টিপু হত্যা মামলা : মুসার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

আগের সংবাদ

ভিটাহীন সংসার, আকাশ মাথায় : বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনো পানির নিচে, সিলেট-সুনামগঞ্জে নতুন করে বাড়ছে পানি

পরের সংবাদ

ফেনী নদীতে পোনা নিধনের মহোৎসব

প্রকাশিত: জুন ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : মিরসরাইয়ে ফেনী নদীর বিভিন্ন স্থানে ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় অবাধে চলছে গলদা-বাগদা চিংড়ির রেণু আহরণ। চিংড়ির রেণু আহরণ করতে গিয়ে প্রতিনিয়তই ধ্বংস হচ্ছে হাজারো প্রজাতির মৎস্য ও জলজ প্রাণীর পোনা। এতে করে সমুদ্রে প্রাকৃতিক মাছের জোগান কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নদীর বিভিন্ন স্থানে গিয়ে দেখা যায়, নিষিদ্ধ মশারি ও ঠেলা জাল দিয়ে জেলেরা প্রতিদিন লাখ লাখ চিংড়ি রেণু আহরণ করে বিক্রি করছে স্থানীয় বেপারিদের কাছে। বেপারিরা সেগুলো দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছে খুলনা, বাগেরহাট ও যশোরসহ দেশের বিভিন্ন চিংড়ি ঘের মালিকদের কাছে। উপজেলা প্রশাসন ও কোস্ট গার্ডের নিয়মিত টহল না থাকায় বন্ধ হচ্ছে না পোনা ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য।
পোনা ধরা বন্ধ করার বিষয়ে নিজের অসহায়ত্ব স্বীকার করেছেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা নাসিম আল মাহমুদ। তার দাবি- অভিযানের জন্য পুলিশের সহায়তা চাইলে অভিযানস্থল নদী হওয়ায় পুলিশ যেতে রাজি হয় না। কোস্ট গার্ডের সহায়তা চাইলে মুহুরী প্রজেক্টের ওই অংশটি তাদের সীমানার বাইরে হওয়ায় তারা অভিযান চালাতে পারবেন না বলে জানান।
ফেনী নদীর মুহুরী সেচ প্রকল্প এলাকা থেকে শুরু করে মিরসরাই উপজেলার ইছাখালী, বামনসুন্দর খাল পর্যন্ত এবং ছোট ফেনী নদীর কাজীরহাট স্লুইসগেট থেকে দক্ষিণে স›দ্বীপ চ্যানেল পর্যন্ত বিশাল উপকূলীয় এলাকায় প্রতিদিনই লাখ লাখ চিংড়ি পোনা আহরণ করা হচ্ছে। এতে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, মিরসরাই ও সোনাগাজী উপকূলীয় অঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন চিংড়ি পোনা আহরণ করছে। মিরসরাই উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা নাসিম আল মাহমুদ বলেন, প্রাকৃতিক উৎস থেকে মাছের পোনা সংগ্রহ করা সম্পূর্ণ অবৈধ। কেননা, যে জাল দিয়ে চিংড়ি মাছের পোনা সংগ্রহ করা হয় সেখানে আরো অনেক মাছের পোনা উঠে যায়। পোনা ব্যবসায়ীরা যে পরিমাণ চিংড়ির পোনা আহরণ করেন তার ১০-১৫ গুণ অন্য মাছের পোনা ধ্বংস করে ফেলেন।
বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পূর্ব জোন মিরসরাই স্টেশনের জুনিয়র কমিশন অফিসার আনসার উদ্দিন বলেন, বঙ্গোপসাগরের মোহনায় ও মুহুরী প্রজেক্ট এলাকায় চিংড়ি রেণু আহরণ করার বিষয়টি আমরা আগে জানতাম না। চিংড়ি পোনা সংগ্রহের বিষয় শুনে আমি উপজেলা মৎস্য অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিনহাজুর রহমান বলেন, মুহুরী প্রজেক্ট এলাকা থেকে চিংড়ি পোনা সংগ্রহ কিংবা অন্য মাছের পোনা ধ্বংস করার বিষয়টি আইনগত দিক বিবেচনা করে শিগগিরই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়