কাগজ প্রতিবেদক : মানহানি ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে দায়ের করা দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে স্থায়ী জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি সাহেদ নূর উদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী কায়সার কামাল পরে গণমাধ্যমকে বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন মোট ৩৭টি মামলার মধ্যে ৪টিতে স্থায়ী জামিন পেলেন।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী ২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর আদালতে নালিশি মামলা করেন। মামলার আরজিতে বলা হয়, ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন খালেদা জিয়া। সেদিন তিনি (খালেদা জিয়া) বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সব ধরনের মানুষের ওপর আঘাত করে। আর লোক দেখানো ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দখল করে নেয়। আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশ পরে আছে। এ জবরদখলকারী সরকারের হাতে কোনো ধর্মের মানুষই নিরাপদ নয়।’ এই বক্তব্যের মাধ্যমে খালেদা জিয়া মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছেন বলে মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এরপর ২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারি ঢাকার আদালতে আরেকটি মানহানির মামলা করেন এ বি সিদ্দিকী।
ওই মামলার আরজিতে বলা হয়, ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খালেদা জিয়া বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান দেশের স্বাধীনতা চান নাই। তিনি চেয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রিত্ব। জেনারেল জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ায় এ দেশের জনগণ যুদ্ধে নেমেছিল।’
এর আগে ২০১৯ সালের ১৮ জুন হাইকোর্ট ওই দুই মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন প্রশ্নে রুল দিয়ে তাকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। কেন আবেদনকারীকে (খালেদা জিয়া) নিয়মিত জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। এরপর কয়েক দফা জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। গতকাল উভয় মামলায় স্থায়ী জামিন দিলেন আদালত।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।