আবহাওয়ার পূর্বাভাস : অপরিবর্তিত থাকতে পারে দিন-রাতের তাপমাত্রা

আগের সংবাদ

কুমিল্লায় ভালো ভোটের পর ফলাফল নিয়ে উত্তেজনা : রিফাতকে জয়ী ঘোষণা > অজ্ঞাত ফোনের পর হামলা > মনগড়া ফল : অভিযোগ সাক্কুর

পরের সংবাদ

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল : মোদির বিরুদ্ধে মুসলিম নিপীড়নের অভিযোগ

প্রকাশিত: জুন ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : বিজেপির নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। বিজেপি শাসিত রাজ্য তা ‘কড়া হাতে’ দমন করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, বর্তমানে ‘সাসপেন্ডেড’ বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্য এবং তৎপরবর্তী বিক্ষোভের ঘটনায় তোলপাড় পড়ে গেছে ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এ বার এই পরিপ্রেক্ষিতে কড়া বিবৃতি জারি করে ভারত সরকারকে মুসলমানদের টার্গেট না করার আবেদন জানাল অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। বিজেপি সাবেক মুখপাত্র নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে আরব দুনিয়ায় কার্যত একঘরে হয়ে যায় ভারত। একাধিক দেশ ভারতের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে শাসক দলের মুখপাত্রের মন্তব্যের বিরোধিতা করে। পশ্চিম এশিয়ার একাধিক দেশে ভারতীয় পণ্য বয়কট করা হয়। বিরোধিতা, বিক্ষোভ শুরু হয় দেশের মধ্যেও। কিন্তু বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলো সেই বিক্ষোভ দমনে ‘অতিরিক্ত কড়া’ পদক্ষেপ গ্রহণ করে বলে অভিযোগ। এ বার সেই পরিপ্রেক্ষিতে কড়া বিবৃতি জারি করল অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। বিবৃতিতে বলা হয়, বিক্ষোভ দমনে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ যেন অবিলম্বে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ থেকে বিরত হয়। বিক্ষোভ দমনের কড়া প্রক্রিয়ায় দেশে এক শিশুসহ দু’জনের মৃত্যু ঘটেছে বলেও দাবি করে অ্যামনেস্টি। প্রেস বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি লিখে, শান্তিপূর্ণ উপায়ে যারা প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তাদের যে কায়দায় আইনশৃঙ্খলার ক্ষেত্রে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে তা গভীর উদ্বেগের বিষয়। একই সঙ্গে মুসলমানদের টার্গেট করে সরকার ক্রমাগত যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছে, তাও চিন্তার বিষয়।
মূলত ভারত সরকার প্রতিশোধমূলক সেই সমস্ত মুসলমানদের ওপর নিপীড়ন করছে, যারা মুখ খোলার স্পর্ধা দেখাচ্ছেন বা তাদের ওপর ঘটা বিদ্বেষের প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
তবে এ বিষয়ে এখনো সরকারের কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালেই ভারতে কার্যক্রম বন্ধ করে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। মানবাধিকার রক্ষায় দৃষ্টান্তমূলক কাজের জন্য অ্যামনেস্টি স্থান পেয়েছে নোবেল শান্তি পুরস্কারের তালিকাতেও। সেই অসরকারি সংস্থাকেই আর্থিক গোলমালের অভিযোগে ‘এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)’ সমস্ত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং আর্থিক লেনদেন বন্ধ করে দেয়। প্রশ্ন তোলা হয় সংস্থায় গৃহীত বিদেশি অনুদানের স্বচ্ছতা নিয়েও। এরপরই ভারতে তাদের সমস্ত শাখা বন্ধ করে দেশ ছাড়ে অ্যামনেস্টি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়