সোহেল চৌধুরী হত্যা : শেষ দিনেও দাখিল হয়নি কেস ডকেট

আগের সংবাদ

ভয়াবহ বন্যায় দিশাহারা মানুষ

পরের সংবাদ

আওয়ামী লীগ নেতা টিপু হত্যা : জিসানের নির্দেশে মুসাকে অস্ত্র সরবরাহ করে জিতু

প্রকাশিত: জুন ১৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ওরফে টিপু (৫৫) ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরান প্রীতি (২২) হত্যা মামলায় জিতু নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত বুধবার দিবাগত রাতে রাজধানীর মগবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তার ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ নিয়ে টিপু-প্রীতি হত্যা মামলায় ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে এই হত্যা মামলায় আগেই গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যাওয়া মারুফ খানকে ২ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর মারুফের ২ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জিতুর ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল জানিয়ে ডিবি পুলিশ বলছে, মূল সন্দেহভাজন সুমন শিকদার মুসাকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করেছিলেন জিতু। হত্যাকাণ্ডের প্রায় দেড় মাস আগে মুসা আন্ডারওয়ার্ল্ড শীর্ষ সন্ত্রাসী জিশানের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র চেয়েছিল। পরে মুসাকে আগ্নেয়াস্ত্র দেন জিতু।
জানা গেছে, মগবাজারের একটি হোটেলে ডিবি ইন্সপেক্টর খুনের ঘটনায় জিতু এর আগে ২ বছর জেলে ছিলেন। ২০০৩ সালে অভিযানের সময় ডিবির একটি দলকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন জিসান ও তার সহযোগীরা।
জিতুর রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, এই আসামি টিপু হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র সরবরাহকারী বলে জানা গেছে। এ ছাড়া এই হত্যাকাণ্ড তার জড়িত থাকার কথা প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার এবং অস্ত্রের উৎস সম্পর্কে তথ্য জানার জন্য তাকে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
অন্য আসামি মারুফ খানের বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, মারুফ খানও হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। তাই তাকে এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী সুমন সিকদার ওরফে শুটার মুসার মুখোমুখি করা হবে। তাহলে হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদ্ঘাটন করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ মার্চ মতিঝিল এজিবি কলোনি এলাকার রেস্তোরাঁ থেকে মাইক্রোবাসে করে বাসায় ফিরছিলেন টিপু। গাড়িটি শাহজাহানপুরের আমতলি পৌঁছালে তাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। এ সময় এলোপাতাড়ি গুলিতে কলেজছাত্রী প্রীতিও নিহত হন। পরে টিপুর স্ত্রী বাদী হয়ে শাহজাহানপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়