করোনার ভুয়া রিপোর্ট : সাবরিনা-আরিফসহ আটজনের মামলার রায় ১৯ জুলাই

আগের সংবাদ

মসলার বাজারে ঈদের আঁচ : খুচরা বাজারে দামের উল্লম্ফন, ডলার সংকট ও এলসি জটিলতার অজুহাত

পরের সংবাদ

ড. হাছান মাহমুদ : ইউনূস সেন্টারের বিবৃতি শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা

প্রকাশিত: জুলাই ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধে ড. ইউনূসের তৎপরতা অস্বীকার করে ইউনূস সেন্টার যে বিবৃতি দিয়েছে তা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টা। এমন কথা বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সামনে গণমাধ্যমে প্রকাশিত ইউনূস সেন্টারের বিবৃতির বিষয় তুলে ধরে তিনি বলেন, পদ্মা সেতু নির্মিত হওয়ায় অনেক বিরোধিতাকারী সুর পাল্টেছে। বিএনপিও সুর পাল্টানোর চেষ্টা করছে। যদিও মির্জা ফখরুল এখনো কিছু বলেননি।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পদ্মা সেতুর বিরোধিতাকারী বিশেষ করে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধের কুশীলবদের অন্যতম প্রধান ব্যক্তি ড. মুহম্মদ ইউনূস। তার সঙ্গে হিলারি ক্লিনটনের বিশেষ সখ্যতা থাকার সুবাদে পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধে তিনি যে মূল কুশীলবের ভূমিকা পালন করেছিলেন, সেটি স্পষ্ট। তখনকার বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট রবার্ট জুয়েলিক বলেছিলেন, এটি বন্ধ করার কোনো যুক্তিসংগত কারণ নেই। কারণ বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের অন্যতম অংশীদার। এছাড়া বাংলাদেশ কখনো ঋণখেলাপি হয়নি। ঋণ পরিশোধে বাংলাদেশের অবস্থান খুবই ভালো। এভাবে যুক্তিসংগত কোনো কারণ না থাকায় জুয়েলিকের ওপর ক্রমাগত চাপ প্রয়োগ করা হলেও তিনি সেটি করেননি। তবে শেষ কর্মদিবসে তিনি অর্থায়ন বন্ধের সিদ্ধান্তে সই করতে বাধ্য হন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে প্রথমবার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে গ্রামীণফোনের লাইসেন্স দিয়েছিলেন। ড. ইউনূসকে লাইসেন্স দেয়া হয়েছিল গ্রামীণ ব্যাংকের নামে। বলা হয়েছিল, গ্রামীণফোনের টাকাটা গ্রামীণ ব্যাংকে যাবে। সেই টাকা গ্রামীণ ব্যাংকে যায়নি। বিভিন্ন জায়গায় গেছে। ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে তিনি যে অনুদান দিয়েছিলেন, তা বিবৃতিতে অস্বীকার করেছেন। কিন্তু দেশ-বিদেশের সব পত্র-পত্রিকায় যখন সেটি বেরিয়েছিল তখন তিনি অস্বীকার করেননি। এত বছর পর কেন তিনি অস্বীকার করছেন।
ড. হাছান বলেন, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নোবেল পুরস্কারের অর্থ দিয়ে ক্ষুদ্র ঋণ চালু করেছিলেন। আর ক্ষুদ্র ঋণের কথা বলে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ড. ইউনূসের পুরস্কারের অর্থ তার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টেই আছে। গ্রামীণ ব্যাংকেও যায়নি। অন্য কোনো জনহিতকর কাজেও তিনি খরচ করেননি।
ড. ইউনূস পদ্মা সেতুর জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন- এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এখন সারাদেশ যখন উল্লসিত, যারা পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করেছিল, তারা এখন প্রচণ্ড লজ্জিত। এটি তার লজ্জা ঢাকার অপচেষ্টার অভিনন্দন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়