উদ্ধার করা হয়েছে সুনামগঞ্জে আটকা পড়া ঢাবির ২১ শিক্ষার্থীকে

আগের সংবাদ

আশ্রয়-খাবার নেই, ত্রাণ নামমাত্র : সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যার ভয়ংকর নির্মমতা > দুই জেলায় তিনজনের মৃত্যু > সিলেটের সঙ্গে যোগাযোগ চালু

পরের সংবাদ

প্রস্তাবিত বাজেট সংশোধন প্রস্তাব > মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই বড় চ্যালেঞ্জ : বিসিআই

প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই প্রস্তাবিত বাজেটের মূল চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)। এমন কঠিন সময়ে এরূপ উচ্চ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ঘোষিত বাজেট আশাব্যঞ্জক হলেও সুশাসন, যথাযথ মনিটরিং, দক্ষতা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও যথাযথ পরিকল্পনা নিশ্চিত করা না গেলে বাস্তবায়নে সরকারকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটির সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ)। গতকাল শনিবার বিসিআই আয়োজিত ‘প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট (২০২২-২০২৩) এর চূড়ান্ত করার আগে কিছু সংশোধন প্রস্তাবনা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন মোস্তফা আজাদ চৌধূরী বাবু, এফবিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি ও বিসিআই সাবেক সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম, এমসিসিআই সভাপতি এবং বিসিআইর পরিচালক ও সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে বিসিআই সভাপতি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৫.৬ শতাংশের মধ্যে রাখার কথা উল্লেখ করা হলেও তা বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা পরিলক্ষিত হচ্ছে না। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে দেশীয় শিল্পের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা জরুরি। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নি¤œ আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য রেশনিং ব্যবস্থা জোরদার করার প্রস্তাব করছি। আবার বাজেটের ঘাটতি পূরণের ক্ষেত্রে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ১ লাখ কোটি টাকার উপর প্রভিশনকে শিল্পের বিকাশের ক্ষেত্রে অন্তরায় হবে বলে মনে করি। তাই মনে হয় প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রাজস্ব ঘাটতি ও অর্থায়নসহ অন্যান্য বিষয়গুলো অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং।
বিসিআই মনে করে বর্তমান সংকটময় বিশ্ব পরিস্থিতিতে সব ক্ষেত্রে অপচয় কমিয়ে আনতে হবে। খাদ্যপণ্য উৎপাদন, বিপণন এবং পরিবহন পর্যায়ে অপচয় ও চাঁদাবাজি বন্ধ করা জরুরি। যানজট নিরসন, বিয়ে, বাড়ি, অফিস, মসজিদে যতটুকু দরকার ততটুকু ইলেকট্রিসিটি, পানি ব্যবহার, অতিরিক্ত আলোকসজ্জা না করা ইত্যাদির মাধ্যমে সম্পদ অপচয় কমিয়ে এনে সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা করা জরুরি। আবার অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে রাজস্ব বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া ছাড়া বিকল্প নেই।
পারভেজ বলেন, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন বর্তমান সংকটময় বিশ্ব অর্থনীতিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ করে আমাদের মতো আমদানিনির্ভর দেশগুলোতে। প্রস্তাবিত বাজেটে তৈরি পোশাক শিল্পের ন্যায় সব ধরনের রপ্তানিমুখী কোম্পানির করহারও ১২ শতাংশ করা হয়েছে, যা বিসিআইর দীর্ঘদিনের দাবির প্রতিফলন।
তবে রপ্তানি ক্ষেত্রে উৎসে কর দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ১ শতাংশ প্রস্তাব করা হয়েছে, যা বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে রপ্তানির ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আমরা মনে করি। প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে প্রণোদনা প্রদানকে আমরা স্বাগত জানাই। প্রয়োজনে ডলারের মূল্য অবমূল্যায়ন করে প্রবাসী আয়কে আরো উৎসাহিত করা জরুরি। সংবাদ সম্মেলনে আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পুনর্বিবেচনার জন্য কিছু সুপারিশ করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়