বিশেষ অধিকার ক্ষুণ্ন : এমপি হারুনের নোটিস নাকচ করলেন স্পিকার

আগের সংবাদ

ঢাকার তৃণমূলে আ.লীগের পদ পেলেন ৫৪ হাজার কর্মী : থানা-ওয়ার্ডে পদ পাচ্ছেন আরো সাড়ে ১২ হাজার > সংগঠন গোছাতে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন নগর নেতারা

পরের সংবাদ

নড়াইলে শিক্ষক লাঞ্ছনা : পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলল মানবাধিকার কমিশন > মহিলা পরিষদ ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের ক্ষোভ

প্রকাশিত: জুন ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নড়াইলে কলেজ শিক্ষক স্বপন কুমার বিশ্বাসের গলায় জুতার মালা পরানোর ঘটনায় দায়ী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এছাড়া খুলনার বিভাগীয় কমিশনারকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় এসব কথা বলা হয়। এদিকে শিক্ষক স্বপন কুমারকে জুতার মালা পরিয়ে নিগ্রহের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মহিলা পরিষদ ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ। মানবাধিকার কমিশনের নির্দেশনায় বলা হয়, ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে একজন সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষকের গলায় জুতার মালা পরানোর ঘটনা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশে অনাকাক্সিক্ষত। পুলিশের উপস্থিতিতে কীভাবে এ ধরনের দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তা বোধগম্য নয়। এ ঘটনা একজন ব্যক্তির মানবিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছে। ওই ঘটনায় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার বিষয়ে তদন্তক্রমে দায়ী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
মহিলা পরিষদ : গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফাওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বিবৃতিতে বলেন, শুধু সংখ্যালঘু স¤প্রদায়ের প্রতিনিধি হওয়ার কারণে এমন অপমান ও বর্বরতার শিকার হতে হয়েছে ওই শিক্ষককে। একজন শিক্ষকের প্রতি এ অপমান পুরো জাতির জন্য অপমান। আমরা লক্ষ্য করছি, এ ঘটনাগুলো বেশ কিছুদিন ধরেই সংখ্যালঘু শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর ঘটে চলেছে। ঘটনাগুলো কুচক্রী উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও অরাজকতা সৃষ্টির জন্য ঘটাচ্ছে। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শিক্ষকের সম্মান ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগণের নিরাপত্তার অধিকারের প্রতি নির্লিপ্ততা ও পক্ষপাতমূলক আচরণ এ কুচক্রী উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে আরো উৎসাহিত করছে। নাগরিকের নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষা করার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। সেখানে কর্তব্যরত পুলিশের এমন ভূমিকার জন্য তাদের জাবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। সব সম্প্রদায়ের মানুষের সহাবস্থান, সম্প্রীতি, শান্তির জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দায়িত্বশীল আচরণ করার এবং তাদের জবাবদিহির আওতায় আনার দাবি জানানো হয় বিবৃতিতে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ : গতকাল এক বিবৃতিতে পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিক ও সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রনাথ পোদ্দার বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এমন ঘটনা সংঘটিত হওয়া বেশি উদ্বেগজনক। সাম্প্রতিক সময়ে হৃদয় মন্ডল, আমোদিনী পাল, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে শিক্ষকদের কথিত ধর্ম অবমাননার দায়ে লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনা প্রতিরোধে প্রশাসন ও রাষ্ট্রযন্ত্রকে আরো দায়িত্বশীল ও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়