ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার : জবি ছাত্রীর সেই মোবাইল ফোন উদ্ধার

আগের সংবাদ

ফের অস্থির চালের বাজার

পরের সংবাদ

এক নজরে তাইওয়ান ও চীনের সামরিক সক্ষমতা

প্রকাশিত: আগস্ট ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : চীনের কঠোর হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে মঙ্গলবার রাতে তাইওয়ান সফরে যান ন্যান্সি পেলোসি। স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৪৪ মিনিটে তাকে বহনকারী প্লেনটি রাজধানী তাইপের সোংশান বিমানবন্দরে অবতরণ করে। মার্কিন সামরিক বাহিনীর একটি বিমানে করে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর থেকে তিনি তাইপেতে উড়ে যান। ন্যান্সি পেলোসির এই সফরকে ঘিরে চীনের সঙ্গে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এরই মধ্যে চীনে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত তলব করেছে চীনা কর্তৃপক্ষ। তাইওয়ান থেকে বেশ কিছু পণ্য আমদানির ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে চীন। একই সঙ্গে চারদিন ব্যাপী তাইওয়ানের চারপাশে সামরিক মহড়ার ঘোষণা দিয়েছে চীনা বাহিনী। এই প্রেক্ষাপটে এক নজরে দেখে নেয়া যাক চীন ও তাইওয়ানের কার কত সামরিক শক্তি। সূত্র : ডয়চেভেলে।
জনসংখ্যার নিরিখে : চীনের জনসংখ্যা ১৩৯ কোটি ৮০ লাখ। তাইওয়ানের জনসংখ্যা মাত্র দুই কোটি ৩৬ লাখ। জনসংখ্যার বিচারে চীন ও তাইওয়ানের কোনো তুলনাই চলে না।
প্রতিরক্ষা বাজেট : গেøাবাল ফায়ারপাওয়ার, ২০২২-এর হিসাব অনুযায়ী, সামরিক খাতে চীন বিপুল খরচ করে। খুব কম দেশই এতটা খরচ করে বা করতে পারে। চীনের প্রতিরক্ষা বাজেট হলো ২৫২ বিলিয়ন ডলার। সেই তুলনায় তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা বাজেট ১৩ বিলিয়ন ডলার।
সেনার সংখ্যা : চীনের সক্রিয় সেনার সংখ্যা ২০ লাখ। আর তাইওয়ানের ১ লাখ ৭০ হাজার মাত্র। ফলে সেনাসংখ্যার হিসাবেও চীন ও তাইওয়ানের কোনো তুলনা চলে না।
কার কাছে কত ট্যাংক : চীনের কাছে আছে ৫ হাজার ২৫০টি ট্যাংক। আর তাইওয়ানের আছে এক হাজার ১১০টি। ফলে তুলনা অসম।
যুদ্ধবিমানের সংখ্যা : চীনের কাছে ১ হাজার ২০০টি যুদ্ধবিমান আছে। তাইওয়ানের কাছে আছে মাত্র ২৮৮টি। তবে তাইওয়ানের কাছে এফ ১৬ যুদ্ধবিমান রয়েছে।
নৌবহরের সংখ্যা : চীনের নৌবহর ৭৭৭টি। তাইওয়ানের মাত্র ১৭৭টি।
প্রশান্ত মহাসাগরে কে কত খরচ করে : ট্রেন্ডস ইন ওয়ার্ল্ড মিলিটারি এক্সপেন্ডিচার ২০২১ অনুযায়ী, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি খরচ করে আমেরিকা, ৮০ হাজার কোটি ডলার। দ্বিতীয় স্থানে আছে চীন। তারা ২৯ হাজার কোটি ডলার খরচ করে। তাইওয়ান সেখানে খরচ করে ১ হাজার ৩০০ কোটি ডলার। তবে তারা সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডের থেকে বেশি অর্থ খরচ করে।
পারমাণবিক অস্ত্র : আর্মড ফোর্সেস ডট ইউ এর তথ্যমতে, চীনের প্রায় ২৮০টি নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড আছে। তবে বিভিন্ন অসমর্থিত ও অনানুষ্ঠানিক সূত্র মতে, চীনের ৩৫০ বা ৪০০টির মতো পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। এ যাবৎ চীন ৪৫বার পারমাণবিক পরীক্ষা চালিয়েছে।
অন্যদিকে তাইওয়ানের হাতে এ মুহূর্তে কোনো ধরনের পারমাণবিক অস্ত্র নেই। তবে দেশটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় গোপনে পারমাণবিক গবেষণা ও কার্যক্রম চালানোর অভিযোগ রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়