সেন্ট লুসিয়ায় ধীরে এগুগোচ্ছে উইন্ডিজ

আগের সংবাদ

বিধ্বস্ত শহরে ভূতুড়ে নিস্তব্ধতা : আদালতের নিয়মিত বিচারকাজ বন্ধ > অফিসপাড়া নিথর > বন্ধ হাসন রাজা মিউজিয়াম > পথে পথে ক্ষতচিহ্ন

পরের সংবাদ

নির্মাণসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি : সরকারের কাছে নতুন রেট চাইল ঠিকাদার পরিষদ

প্রকাশিত: জুন ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : হঠাৎ করে নির্মাণসামগ্রীর অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। এমন অবস্থায় চলমান কাজগুলোর মূল্য সমন্বয় এবং নতুন রেট শিডিউলের দাবিসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ঠিকাদার ঐক্য পরিষদ। নেতারা জানান, বর্তমানে প্রতি টন রডের বর্তমান মূল্য ৯০ হাজার টাকা থেকে ৯৫ হাজার টাকা, যা ২০২১ সালের মার্চ মাসে ছিল ৫৫-৬০ হাজার টাকা। অর্থাৎ শতকরা বৃদ্ধির হার ৬০ শতাংশের বেশি।
চলমান রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে আমদানিকৃত সব নির্মাণাধীন মালামালের ও যন্ত্রপাতির মূল্যও ক্রমান্বয়ে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে।
নির্মাণসামগ্রীর সীমাহীন অসহনীয় ঊর্ধ্বগতিতে ঠিকাদাররা মারাত্মকভাবে আর্থিক দিক দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তারা। তাদের এসব দাবি সালমান এফ রহমানের কাছে দেয়া হলে তিনি দাবিগুলো বিবেচনার আশ্বাস দেন।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় গতকাল রবিবার এসব বিষয় তুলে ধরে ঠিকাদার ঐক্য পরিষদের নেতারা।
আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ঠিকাদার ঐক্য পরিষদের সভাপতি রফিক আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ম. আব্দুর রাজ্জাক, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রির (বাসি) ডিরেক্টর হাসান মাহমুদ বাবু, ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. বশির আহমেদ, সম্রাট এন্টারপ্রাইজের মোয়াজ্জেম হোসেনসহ দেশের নামকরা ঠিকাদারি কোম্পানির স্বত্বাধিকারী ও মনোনীত প্রতিনিধিরা।
সভায় নেতারা বলেন, উন্নয়নবান্ধব বর্তমান সরকারের দূরদর্শিতা এবং কার্যকর পদক্ষেপগুলোর কারণে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের কাতারে সমাসীন।
কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, বিগত এক বছরের অধিক সময় ধরে নির্মাণ প্রকল্পের মূল উপকরণগুলো যেমন- লৌহ ও লৌহজাতীয় দ্রব্য, সিমেন্ট, পাথর, ইট, বিটুমিন, ডিজেল, অ্যালুমিনিয়াম, বিল্ডিং ফিনিশিং আইটেম ইত্যাদি দ্রব্যাদিসহ এ খাতের প্রায় সব ধরনের নির্মাণসামগ্রীর মূল্য অস্বাভাবিক ও লাগামহীনভাবে বেড়ে অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে।
প্রতি টন রডের শতকরা বৃদ্ধির হার ৬০ শতাংশের বেশি। পানি সরবরাহ, পয়ঃনিষ্কাশন, বৈদ্যুতিক সামগ্রী, ইলেক্ট্রো মেকানিক্যাল দ্রব্যের দামও ৪০-৯৪ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়াও এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত শ্রমিক, সুপারভাইজার ও দক্ষ জনবলের মজুরিও শতকরা ৬০-৭০ শতাংশ বেড়েছে।
জ্বালানি তেল বিশেষ করে ডিজেলের মূল্য ৬৫ টাকা থেকে ৮০ টাকা হওয়ার ফলে নির্মাণসামগ্রী পরিবহন ও যন্ত্রপাতি চালন ব্যয় বেড়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে প্রকল্পের অগ্রগতিতে অতি মন্থরতা দেখা দিয়েছে, বাস্তব অগ্রগতি খুবই হতাশাব্যঞ্জক।
কাজের স্বাভাবিক অগ্রগতি অর্জিত না হওয়ায় ঠিকাদাররা বিল পাচ্ছেন না। ফলে গৃহীত ব্যাংকঋণ পরিশোধ করাও তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়