নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় কিশোর গ্যাং সদস্যরা উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে কিশোর সাকিবকে (১৪)।
হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুই কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে তাদের গ্রেপ্তার করে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। এর আগে শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফতুল্লা রেলস্টেশন প্ল্যাটফর্ম মসজিদের পেছনের গলিতে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- ফতুল্লা মডেল থানার রেলস্টেশন এলাকার জনুর ভাড়াটিয়া হবিকুলের ছেলে আতিকুল (১৭) ও দাপা ইদ্রাকপুরের হবুর বাড়ির ভাড়াটিয়া সেকান্দার মোল্লার ছেলে ইসলাম মোল্লা (১৮)। নিহত সাকিব ফতুল্লার দাপা রেলস্টেশনসংলগ্ন আজাদ মিয়ার বাড়ির গলির ওহাবের বাড়ির ভাড়াটিয়া রুবেল (সুমন) মিয়ার ছেলে।
নিহত সাকিবের মা নাসিমা বেগম বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৪-৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলো- ফয়সাল (১৮), পারভেজ (২২), আতিকুল (১৭), ইসলাম মোল্লা (১৮) ও সোলেয়মানসহ (১৮) অজ্ঞাত আরো ৪-৫ জন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, সাকিব ও তার ভাই স্থানীয় একটি সিলভার কারখানায় কাজ করত। শনিবার সাকিব কাজে না গিয়ে বাসায় ছিল। রাত ৯টার দিকে সাকিব বাসার সামনে চায়ের দোকানে চা খেতে গেলে আতিকুলসহ আরো দুয়েকজনের সঙ্গে বড় ভাই-ছোট ভাই নিয়ে প্রথমে কথা কাটাকাটি এবং পরে হাতাহাতি হয়। এর জের ধরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে অভিযুক্তরাসহ অজ্ঞাত আরো ৪-৫ জন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রেলস্টেশন মসজিদের পাশে ইউসুফ মিয়ার বাড়ির সামনে রাস্তার উপর পূর্বপরিকল্পিতভাবে সাকিব ও তার বন্ধু খোকনকে এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকে।
একপর্যায়ে সাকিবের শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে।
এ সময় আত্মরক্ষার্থে চিৎকার করলে তার মা ও বড় ভাই রাকিব (১৯) এগিয়ে এসে আহত সাকিবকে উদ্ধার করে খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাকিবকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক হুমায়ুন কবির জানান, নিহতের মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারনামীয় দুই আসামিকে শনিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।