গরমে পুড়ছে নগর, কখন নামবে বৃষ্টি

আগের সংবাদ

ইস্যু যাই হোক টার্গেট সংখ্যালঘু

পরের সংবাদ

শিশুদের নজরদারি অ্যাপে থার্ডপার্টি ট্র্যাকার

প্রকাশিত: জুলাই ১৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ১৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শিশুদের ওপর নজরদারিতে যেসব অ্যাপ ব্যবহার হয়ে থাকে সেগুলো গোপনে অভিভাবকদের তথ্যও ফাঁস করছে। এর পেছনে হ্যাকারদের সম্পৃক্ততার আশঙ্কাও করা হচ্ছে। স¤প্রতি গবেষকরা বিষয়টি জানতে পেরেছেন। সম্প্রতি সাইবারনিউজের এক দল গবেষক শিশুদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণে ব্যবহৃত ১০টি বিখ্যাত অ্যাপের কার্যক্রম গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে। এগুলো মূলত এক ধরনের নজরদারিমূলক অ্যাপ। মূলত যেসব অভিভাবক তাদের সন্তানদের নিরাপত্তার বিষয়ে ভীত এবং তাদের ব্যবহৃত ডিভাইসকে নিরাপদ রাখার জন্য এগুলো ব্যবহার করে থাকেন-
শিশুদের ওপর নজরদারিতে যেসব অ্যাপ ব্যবহার হয়ে থাকে সেগুলো গোপনে অভিভাবকদের তথ্যও ফাঁস করছে। এর পেছনে হ্যাকারদের সম্পৃক্ততার আশঙ্কাও করা হচ্ছে। স¤প্রতি গবেষকরা বিষয়টি জানতে পেরেছেন। সম্প্রতি সাইবারনিউজের এক দল গবেষক শিশুদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণে ব্যবহৃত ১০টি বিখ্যাত অ্যাপের কার্যক্রম গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে। এগুলো মূলত এক ধরনের নজরদারিমূলক অ্যাপ। মূলত যেসব অভিভাবক তাদের সন্তানদের নিরাপত্তার বিষয়ে ভীত এবং তাদের ব্যবহৃত ডিভাইসকে নিরাপদ রাখার জন্য এগুলো ব্যবহার করে থাকেন।
ক্রমবর্ধমানভাবে এসব অ্যাপ সাড়ে আট কোটিবারের বেশিবার ডাউনলোড করা হয়েছে। তবে এসব অ্যাপের কোনোটিই নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়ে সর্বোচ্চ অবস্থানে যেতে পারেনি। পাশাপাশি পাঁচ কোটি বারের বেশি ডাউনলোড হওয়া একটি অ্যাপকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবেও চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব অ্যাপের অন্যতম একটি সমস্যা হচ্ছে, এগুলোয় থার্ডপার্টি ট্র্যাকার অবস্থান করে। অর্থাৎ শিশু ও তাদের অভিভাবক সবার তথ্য প্রতিনিয়ত সংরক্ষণ হচ্ছে বলে গবেষকরা জানান।
একাধিক কারণে এসব তথ্য ব্যবহার করা গেলেও মূলত নির্ধারিত বিজ্ঞাপনের জন্য তথ্যগুলো ব্যবহার হয়ে থাকে। কিছু অ্যাপে দুটি ট্র্যাকার থাকলেও কিছু কিছু অ্যাপে একাধিক ট্র্যাকার বা অনুসরণকারীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে থাকা ৫০টির বেশি ফ্রি অ্যাপের মধ্যে একটির মধ্যে ব্রডকাস্ট রিসিভারের তথ্য শেয়ারের প্রমাণ পাওয়া গেছে। অর্থাৎ ডিভাইসে থাকা অন্য অ্যাপগুলোতেও অনুসরণকারীরা প্রবেশ করতে পারবেন। এর মাধ্যমে হ্যাকাররা শিশুদের চলাফেরার তথ্যের পাশাপাশি অভিভাবকদের তথ্যও সংগ্রহ করতে সক্ষম। অন্যদিকে এসব অ্যাপ ডিভাইসে অনিরাপদ সিকিউর সকেটস লেয়ার ছড়িয়ে দেয়। যেগুলো একটা পর্যায়ে বড় ধরনের হামলার সূত্রপাত ঘটাতে পারে। অন্য অর্থে, এর মাধ্যমে দুটি অ্যাপের মধ্যে যেসব তথ্য আদান-প্রদান করা হচ্ছে হ্যাকাররা সেগুলোয় আড়ি পাততে পারবে। বিশ্লেষক ও গবেষকদের ধারণা অধিকাংশ অ্যাপের ডেভেলপাররা ভালো কোডিং করতে পারে না। তারা ওপেন সোর্স থেকেই বেশি তথ্য নিয়ে থাকে। যে কারণে ঝুঁকির মাত্রাও বেশি থাকে। সূত্র: টেকরাডার

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়