কাগজ ডেস্ক : ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রুশবাহিনী তার দেশের ২০ শতাংশ এলাকা দখল করে নিয়েছে। মস্কোর আগ্রাসনের শততম দিনের কাছাকাছি সময়ে লুক্সেমবার্গের আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সম্মুখসারির যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়েছে এক হাজারের বেশি কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকায়। ভিডিও লিংকে যুক্ত হয়ে আইনপ্রণেতাদের জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়ার সব যুদ্ধ-প্রস্তুত সামরিক গঠন এই আগ্রাসনের সঙ্গে যুক্ত। রুশবাহিনী ডনবাস অঞ্চলের সেভেরোডনেস্ক শহরে হামলা জোরালো করেছে। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলেছেন, রাশিয়া বেশির ভাগ শহর দখল করেছে এবং স্থানীয়ভাবে ক্রমাগত অগ্রগতি অর্জন করে যাচ্ছে, তা সম্ভব করছে গোলাবর্ষণের তীব্রতায়। ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে থাকা সবচেয়ে পূর্বাঞ্চলীয় শহর সেভেরোডনেস্ক। আঞ্চলিক গভর্নর সেরহাই গাইদাই বলেছেন, রাশিয়া ‘সব দিক থেকে’ শহরের প্রতিরক্ষা ভাঙ্গার চেষ্টা করছে।

ইউক্রেনীয় বাহিনী পাল্টা লড়াইয়ে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, কয়েকটি রাজপথ থেকে শত্রæদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে আর বেশ কিছু বন্দিকে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে।
শহরের রাস্তায় তীব্র লড়াই চলতে থাকায় বেসামরিকদের সরিয়ে নেয়ার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে জানিয়ে গভর্নর সেরহাই গাইদাই বলেন, এই ধরনের পদক্ষেপ মারাত্মক বিপজ্জনক। গত বৃহস্পতিবার রাতে দেয়া ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন ডনবাস অঞ্চলের পরিণতি উল্লেখযোগ্যভাবে বদলায়নি কিন্তু সেভেরোডনেস্ক এর যুদ্ধে ইউক্রেনীয়রা কিছুটা সাফল্য পেয়েছে। শহরটিতে প্রায় ১৫ হাজার বেসামরিক আটকে পড়েছে। এর অনেকেই বিশালাকার আজট রাসায়নিক কারখানায় আশ্রয় নিয়েছেন। এর আগে বুধবার ওই কারখানায় বোমা বর্ষণের পর সেটাকে রাশিয়ার ‘পাগলামি’ আখ্যা দেন জেলেনস্কি।
আরো দক্ষিণে দখলকৃত মারিউপোল শহরের মেয়র অভিযোগ তুলেছেন মস্কো সমর্থিত নতুন শহর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতা করতে অস্বীকার করা বেসামরিক কর্মীদের হত্যা করছে রুশ বাহিনী। মারিউপোল পতনের আগে সেখান থেকে সরিয়ে নেয়া হয় মেয়র ভাদিম বোয়েচেঙ্কোকে। তিনি বলেছেন, বহু বাসিন্দাকে ওলেনিভকা কারাগারে রাখা হয়েছে আর তিনি খবর শুনেছেন দখলকারী বাহিনী স্থানীয়দের নির্যাতন করছে।