টিপু হত্যা মামলা : মুসার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

আগের সংবাদ

ভিটাহীন সংসার, আকাশ মাথায় : বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনো পানির নিচে, সিলেট-সুনামগঞ্জে নতুন করে বাড়ছে পানি

পরের সংবাদ

সাইডিং লাইনগুলো বিলুপ্ত : চৌমুহনী রেলস্টেশন ভূসম্পত্তি বেদখল

প্রকাশিত: জুন ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

গোলাম মহিউদ্দিন নসু, বেগমগঞ্জ (নোয়াখালী) থেকে : জেলার প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র চৌমুহনী রেলস্টেশনের বিশাল ভূসম্পত্তি বেদখলে রয়েছে। মালামাল পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত সাইডিং লাইনগুলো অকেজো থাকায় চলাচলের জন্য পাকা রাস্তা নির্মাণ ও দখলবাজরা দোকান বসিয়েছে। ফলে রেলপথে মালামাল পরিবহন আয় বন্ধ এবং ভূসম্পত্তি খাতের আয়সহ সরকার মাসে হারাচ্ছে কোটি টাকার রাজস্ব আয়।
জানা গেছে, বাণিজ্যিক শহর চৌমুহনীসহ ৭টি রেলস্টেশন ব্রিটিশ আমলে এ জেলায় প্রতিষ্ঠিত। একেক স্টেশনের জন্য ২৫ থেকে ৫০ একর সম্পত্তি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল, যা স্টেশনের খোলা জায়গা, সাইডিং লাইন, মালামাল অমদানি-রপ্তানি এবং আবাসন কাজে ব্যবহার হতো। দীর্ঘদিন ধরে রেলপথের প্রতি নানামুখী উদাসীনতার কারণে ব্যবসায়ীরা আগের মতো এ পথে মালামাল আনা-নেয়া করেন না। মাসে কয়েক লাখ টাকার পরিবহন আয় বন্ধ হয়ে পড়ে। অকেজো হয়ে পড়ে সাইডিং লাইনগুলো। বেদখল হয় সাইডিং লাইনসহ অব্যবহৃত ভূসম্পত্তি। এ সুযোগে বেদখলকারীরা ভূসম্পত্তি বিভাগ থেকে নামে-বেনামে নামমাত্র মূল্যে লিজ নেয়। সম্প্রতি এসব সম্পত্তির বিশাল স্থাপনা আগুনে পুড়ে গেলে সে জায়গায় পাকা দালান এমনকি বহুতল ভবন নির্মাণ চলছে। স্টেশন রোডসহ রেলওয়ের জায়গায় প্রায় শতাধিক দোকান বসলেও অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে সরকার হারাচ্ছে মাসে কয়েক লাখ টাকার রাজস্ব আয়। চৌমুহনী বাজারের একাধিক ব্যবসায়ীরা জানান, রেলপথের পরিবহন খরচ খুবই কম। তবে পরিবহন ব্যবস্থা আরো দ্রুত করা গেলে রেলপথের গুরুত্ব¡ বাড়বে।
চৌমুহনী স্টেশনের কর্মরতদের সঙ্গে আলাপ করে স্টেশন এলাকার সম্পত্তির হিসাব জানা যায়নি। সম্পত্তিসংক্রান্ত বিষয়টি আলাদা বিভাগ দেখে। তবে সাইডিং লাইনের উপরে বা পূর্ব পাশের দোকানগুলো অবৈধ বলে জানা গেছে। ২০০০ সাল পর্যন্ত সাইডিং লাইনগুলো ভালো থাকায় মাসে প্রায় ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা আয় হতো। লাইনগুলো সংস্কারের অভাবে মালবাহী গাড়ি আসা কমতে থাকে। বর্তমানে সাইডিং লাইন না থাকায় ফসল ও ফলের মৌসুমে এখনো মাসে প্রায় তিন লাখ টাকা আয় হয়। লাইনগুলো মেরামত করে কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধান বাড়ালে মাসে ৭-৮ লাখ টাকা আয় হবে। আলোচনায় আরো জানা গেছে, ১৯৭৯ সালে সারা বাংলাদেশে সর্বোচ্চ আয় হয়েছে চৌমুহনী রেলস্টেশনে। ডেল্টা জুটমিলের পাট, নওগাঁ- দিনাজপুরের চাল, ছাতকের পাথর আমদানির পথ নিশ্চিত করা গেলেই কয়েক লাখ টাকা আয়ের নিশ্চয়তা তৈরি হবে।
দীর্ঘদিন সাইডিং লাইনগুলো অকেজো থাকার সুবাদে চৌমুহনী পৌরসভা ২০০৮ সালে সাইডিং লাইনের মধ্য দিয়ে রেললাইনসহ কার্পেটিং করে রাস্তা নির্মাণ করেছে। বিষয়টি এসএম/৪/৮ ২০০৮ সালের ৩ জানুয়ারি মোতাবেক সিওপিএস/পূর্ব/সিআরবিকে তার বার্তা দেয়া হয়। ২০০৮ সালের ২৫ জানুয়ারি আবার চিঠি দিয়ে সাইডিং লাইনগুলো অকেজো, সাইডিং লাইন মেরামত না কারায় বিলুপ্ত প্রায় চৌমুহনী বাজারে ব্যবসায়ীদের দাবি উল্লেখপূর্বক মেরামতের অনুরোধ করে চিঠি দিলেও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়