর তোহা, একাকারের নেতা ও সহসভাপতি মইনুল ইসলাম রাসেল, উল্কার নেতা ও সহসভাপতি সুমন খান, এপিটাফের নেতা এবং নাট্য ও বিতর্ক বিষয়ক সম্পাদক সাজ্জাদ আনাম পিনন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়