সেন্ট লুসিয়ায় ধীরে এগুগোচ্ছে উইন্ডিজ

আগের সংবাদ

বিধ্বস্ত শহরে ভূতুড়ে নিস্তব্ধতা : আদালতের নিয়মিত বিচারকাজ বন্ধ > অফিসপাড়া নিথর > বন্ধ হাসন রাজা মিউজিয়াম > পথে পথে ক্ষতচিহ্ন

পরের সংবাদ

ক্রীড়াঙ্গনে করোনার হানা : অধিকাংশই ক্রিকেটার

প্রকাশিত: জুন ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : করোনা মহামারির ধকল এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি গোটা বিশ্ব। চীনের উহান প্রদেশ থেকে বিশ্বব্যাপী বিস্তার করা করোনা মহামারি প্রভাব ফেলেছে ক্রীড়াঙ্গনেও। সব ধরনের খেলাধুলা দীর্ঘ সময়ের জন্য রীতিমতো বন্ধ ছিল। ক্রিকেট বিশ্ব ক্রিকেট প্রায় ৫ মাস মাঠের বাইরে ছিল। করোনা মহামারির জন্য সর্বপ্রথম স্থগিত হয়েছে এশিয়া একাদশের বিপক্ষে বিশ্ব একাদশের মধ্যকার ম্যাচ। এই ম্যাচটি ২০২০ সালের মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ৮ মার্চ বাংলাদেশের করোনা শনাক্ত হওয়ার ফলে ১৭ মার্চের আগেই দেশে লকডাউন জারি করেছে বাংলাদেশ সরকার। এর ফরে বিশ্ব একাদশ ও এশিয়া একাদশের মধ্যকার সিরিজটি অনুষ্ঠিত হয়নি। এরপর অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড, নেদারল্যান্ড-নামিবিয়া, আয়ারল্যান্ড-জিম্বাবুয়ে, বাংলাদেশ- আয়ারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড- স্কটল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ, নিউজিল্যান্ড-নেদারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড-আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া-স্কটল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার সিরিজগুলোর বাতিল করতে হয়েছে।
এরপর ৮ জুলাই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ দিয়ে মাঠে ফিরেছে ক্রিকেট। কিন্তু তখনো অনেক নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্যদিয়ে সিরিজ আয়োজন করতে হতো কর্তৃপক্ষের। প্রথমদিকে দর্শকশূন্যে মাঠে খেলা হয়েছে। এরপর আস্তে আস্তে গ্যালারিতে দর্শক প্রবেশের অনুমতি থাকলেও পুরোপুরি ছিল না।
স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা অনুসারে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক দর্শক প্রবেশ করতে পারত। তখন আবির্ভাব হয়েছে নতুন নতুন নিয়মের। ব্যাটার ছক্কা হাঁকালে সে বল দ্বিতীয়বার আর মাঠে আনা হতো না। সেটি গ্যালারিতেই পড়ে থাকত। আবার নতুন বল দিয়ে ম্যাচ শুরু করা হতো।
সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে এত সব কঠিন নিয়মকানুন ধীরে ধীরে শিথিল হচ্ছিল। মাঠে ফিরেছে দর্শক, দর্শকদের উত্তেজনায় ক্রিকেটাররা নিজেদের প্রাণ ফিরে পেয়েছেন। নতুন উদ্যমে আবার খেলা শুরু করেছে তারা। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এসে আবারো সেই করোনা ভাইরাস হানা দিয়েছে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে। ইতোমধ্যে ক্রিকেট বিশ্বে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। যাদের নিয়ে বেশ শঙ্কায় আছে দলের অন্যান্য সতীর্থরা। এদের মধ্যে ভারতীয় দলের ক্রিকেটার সর্বোচ্চ সংখ্যক। তিন ওয়ানডে ও তিন টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজসহ আকেরটি পূর্বনির্ধারিত টেস্ট ম্যাচের জন্য ইংল্যান্ডে অবস্থান করছে ভারতীয় দল।
ইংল্যান্ডের উদ্দেশে দেশ ছাড়ার আগেই দুঃসংবাদ পেয়েছে তারা। ইংল্যান্ড সফর করার ঠিক আগেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তবে তিনি পুরো সুস্থ হয়ে সম্প্রতি ভারতীয় শিবিরে যোগ দেন। তবে ইংল্যান্ড গিয়েও করোনা পিছু ছাড়ছে না ভারতীয় দলের।
পহেলা জুলাই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বার্মিংহাম টেস্টের জন্য প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথমদিনেই বড় ধাক্কা খেয়েছে টিম ইন্ডিয়া। লন্ডনের পৌঁছানোর পর করোনায় আক্রান্ত হয়েছে সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলি। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, মালদ্বীপে ছুটি কাটাতে ফিরে আসার পর বিরাট কোহলিও কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু এখন তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
বিরাট কোহলির পর এবার আবারো ভারতীয় শিবিরে করোনার হানা। এবার করোনায় আক্রান্ত দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এজন্য তিনি বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন। গত শনিবার ভারতীয় অধিনায়কের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সেই পরীক্ষায় পজিটিভ হয়েছেন তিনি।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিষয়টি নিশ্চিত করতে গিয়ে বলেছে, শনিবার একটি র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করার পরে টিম ইন্ডিয়া ক্যাপ্টেন মিস্টার রোহিত শর্মার কোভিড-১৯ পরীক্ষার ফল পজিটিভ এসেছে। তিনি এই মুহূর্তে টিম হোটেলে আইসোলেশনে রয়েছেন এবং বিসিসিআই মেডিকেল টিমের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। এর আগে গত বছর সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ড সফরে গিয়ে কোভিড আক্রান্ত হয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল। সেই সিরিজে ৪টি টেস্ট হওয়ার পরে পঞ্চম টেস্ট বাতিল হয়ে যায়। শুধু ভারতই নয়।
করোনা ভাইরাস আঘাত হেনেছে ইংলিশ শিবিরেও। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ব্যস্ত সময় পাড় করছে ইংল্যান্ড। ঘরের মাঠে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম দুটিতে জয়ের সুবাদে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ নিশ্চিত করে নিয়েছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। সিরিজের শেষ ম্যাচের মাঝপথে এসে ইংল্যান্ড শিবিরে করোনা হানা দিয়েছে।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চলতি হেডিংলি টেস্টের চতুর্থ দিনের আগে করোনা পজিটিভ হয়েছেন ইংলিশ উইকেটরক্ষক বেন ফোকস। এজন্য টেস্টের মাঝপথেই ছিটকে গেছেন তিনি। তার পরিবর্তে উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব পেয়েছেন স্যাম বিলিংস। বেন ফোকসের সম্পর্কে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পিঠে অস্বস্তিবোধ করায় ফোকস টেস্টের তৃতীয় দিন মাঠে নামতে পারেননি। শনিবার বিকালে তার করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ ধরা পড়েছে। করোনাবিধি অনুযায়ী, ম্যাচ চলাকালে কোনো ক্রিকেটার করোনা পজিটিভ হলে তার বদলে রিপ্লেসমেন্ট নেয়া যাবে।
ইংল্যান্ড ফোকসের বদলি হিসেবে একাদশে সুযোগ পেয়েছেন স্যাম বিলিংস। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই সিরিজ শুরুর প্রথম ম্যাচের আগে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ছিটকে গেছেন কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। তার পরিবর্তে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পালন করছে টম লাথাম।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়