প্রকাশিত: জুন ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
কাগজ ডেস্ক : লিভারপুল এবং মিসরের আক্রমণভাগের প্রাণভোমরা মো. সালাহ দুই মাস ধরে ইনজুরিতে ভুগছেন এমনটাই জানিয়েছেন মিসরের জাতীয় ফুটবল দলের ডাক্তাররা। সবশেষ মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫১ ম্যাচ খেলেন সালাহ, তার মধ্যে ৪৫টিতে প্রথম একাদশে ছিলেন। একই সঙ্গে মিসরের হয়ে ১৫ ম্যাচ খেলেন। এর মধ্যে সাতটি ম্যাচ ছিল আফ্রিকান নেশন্স কাপ, যেখানে দেশকে ফাইনালে তুলতে অবদান রাখেন, যে ম্যাচে পেনাল্টিতে সেনেগালের কাছে হেরে যায় তার দল। সব মিলিয়ে ৬৬ ম্যাচ খেলেছেন সালাহ। দুই মাস ধরে ইনজুরিতে ভুগছেন লিভারপুল তারকা মোহাম্মদ সালাহ। ফিটনেস সমস্যা নিয়ে খেলেছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল। ডাক্তাররা বলছেন এ জন্য ফিটনেস সমস্যায় ভুগছেন সালাহ। গত ১৪ মে চেলসির বিপক্ষে এফএ কাপ ফাইনালের প্রথমার্ধে চোট পান সালাহ। পরের প্রিমিয়ার লিগ ম্যাচে খেলেননি। রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে খেলা ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে জেনেও উলভসের বিপক্ষে শেষ লিগ ম্যাচে ৩২ মিনিট মাঠে ছিলেন।
প্যারিসে ১-০ গোলে হারের ম্যাচে পুরো ৯০ মিনিট খেলেছিলেন সালাহ। পরে এই মাসের শুরুতে গিনির বিপক্ষে আফ্রিকান নেশন্স কাপের ম্যাচে মিসরকে নেতৃত্ব দেন। তার জাতীয় দলের চিকিৎসক মোহাম্মদ আবু ইল ইলা জানালেন, চোট নিয়ে তিনি খেলেছেন ইউরোপ সেরা প্রতিযোগিতার ফাইনাল। এমনকি জাতীয় দলে যোগ দেয়ার সময়ও ইনজুরি পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেননি ৩০ বছর বয়সি ফরোয়ার্ড।
অন টাইম স্পোর্টসকে ইল ইলা বলেছেন, ‘এফএ কাপ ফাইনালে অ্যাডাক্টর মাসলের চোটে পড়েন সালাহ। তারপর উলভসের বিপক্ষে ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে খেলেছেন এবং দুটি ম্যাচই হয়েছে মাত্র ১৪ দিনে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা একটা পরিসংখ্যান জানলাম যে মিনিটের বিবেচনায় এই মৌসুমে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সময় মাঠে কাটানো খেলোয়াড় সালাহ।’
অনলাইনে কোন খেলোয়াড়দের সবচেয়ে বেশি হেনস্তা করা হয়, এ নিয়ে ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা নতুন এক সমীক্ষা চালিয়েছে। যে ফল এসেছে, তাতে চমকে উঠতে হয়েছে। দেখা গেছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হেনস্তাকারীরা খেলোয়াড়ের নিজ দেশের। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রতিষ্ঠান হেনস্তাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিজ্ঞা করলেও বহুদিন পরও হয়রানিমূলক পোস্টগুলো সরানো হয়নি। আর অনলাইনে সবচেয়ে বেশি হেনস্তার শিকার হয়েছেন ইংল্যান্ডের মার্কাস রাশফোর্ড, বুকায়ো সাকা এবং মিসরের মোহাম্মদ সালাহ।
২০২০ ইউরো এবং ২০২১ আফ্রিকান নেশন্স লিগ ফাইনালে খেলোয়াড় ও কোচদের উদ্দেশে টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে করা ৪ লাখ ৯৮৭টি হয়রানিমূলক বার্তার ওপর নির্ভর করে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে। ইউরোর ফাইনালে হারের কারণে ইংল্যান্ডের দুই কৃষ্ণাঙ্গ উইঙ্গার রাশফোর্ড ও সাকাকেই সবচেয়ে বেশি হয়রানি করা হয়েছে।
দুজনই ফাইনালে পেনাল্টি শুটআউটে নিজেদের শট থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।