আবহাওয়ার পূর্বাভাস : অপরিবর্তিত থাকতে পারে দিন-রাতের তাপমাত্রা

আগের সংবাদ

কুমিল্লায় ভালো ভোটের পর ফলাফল নিয়ে উত্তেজনা : রিফাতকে জয়ী ঘোষণা > অজ্ঞাত ফোনের পর হামলা > মনগড়া ফল : অভিযোগ সাক্কুর

পরের সংবাদ

সংসদে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী : ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ

প্রকাশিত: জুন ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৪০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। গতকাল জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের পরিমাণ দাঁড়াবে ২৮ হাজার ৩০০ সার্কিট কিলোমিটার। একই সময়ে বিদ্যুৎ বিতরণ লাইন ৬ লাখ ১০ হাজারে উন্নীত হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা ৪০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করা হবে।
একই দলের মাহফুজুর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালের আগে দেশে বিদ্যুৎ সুবিধাভুক্ত মানুষ ছিল মাত্র ৪৭ শতাংশ। বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা বেড়ে প্রায় ২২ হাজার ৩৪৮ মেগাওয়াটে (গ্রিডভিত্তিক) দাঁড়িয়েছে, যা ক্যাপটিভ ও অফ-গ্রিড নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ ২৫ হাজার ৫৬৬ মেগাওয়াট। বিদ্যুতের এ উৎপাদনক্ষমতা অর্জনসহ বিদ্যুৎ খাতের সামগ্রিক অগ্রগতির ফলে জাতীয় অর্থনীতিতে এর প্রভাব সুস্পষ্ট।
গণফোরামের এমপি মোকাব্বির খানের এক প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ জানান, জনগণকে সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সরকার প্রতি বছর ক্যাপটিভ রেন্টাল বা ভাড়ায় চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ভর্তুকি দিয়ে থাকে। গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে সরকার ১ হাজার ৭১৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকা এবং ২০২০-২১ অর্থবছরে ১ হাজার ৩৭৮ কোটি ৪১ লাখ টাকা ভাড়ায় চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রে ভর্তুকি দিয়েছে। তবে ২০২১-২২ অর্থবছরে ভাড়ায় চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রে ভর্তুকির পরিমাণ জানাননি তিনি।
দেশে ৯.৩০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ : প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সংসদে আরো জানান, সর্বশেষ প্রাক্কলন অনুযায়ী মোট প্রাথমিক গ্যাস মজুদের পরিমাণ ছিল ৩৯.৯ ট্রিলিয়ন ঘনফুট এবং উত্তোলনযোগ্য প্রমাণিত ও সম্ভাব্য (২পি) মজুদের পরিমাণ ২৮.৪২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। কিন্তু ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে ১৯.১১ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করায় প্রায় ৯.৩০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ রয়েছে। গতকাল সরকারদলীয় সংসদ সদস্য এমপি হাবিবুর রহমানের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
এমপি মোহাম্মদ এবাদুল করিমের এক প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ জানান, বর্তমানে দেশের ৩০টি জেলায় বিভিন্ন শ্রেণির গ্রাহকের (বিদ্যুৎ, ক্যাপটিভ পাওয়ার, শিল্প, সার কারখানা, সিএনজি, গৃহস্থালি, বাণিজ্যিক ও চা বাগান) কাছে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। তিনি জানান, বর্তমানে দেশীয় গ্যাসক্ষেত্র থেকে দৈনিক গড়ে প্রায় ২ হাজার ৩০৩ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদিত হচ্ছে। কিন্তু দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদা দৈনিক গড়ে ৩ হাজার ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম হওয়ায় এলএনজি আমদানির মাধ্যমে ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে চাহিদার কারণে চলমান গ্যাসফিল্ডের উৎপাদন বাড়ানোসহ নতুন নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারের জন্য নানামুখী কার্যক্রম নেয়া হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়