নাসির উদ্দিন জর্জ, শ্রীপুর (গাজীপুর) থেকে : গাজীপুরের শ্রীপুরে অটোরিকশা কেনার টাকা না দেয়ায় পোশাক শ্রমিক স্ত্রী মদিনা বেগমকে (৩৫) গলা টিপে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের ছোট বোন নাসিমা আক্তার। গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পূর্বখণ্ড (ফখরুদ্দিন মোড়) এলাকার ভাড়া বাড়ি থেকে পুলিশ ওই নারী শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকে স্বামী মাসুদ মিয়া পলাতক রয়েছে। শ্রীপুর থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। নিহত মদিনা ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার চর আলগী গ্রামের মোখলেছ মিয়ার মেয়ে এবং একই গ্রামের আসকার আলীর ছেলে মাসুদ মিয়ার স্ত্রী। মদিনা শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পূর্বখণ্ড এলাকার ডেনিমেক লিমিটেড পোশাক কারখানায় ফিনিশিং শাখার অপারেটর পদে চাকরি করতেন। তার স্বামী মাসুদ মিয়া পৌরসভার বৈরাগীরচালা এলাকার আমান টেক্সটাইল কারখানায় ডাইং সেকশনের অপারেটর পদে চাকরি করত।
নিহতের ছোট বোন নাসিমা আক্তার জানান, গত কয়েকদিন ধরে মদিনার স্বামী ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা কেনার জন্য তার বোনের কাছের টাকা চায়। টাকা না দেয়ায় গত এক সপ্তাহ ধরে তাদের মাঝে প্রায়ই ঝগড়া হয়ে থাকে। রবিবার (১২ জুন) রাত ১০টায় কারখানা থেকে এলে আবারো তাদের মাঝে ঝগড়া হয়। পরে তার দুই মেয়ে এবং ছেলে ঘুমিয়ে পড়ে। সকালে ঘুম থেকে উঠে বাড়ির লোকজন গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঘরের বারান্দায় মদিনার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। তারা স্বামী-স্ত্রী দুই মেয়ে মরিয়ম আক্তার (১২), জান্নাতুল ফেরদৌস (১০) এবং ছেলে মাহফুজুর রহমানকে (দেড় বছর) নিয়ে ওই এলাকার শাহজাহান শাহীনের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা।