সেন্ট লুসিয়ায় ধীরে এগুগোচ্ছে উইন্ডিজ

আগের সংবাদ

বিধ্বস্ত শহরে ভূতুড়ে নিস্তব্ধতা : আদালতের নিয়মিত বিচারকাজ বন্ধ > অফিসপাড়া নিথর > বন্ধ হাসন রাজা মিউজিয়াম > পথে পথে ক্ষতচিহ্ন

পরের সংবাদ

কুরবানির জন্য প্রস্তুত দুই শতাধিক গরু : শাহীনের সফলতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বাড়ছে নতুন খামারি

প্রকাশিত: জুন ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মোহাম্মদ সোহেল, নোয়াখালী থেকে : বর্তমানে বৃহত্তর নোয়াখালী ও বৃহত্তর কুমিল্লা অঞ্চলে প্রাকৃতিক উপায়ে গরু মোটাতাজাকরণের সবচেয়ে বড় খামার মানফাত মিট ক্যাটেল এন্ড ডেইরি ফার্ম খামার। এ খামারটি দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে নোয়াখালী অঞ্চলে প্রতিনিয়তই বাড়ছে নতুন নতুন খামারি। প্রতি বছর ঈদুল আজহাসহ সারা বছরে নোয়াখালী অঞ্চলের মানুষকে পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত গরুর মাংস জোগান দেয়া হয় এ খামার থেকে। এবারো আসন্ন ঈদুল আজহায় বিক্রির জন্য সুস্থ ও সুঠাম দেহের দুই শতাধিক গরু প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
২০১৮ সালে ৭ একর পতিত জমিতে একটি শেড বানিয়ে ৮০টি গরু দিয়ে যাত্রা শুরু করেন আইনজীবী ও রাজনৈতিক ব্যক্তি শিহাব উদ্দিন শাহীন। এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি তাকে। এখন প্রতিবছর দুই শতাধিক গরু বিক্রি করেন তিনি। তার সফলতা দেখে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন জেলার নতুন খামারিরা। নোয়াখালীর সদর উপজেলার ৬নং নোয়াখালী ইউনিয়নের পশ্চিম চর উড়িয়া গ্রামের খলিল মিয়ার দরজা এলাকায় এমন উন্নত ও আধুনিক মানফাত মিট ক্যাটেল এন্ড ডেইরি ফার্ম খামারটি দৃষ্টি কাড়ছে সবার। মোটাতাজা ও দুগ্ধ উৎপাদনের জন্য ৮০টি শাহিওয়াল ও ফ্রিজিয়ান জাতের গরু দিয়ে যাত্রা শুরু হয়। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রতিদিন গমের ভুসি, মুগডাল ভুসি, মসুর ভুসি, সয়াবিন খৈল, কাঁচা ঘাস, খড় ও লবণ ছাড়াও দেশীয় বিভিন্ন দানাদার খাবার দেয়া হয় গরুকে। ব্যবহার করা হয় না কোনো মোটাতাজাকরণ ইনজেশন। সাতজন শ্রমিক সারাক্ষণ সেবায় খামারের কাজে নিয়োজিত থাকেন। খামারের মালিক উদ্যোক্তা শিহাব উদ্দিন শাহীন বলেন, স্বাধীনতার আগ থেকেই আমাদের পরিবার কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত। আমাদের আগে বাথান ছিল, যা এখনো আছে। বর্তমানে বাথানে দেশীয় গরু, মহিষ ও ভেড়া রয়েছে। দীর্ঘদিন আমাদের দুধের গাভী ছিল। আমি সেখান থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছি। নোয়াখালীতে প্রথম আমি লাইভ ওয়েট স্কেলে গরু বিক্রি শুরু করি। পরে আমার দেখাদেখি অন্যরাও শুরু করেছে। আমি মনে করি বাজারে গেলে মানুষ বিভিন্নভাবে প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গৌতম চন্দ্র দাস বলেন, দীর্ঘদিন থেকেই আমি এই আধুনিক গরুর খামারের নানা দিক নিয়ে পরামর্শ দিয়ে আসছি। গরুর খাদ্য, স্বাস্থ্যচিকিৎসা ছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ে খামারির সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। গরুর খুরারোগের ভ্যাকসিনসহ সব ভ্যাকসিন যথা সময়ে দেয়া হচ্ছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কাজী রফিকুজ্জামান বলেন, নোয়াখালীতে কুরবানির জন্য এ বছর ১ লাখ গবাদিপশু লালন-পালন করা হচ্ছে, যা আমাদের চাহিদার থেকে ১০ হাজার বেশি। যা আমরা অন্য জেলায় পাঠাতে পারব। ঈদুল আজহা সামনে রেখে ক্রেতা-বিক্রেতা যেন অবাধে তাদের পশু ক্রয়-বিক্রয় করতে পারে, সে জন্য জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে মিটিং করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়