বন্যায় উদ্ধার ও ত্রাণ : সরকারের উদাসীনতার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ বাম জোটের

আগের সংবাদ

ত্রাণ পৌঁছেনি প্রত্যন্ত জনপদে : এখনো পানিবন্দি লাখ লাখ মানুষ, সিলেট বিভাগে বন্যায় ২২ জনের মৃত্যু

পরের সংবাদ

শ্রীলঙ্কায় পাম্পে পেট্রল ফুরাতেই বিক্ষোভ : সেনাবাহিনীর গুলি

প্রকাশিত: জুন ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : পেট্রল পাম্পের সামনে দীর্ঘ লাইন মোটরবাইকের। তেলের অপেক্ষায়। একসময় ফুরিয়ে এলো তেলের সরবরাহ। কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হলো বিক্ষোভ। ২০-৩০ জনের একটি দল পাথর ছুড়তে শুরু করল। এতে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা একটি সেনাবাহিনীর ট্রাক ক্ষতিগ্রস্ত হলে বিক্ষুব্ধ জনতার ওপর চড়াও হলো সেনারা। একপর্যায়ে তারা গুলিও ছোড়ে। এতে কেউ নিহত না হলেও দুই পক্ষের সংঘাতে অন্তত ডজনখানেক মানুষ আহত হয় বলে খবর পাওয়া গেছে। কর্মকর্তারা জানান, বিক্ষুব্ধ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি চালাতে বাধ্য হয় সেনারা।
শ্রীলঙ্কার বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার কার্যত তলানিতে এসে ঠেকেছে। আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত দেশটিতে জ্বালানি সংকট চরমে। তার জেরে নিত্যদিন দেশের নানা প্রান্তে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন নাগরিকরা। তবে গত রবিবার রাতে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়, তা ছিল নজিরবিহীন! স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, পাম্পে জ্বালানি সংগ্রহের জন্য ভিড় জমিয়েছিলেন বহু নাগরিক। কিন্তু পাম্প কর্তৃপক্ষ পেট্রল শেষ হয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন অনেকে। পরিস্থিতি এমন অবস্থায় পৌঁছায় যে, গুলি চালাতে বাধ্য হয় শ্রীলঙ্কার সেনা। এটি কলম্বো থেকে উত্তরে ৩৬৫ কিলোমিটার দূরে বিসুভামাডু অঞ্চলের ঘটনা। এর আগের দিন রাত থেকেই জ্বালানি সংগ্রহের লাইন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছিল। তখনই প্রমাদ গুনছিলেন অনেকে। সেনার মুখপাত্র নিলান্ত প্রেমরতেœ জানান, সেখানে হঠাৎ করেই উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়। ২০-৩০ জনের একটি দল পাথর ছুড়তে শুরু করে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেনার একটি ট্রাক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি চালাতে বাধ্য হয় সেনারা।

পুলিশ সূত্রে খবর, সেনারা গুলি চালানো শুরু হতেই ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় বিক্ষোভকারীরা। তবে এ ঘটনায় চারজন সাধারণ নাগরিক এবং তিনজন সেনা আহত হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ওই পাম্পটিতে পেট্রল শেষ হয়ে গিয়েছিল। তার পরেই মোটরবাইকের আরোহীরা প্রতিবাদ শুরু করেন। সেখান থেকেই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ রূপ নেয়। প্রসঙ্গত, শ্রীলঙ্কার আর্থিক সংকট এতটাই বেহাল যে, বিদেশ থেকে প্রয়োজন মতো জ্বালানি আমদানি করতে অপারগ প্রশাসন। বাড়ন্ত ওষুধ, খাবারও। এই পরিস্থিতিতে ভারত এবং আরো কিছু দেশ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা সামান্যই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়