টিপু হত্যা মামলা : মুসার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

আগের সংবাদ

ভিটাহীন সংসার, আকাশ মাথায় : বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনো পানির নিচে, সিলেট-সুনামগঞ্জে নতুন করে বাড়ছে পানি

পরের সংবাদ

‘দিনাজপুরের রাজা’র দাম ১২ লাখ টাকা

প্রকাশিত: জুন ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. হারুন-উর-রশীদ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) থেকে : এবারের কুরবানি ঈদে ফুলবাড়ী উপজেলার সেরা আকর্ষণ ‘দিনাজপুরের রাজা’ নামে ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়। প্রায় ৩০ মণ ওজনের ষাঁড়টির দাম হাঁকা হয়েছে ১২ লাখ টাকা। বিশাল ষাঁড়টি গায়ের রং কালো-সাদা মিশ্রিত। ভালো দাম পাওয়ার আশায় প্রায় সাড়ে ৪ বছর ধরে নিজের সন্তানের মতো লালন-পালন করে আসছেন মো. গোলাম মোস্তফা ও তার পরিবারের লোকজন।
উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের মধ্যমপাড়া গ্রামের মো. আজগর আলীর ছেলে উপজেলার সিদ্দিসি উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক গোলাম মোস্তফা বাণিজ্যিকভাবে গরু মোটাতাজাকরণ খামারের সঙ্গে জড়িত। তার নিজ খামারের ফ্রিজিয়ান জাতের গাভী থেকে জন্ম নেয়া এই গরু রাজকীয়ভাবে লালন-পালন করেছেন বলে তার নাম রেখেছেন দিনাজপুরের রাজা।
ষাঁড়টির মালিক গোলাম মোস্তফা জানান, দিনাজপুরের রাজাকে দেখাশোনা করার জন্য ২ জন লোক রয়েছে। তার খাবারের তালিকায় আছে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ কেজি ভেজানো ছোলা, গমের ভুসি, মিষ্টি কুমড়া এবং সবুজ কাঁচা ঘাস। ফ্যানের বাতাস ছাড়া থাকতে পারে না ফ্রিজিয়ান জাতের এই ষাঁড়। বিদ্যুৎ না থাকলেও গরুটির জন্য বিকল্প ব্যবস্থাও করা হয়েছে। প্রতিদিন তিনবার করে গোসল করাতে হয়। গোসলের পর আবার শুকনা কাপড় দিয়ে শরীরের পানি মুছে ফেলতে হয় যাতে ঠাণ্ডা না লেগে যায়। মাত্র সাড়ে ৪ বছরেই তিনি গরুটিকে এই উপযোগী করেছেন। তিনি আরো বলেন, গরুটির দাম ১২ লাখ ধরা হয়েছে তবে দামদরে বনলে কম করে হলেও বিক্রি করে দেবেন। অনেক ক্রেতারাই ভিড় করছেন। তবে যে কেউ আসলে গরুটি দেখে পছন্দ হলে কিনে নিতে পারবেন। গোলাম মোস্তফা আরো বলেন, ষাঁড়টির খাবারের জন্য প্রতিদিন প্রায় হাজার খানেক টাকা ব্যয় হয়। এই নিয়ে আমার এ পর্যন্ত ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। দিনাজপুরের বিভিন্ন খামার ঘুরে দেখেছি সে অনুযায়ী আমি দাবি করতে পারি যে, এই গরুই বর্তমানে দিনাজপুর অঞ্চলের সবচেয়ে বড় গরু। গত বছর করোনা ভাইরাসের কারণে হাট-বাজার ঠিকমতো না বসায় গরুটি বিক্রি করতে পারেননি। তাই চলতি বছরের ঈদুল আজহার হাটে ষাঁড়টি বিক্রি করবেন বলে আশা তার। গোলাম মোস্তফার স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী অনেক শৌখিন মানুষ। নিজের সন্তানের মতো করে গরুটি লালন-পালন করেছেন। গরুটি আমাদের কাছে খুবই আপন হয়ে গেছে। ওকে বিক্রি করলে খুব কষ্ট লাগবে। কিন্তু বিক্রি তো করতেই হবে। সে ক্ষেত্রে যদি ভালো দাম পাই তাহলে কষ্ট কিছুটা কমবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়