সোনাইমুড়ী (নোয়াখালী) প্রতিনিধি : সোনাইমুড়ীর দেওটি ইউনিয়নের পিতম্বরপুর গ্রামে জান্নাতুল ফেরদৌস পাখি হত্যাকাণ্ডে আরো একজনকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার চার দিনের মাথায় গত শনিবার বিকালে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ ওই গ্রামের হাজি বাড়ির শামসুল আলমের ছেলে শাহাদাত হোসেন জীবনকে (২৪) আটক করে। তার দেয়া তথ্য মতে, পুলিশ হত্যার কাজে ব্যবহৃত ছুরি ও পাখির ব্যবহৃত মোবাইল ফোন পাশের ডোবা থেকে উদ্ধার করে।
সোনাইমুড়ী থানার ওসি হারুন রশিদ জানান, গত শনিবার সকালে আটক শাহাদাত হোসেন জীবনকে নিয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে তার দেয়া তথ্য মতে হত্যাকাণ্ডের স্থান থেকে একশ গজ দূরে একটি ডোবা থেকে ছুরি ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। তার সঙ্গে নিহত পাখির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ১৪ জুন সন্ধ্যায় উভয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলে পাশের সবজি ক্ষেতে মিলিত হন। তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির জেরে শাহাদাত ক্ষিপ্ত হয়ে ছুরি দিয়ে গলা কেটে পাখিকে হত্যা করে। পরে তার হাত-পায়ের রগ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। শাহাদাত হোসেন বিবাহিত। সে পেশায় রাজমিস্ত্রি। তাকে আরো জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য রিমান্ড চেয়ে গতকাল রবিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গত ১৫ জুন দুপুর ১২টায় উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের পিতম্বরপুর গ্রামের মনগাজী হাজী বাড়ির মহিন উদ্দিনের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস পাখির (৩০) গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই কায়সার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পরদিন পুলিশ সন্দেহভাজন চারজনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠায়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।