মুম্বাইয়ে ভবনধসে নিহত ১৯

আগের সংবাদ

বানভাসিদের ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই

পরের সংবাদ

নান্দাইল ছাত্রলীগের কমিটি : সভাপতি ও সম্পাদক আ.লীগ নেতা হত্যা মামলার আসামি

প্রকাশিত: জুন ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : ময়মনসিংহে দীর্ঘ পাঁচ বছর পর নান্দাইল উপজেলা ছাত্রলীগের ৩৫ সদস্যবিশিষ্ট আংশিক পূর্ণাঙ্গ নতুন কমিটি গঠন করেছে জেলা ছাত্রলীগ। কমিটিতে তৌফিকুল ইসলাম মামুনকে সভাপতি এবং শাহ মাহমুদুল হক সৌরভ ওরফে সৌরভ ফকিরকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। গত মঙ্গলবার রাতে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আল আমিন ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন কবীরের যৌথ স্বাক্ষরে এই কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়।
অভিযোগ উঠেছে, নবগঠিত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুজনেই পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য প্রয়াত আবুল মনসুর ভূঁইয়া হত্যা মামলার আসামি। এর মধ্যে সভাপতি তৌফিকুল ইসলাম মামুন এজাহারে ৩৪নং ও সাধারণ সম্পাদক শাহ মাহমুদুল হক সৌরভ ওরফে সৌরভ ফকির ওই মামলার ২৬নং আসামি। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। মামলার বাদী সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি নান্দাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, নিহত আওয়ামী লীগ নেতা আবুল মনসুর ভূঁইয়া আমার বড় ভাই। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আসামিরা প্রত্যক্ষ জড়িত থাকায় মামলায় তাদের আসামি করা হয়েছে। বর্তমানে মামলাটি হাইকোর্টে চলমান আছে। এখন শুনেছি তাদের সভাপতি-সম্পাদক করে উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে। এটা আওয়ামী লীগের জন্য অভিশাপ বলে মনে করি।
অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে নান্দাইল উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহ মাহমুদুল হক সৌরভ ওরফে সৌরভ ফকির খবরের সত্যতা স্বীকার করেন। তবে এই ছাত্রনেতা দাবি করেন, আমি ও সভাপতি মামলার আসামি হলেও আমরা প্রকৃত আসামি না। চার্জশিট থেকে আমাদের নাম বাদ দেয়া হয়েছে। সভাপতি তৌফিকুল ইসলাম মামুন দাবি করেন, ওই মামলায় আমরা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছি। চার্জশিটে তা প্রমাণ হয়েছে। ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন কবীর বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। কোনো ব্যক্তির দায় সংগঠন নেবে না, তারা আদালতে অপরাধী হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে স্থানীয় সংসদ সদস্যের সঙ্গে কথা বলে যোগ্য বিবেচনা করেই তাদের দিয়ে কমিটি করা হয়েছে।
অভিন্ন বক্তব্য জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আল আমিনের। তিনি বলেন, মামলার বিষয়টি আমারও জানা ছিল না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান আকন্দ বলেন, ওই হত্যা মামলার সময় আমি এখানে ছিলাম না। বিষয়টি জেনে এবং দেখে বলতে হবে। অপরদিকে স্থানীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদক যা বলেছেন এর সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেন, এর বাইরে কিছুই বলার নেই।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর নান্দাইল উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মী সম্মেলনে নৃশংসভাবে খুন হন পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য আবুল মনসুর ভূঁইয়া।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়