বিশেষ অধিকার ক্ষুণ্ন : এমপি হারুনের নোটিস নাকচ করলেন স্পিকার

আগের সংবাদ

ঢাকার তৃণমূলে আ.লীগের পদ পেলেন ৫৪ হাজার কর্মী : থানা-ওয়ার্ডে পদ পাচ্ছেন আরো সাড়ে ১২ হাজার > সংগঠন গোছাতে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন নগর নেতারা

পরের সংবাদ

শিক্ষক হত্যা ও হেনস্তা : ১৭ বিশিষ্ট নাগরিকের উদ্বেগ ঢাবি শিক্ষক সমিতির নিন্দা

প্রকাশিত: জুন ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক ও ঢাবি প্রতিনিধি : আশুলিয়ায় এক শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা ও নড়াইলে এক শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের ১৭ বিশিষ্ট নাগরিক। বিবৃতিতে তারা বলেছেন, বাংলাদেশের সমাজ ক্রমশ অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে। তাই মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ পথ হারানোর আগেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা। এদিকে, ওই দুই ঘটনার তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও বিচারের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতি।
বিবৃতিদাতা ১৭ বিশিষ্ট নাগরিকরা হলেন, হাসান ইমাম, অনুপম সেন, সেলিনা হোসেন, রামেন্দু মজুমদার, সারোওয়ার আলী, ফেরদৌসী মজুমদার, আবেদ খান, আবদুস সেলিম, লায়লা হাসান, মফিদুল হক, শাহরিয়ার কবীর, মুনতাসীর মামুন, হারুণ হাবীব, শফি আহমেদ, নাসির উদ্দীন ইউসুফ, শিমুল ইউসুফ ও সারা যাকের। নাসির উদ্দীন ইউসুফ বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠিয়েছেন। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, আশুলিয়ায় স্কুলছাত্রীকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় উৎপল কুমার সরকার নামে এক শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা করেছে এক তরুণ। অন্যদিকে নড়াইলের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সাম্প্রদায়িকসহ সব অপশক্তিকে কঠোরহস্তে দমন করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বিশিষ্ট নাগরিকরা। তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চার মূলনীতির আলোকে শিক্ষা, প্রশাসনসহ রাষ্ট্রের সব কার্য সাধনে প্রতিষ্ঠানগুলো ঢেলে সাজানো এখন সময়ের দাবি।
এদিকে, গতকাল ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঘটনা দুটির তীব্র জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, স¤প্রতি শিক্ষক হেনস্তার দুটি ভিন্ন ঘটনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নজরে এসেছে। দুটি ঘটনাতেই তীব্র সামাজিক অসহিষ্ণুতার বহিঃপ্রকাশ লক্ষ্য করা যায়। সা¤প্রতিক সময়ে ধর্ম নিয়ে একশ্রেণির মানুষের অপতৎপরতা দেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও মূল্যবোধকে চরমভাবে আঘাত করছে যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এছাড়া সামাজিক ও নৈতিক শিক্ষার অভাবে কোথাও কোথাও ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কের চরম অবনতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে সব স্তরের শিক্ষার্থীদের নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার বিকল্প নেই।
এতে আরো বলা হয়, আমাদের নতুন প্রজন্মকে ধর্মান্ধতা থেকে বের করে পরমতসহিষ্ণুতা, অসা¤প্রদায়িকতা ও মুক্ত চিন্তাধারায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে যাতে তারা আদর্শ জীবন গঠনসহ দেশ ও জাতির উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে। এক্ষেত্রে শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থী সবাইকেই ভূমিকা রাখতে হবে। ঢাবি শিক্ষক সমিতি উক্ত দুটি ঘটনার তীব্র ঘৃণা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে এবং এ ধরনের চরম নিন্দনীয় ও বেআইনি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়