ঐক্য পরিষদের বিবৃতি : ধর্ম মন্ত্রণালয়ে বাজেট বরাদ্দে ধর্মীয় বৈষম্য অবসান দাবি

আগের সংবাদ

নিছক দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা : সীতাকুণ্ড ট্র্যাজেডি

পরের সংবাদ

পানির নিচে পাকা ধান : শ্রমিক সংকটে বিপাকে কৃষক

প্রকাশিত: জুন ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি : ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে এ বছর অতিবৃষ্টিতে পানি বৃদ্ধির ফলে বোরো ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ঢাকার দোহার ও নবাবগঞ্জের কৃষকরা। গত বছর ধান চাষে লাভবান হওয়ায় এ বছর আবাদ বেড়েছে। বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু অতিবৃষ্টি ও আগাম পানি বৃদ্ধির ফলে এ বছর এ অঞ্চলের বিলের বেশির ভাগ ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে এমনটাই বলছেন কৃষক। ফলে বাম্পার ফলনেও হাসি নেই কৃষকের মুখে।
অতিবৃষ্টির ফলে ধান ক্ষেতে পানি জমেছে। ধান গাছ নুইয়ে পড়েছে। একেতো শ্রমিক সংকট তার ওপর পানিতে থাকা ধান কাটতে অতিরিক্ত মজুরি গুনতে হচ্ছে কৃষকদের। শ্রমিক সংকটের কারণে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। কিছু শ্রমিক পাওয়া গেলেও তাদের ১২০০-১৩০০ টাকা মজুরি দিতে হচ্ছে।
জানা যায়, নবাবগঞ্জ উপজেলার চালনাইচক, বাহ্রাচক, চুড়াইন চক, বারুয়াখালী চক, টিকরপুর চক, আড়িয়াল বিল, গালিমপুর পদ্যির চক, বক্সনগর চক, কাঠালীঘাটা চক, বড় গোবিন্দপুর চকসহ উপজেলার সব আবাদি এলাকায় বোরো ও আউশের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু আগাম বন্যা ও বৃষ্টির পানির কারণে বাম্পার ফলনেও ফসল ঘরে তুলতে পারছেন না কৃষকরা।
সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, আড়িয়াল বিলের পদ্যির চক ও কাঠালীঘাটার চকে স্থানীয় এলাকার কিছু নানা পেশার মানুষ পানিতে তলিয়ে যাওয়া ধান কাটছেন। আলগীচর গ্রামের কৃষক বাবু শরীফ বলেন, অসময় বৃষ্টি ও পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আমার ১২ বিঘা জমির ধানসহ বিলের নিচু জমির শত শত বিঘা জমির ধান পানিতে তলিয়ে গেছে।
গালিমপুর পদ্যির চকের কৃষক মতি খান বলেন, সময়মতো শ্রমিক না পাওয়াতে বিলের বেশির ভাগ ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। অনেকে আবার বেশি দামে শ্রমিক নিয়ে তিন বেলা খাওয়া দিয়ে ধান কেটে ঘরে নিতে পারছে। খরচের চেয়ে লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের। অতি বৃষ্টির কারণে নবাবগঞ্জ উপজেলায় এ বছর ধানের কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে এ তথ্য জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. নাহিদুজ্জামান তিনি এ তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
দোহার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মামুন ইয়াকুব বলেন, এবার আমাদের দোহারে ৪৩ দশমিক ২০ হেক্টর ধান হওয়ার কথা ছিল কিন্তু বৃষ্টি ও পানি বৃদ্ধির ফলে ৪৩ হেক্টর ধান হয়েছে। দোহারে ক্ষতির পরিমাণ ২০ শতাংশ। আর এখন জমিতে ধান আছে ২৫-৩০ শতাংশ। বেশির ভাগ ধান কাটা শেষ। সামান্য ক্ষতির আশঙ্কা করছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়