আরো ৩১ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি

আগের সংবাদ

জলে ভাসা সিলেট এক বিচ্ছিন্ন জনপদ : ১২২ বছরের ইতিহাসে ভয়াবহ বন্যা > আশ্রয়ের খোঁজে অসহায় মানুষ > বন্যার্তদের উদ্ধারে নৌবাহিনী, যুক্ত হচ্ছে হেলিকপ্টার-ক্রুজ

পরের সংবাদ

বৃষ্টিতে হালদায় উর্বরতা : তৃতীয়বারের মতো ডিম ছেড়েছে মা মাছ

প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র চট্টগ্রামের হালদা নদীতে মা মাছ ডিম ছেড়েছে। এ বছর তৃতীয়বারের মতো কার্প জাতীয় রুই, কাতল, মৃগেলের মা মাছ বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) রাত ২টার পর থেকে নদীর কয়েকটি স্থানে ডিম ছাড়তে শুরু করে। সে সময় নৌকার সংখ্যা কম থাকলেও শুক্রবার সকাল থেকে ২ শতাধিক ডিম সংগ্রহকারী নেমে পড়েন ডিম সংগ্রহে। অনবরত বৃষ্টি থাকলে ভালো ডিম পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা লাভলী বলেন, গভীর রাতে নদীতে মা মাছ ডিম ছেড়েছে। আপস্ট্রিমে সংগ্রহকারীরা ডিম পেয়েছে। এখনো নদীতে সংগ্রহকারীরা আছেন। যারা রাতে ও ভোরে ডিম সংগ্রহ করতে পেরেছেন তারা ডিম নিয়ে হ্যাচারিতে গেছেন। আরো কিছু ডিম মিলতে পারে বলে আশা করছেন হালদা পাড়ের মানুষ।
হালদা রিসার্চ ল্যাবরেটরির সমন্বয়ক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে বজ্রসহ বৃষ্টির মধ্যে জোয়ার শুরু হয়। রাত ২টার পর বিক্ষিপ্তভাবে ডিম সংগ্রহ করছেন সংগ্রহকারীরা। এখনো ডিম সংগ্রহের কাজ চলছে। রাত ২টা থেকে যারা ডিম সংগ্রহ করছেন তারা মোটামুটি ভালো পরিমাণে ডিম সংগ্রহ করতে পেরেছেন।
তিনি বলেন, যদি এমন লাগাতার বৃষ্টি থাকে তাহলে ভালো পরিমাণে ডিম পাওয়ার আশা করতে পারি। এ দফায় সব মিলিয়ে আগের দুবারের চেয়ে বেশি ডিম মিলতে পারে। এখন মৌসুমের শেষ সময়। ভারি বৃষ্টি হলেই মা মাছ ডিম ছেড়ে দেবে। এবারের পাঁচটি জো শেষ হলো। আগামী ২৩ থেকে ৩০ জুন শেষ জো। তখনো ডিম ছাড়তে পারে। কী পরিমাণ ডিম সংগ্রহ হয়েছে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, শুক্রবার (১৭ জুন) সকাল থেকে ৩ শতাধিক নৌকা নিয়ে জেলেরা ডিম সংগ্রহ করতে নেমেছেন। এখনো ডিম সংগ্রহের কাজ চলছে। পরিপূর্ণ হিসাব করতে আরো কিছুটা সময় লাগবে।
এর আগে পর্যাপ্ত বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল ছাড়াই হালদা নদীতে গত ১৬ মে দুই দফায় ডিম ছেড়েছিল মা মাছ। গত ১৬ মে ভোরে প্রথম দফায় এবং সেদিন রাতে দ্বিতীয় দফায় ডিম ছাড়ে। তবে ওই সময় সংগ্রহ করা ডিমের পরিমাণ ছিল খুবই কম। জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের হিসাবে প্রথম দুই দফায় ৩২০০ কেজির মতো ডিম মিলেছিল। বছরের এই সময়ে (এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে জুন পর্যন্ত) বজ্রসহ বৃষ্টি এবং পাহাড়ি ঢল নামলে অমাবস্যা বা পূর্ণিমা তিথিতে নদীতে জোয়ার ও ভাটার সময়ে নিষিক্ত ডিম ছাড়ে কার্প জাতীয় মাছ। সেই নিষিক্ত ডিম জাল দিয়ে সংগ্রহ করেন ডিম সংগ্রহকারীরা। ডিম ছাড়ার অল্প সময়ের মধ্যেই তা সংগ্রহ করতে হয়। তাই মা মাছের ডিম ছাড়ার অপেক্ষায় নদীতে নৌকা নিয়ে অবস্থান নেন ডিম সংগ্রহকারীরা। কর্ণফুলী নদীর সঙ্গে হালদা নদীর মোহনাস্থল চট্টগ্রামের মদুনাঘাট থেকে সমিতির হাট পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার অংশে হাটাহাজারী ও রাউজান সংলগ্ন অংশেই পাওয় যায় মা মাছের নিষিক্ত ডিম।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়