চাটখিল (নোয়াখালী) প্রতিনিধি : চাটখিলের রামনারায়ণপুর ইউনিয়নের এক নারীকে শ্লীলতাহানি ও মারধর এবং বসতঘর নির্মাণ বন্ধ করে দেয়ার ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়েরের ৬ দিনেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। গত শনিবার সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ধঅভিযোগ করেন ভুক্তভোগী উত্তর রামনারায়ণপুর নেয়াজ আল বেপারি বাড়ির আবুল কাশেমের স্ত্রী তানিয়া আক্তার।
সংবাদ সম্মেলনে তানিয়া অভিযোগ করে বলেন, তার বসতঘর সংস্কার করে সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করার উদ্যোগ নেন তিনি। গত ১ জুন ঘর নির্মাণ করতে গেলে ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী ভুট্টু ও তার ভাই শওকত আলী এবং তাদের সহযোগী মো. সুমন ঘর নির্মাণে বাধা দিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন এবং নির্মাণসামগ্রী লুট করে নিয়ে তানিয়ার ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত ও শ্লীলতাহানি করেন।
তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়। গত ৬ জুন তিনি চাটখিল থানায় অভিযোগ দায়েরের পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়েও আসামিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
উল্টো আসামিদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে তাকে সালিশ বৈঠক করতে পরামর্শ দেন।
সালিশ বসাতে মাতব্বরদের ৩-৫ হাজার টাকা করে দিতে হয়। তার পক্ষে এত টাকা দিয়ে সালিশ বসানো সম্ভব নয়।
তিনি আরো বলেন, পুলিশ আইনগত সহায়তা না দেয়ায় লিয়াকত আলী ভুট্টু তাকে ও তার পরিবারকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতে আরো বেপরোয়া হয়ে পড়েছেন।
তানিয়া আইনগত ব্যবস্থা নিতে পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা চেয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে তার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে চাটখিল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ন কবির বলেন, ঘটনা ভূমি-সংক্রান্ত, তাই উভয়পক্ষকে সালিশে বসতে বলা হয়েছে।
ওই নারীর ওপর হামলা ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় কেন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি এই প্রশ্নে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।