গ্রেপ্তার ৪ ডাকাত : বন্যার কারণে বেড়ে যেতে পারে ডাকাতি আশঙ্কা পুলিশের

আগের সংবাদ

আ.লীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

পরের সংবাদ

জনশুমারি ও গৃহগণনা : সঠিকভাবে প্রতিবন্ধীদের তথ্য সংগ্রহ না করার অভিযোগ

প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দেশে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নির্ভরযোগ্য কোনো পরিসংখ্যান নেই। বিভিন্ন উৎস থেকে পাওয়া তথ্যের মধ্যেও রয়েছে অসামঞ্জস্য। যেমন-জনশুমারি ২০১১ অনুযায়ী ১ দশমিক ৪১ শতাংশ, খানা আয়-ব্যয় জরিপ ২০১০ অনুযায়ী ৯ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ, খানা আয়-ব্যয় জরিপ ২০১৬ অনুযায়ী ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ, ন্যাশনাল সার্ভে অন পারসনস উইথ ডিজ্যাবিলিটিজ (এনএসপিডি) অনুযায়ী ২ দশমিক ৮ শতাংশ, প্রতিবন্ধিতা শনাক্তকরণ জরিপ (২১ জুন ২০২২ পর্যন্ত) ২৫ লাখ ৭৯ হাজার ৩৯৯ জন। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রাপ্ত পর্যবেক্ষণেরর তথ্য অনুযায়ী সদ্য সমাপ্ত জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ তেও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সঠিক সংখ্যা পাওয়া যাবে না বলে শঙ্কা রয়েছে। কারণ তথ্য সংগ্রহকারীরা সঠিকভাবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহ করেনি।
‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২-তে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহের ওপর প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংগঠনের পর্যবেক্ষণ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করা হয়। অ্যাকসেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন, ডিজ্যাবিলিটি রাইটস ফান্ড, এনসিডিডব্লিউ, সীতাকুন্ড ফেডারেশন, টার্নিংপয়েন্ট ও ডব্লিউডিডিএফ যৌথভাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। গতকাল সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন অ্যাকসেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক আলবার্ট মোল্লা। সংস্থার চেয়ারপারসন মহুয়া পাল স্বাগত বক্তব্য দেন। ডব্লিউডিডিএফের নির্বাহী পরিচালক আশরাফুন নাহার মিষ্টি জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২-এর মাঠ পর্যায়ের তথ্যের ভিত্তিতে পর্যবেক্ষণসমূহ তুলে ধরেন।
আলবার্ট মোল্লা বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সঠিকভাবে গণনায় আনা আমাদের জন্য একটি বড় সুযোগ ছিল। তাহলে নির্ভরযোগ্য তথ্যের যে অভাব ছিল তা দূরীভূত হতো এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য পরিকল্পনা প্রণয়ন, প্রকল্প তৈরি ও বাজেট বরাদ্দ করা যেত।
পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২তে অধিকাংশ তথ্য সংগ্রহকারী প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক প্রশ্ন করেনি, বাসায় কোনো প্রতিবন্ধী ব্যক্তি আছে কিনা সে বিষয়েও প্রশ্ন করেনি। এমনকি দৃশ্যমান প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদেরও তারা প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক কোনো প্রশ্ন করেনি, কোনো কোনো তথ্য সংগ্রহকারী মৌলিক কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর নিয়ে সম্পূর্ণ প্রশ্নাবলি শেষ না করেই চলে গেছে, দেখা গেছে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা প্রতিবন্ধিতার বিষয়টি উল্লেখ করার পরও তথ্য সংগ্রহকারীরা সঠিকভাবে তথ্য সংগ্রহ করেনি, তথ্য সংগ্রহকারীরা সব বাড়িতে যায়নি, ঢাকা শহরের কোন কোন অ্যাপার্টমেন্টের দারোয়ানকে গিয়ে কতটি ফ্ল্যাট ও একেকটি ফ্ল্যাটে কতজন করে মানুষ থাকে জিজ্ঞাসা করে চলে গেছে- এমন আরো অনেক বিষয় দেখা গেছে।
এই পরিস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলন থেকে জনশুমারি ও গৃহগণনা শেষ হলেও বাদ পড়া প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের তথ্য যাতে সঠিকভাবে গণনায় আসে সেজন্য কিছুদিন ডিজিটাল ব্যবস্থা চালু রাখা এবং নির্দেশনা দেয়া যাতে বাদ পড়া ব্যক্তিরা অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ পায় সেই বিষয়ে সরকারের কাছে জোরালো দাবি করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়