নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস আজ

আগের সংবাদ

কালো টাকার অবাধ সুযোগ! : বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে বিরল উদ্যোগ, কর দেয়ায় নিরুৎসাহিত হবে সৎ করদাতারা

পরের সংবাদ

বৈরী আবহাওয়ায় লিচুর ফলন কম : লোকসানে জামালপুরের ব্যবসায়ী ও চাষিরা

প্রকাশিত: মে ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সাইমুম সাব্বির শোভন, জামালপুর থেকে : মধু মাসে মধুর ফল জামালপুরের লিচু। মধুর রসে ভরা এই লিচুর তুলনা অন্য কোথাও নেই। তাই জামালপুরসহ আশপাশের জেলায় এর চাহিদাও কিছুটা বেশি। সেই চাহিদা মেটাতেই চায়না থ্রি, বোম্বাই, এলাচি ও মোজাফফরপুরী জাতের লিচুর আবাদ করেন জামালপুরের চাষিরা। জেলায় সবচেয়ে বেশি লিচুর আবাদ হয় সদরের শরিফপুর, শ্রীরামপুর ও শাহবাজপুরে। অন্যান্য জাতের চেয়ে চায়না থ্রির চাহিদা ও দাম বেশি থাকায় এসব এলাকায় এর চাষ বেশি করে থাকেন চাষিরা। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে লিচুর ফলন কম হওয়ায় ব্যাপক দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বাগানি ও বাগান ক্রেতারা।
জামালপুর সদরের শাহবাজপুর এলাকায় ১২ বিঘা জমির উপর চায়না থ্রি জাতের লিচুর আবাদ করেছেন ডা. আলম। সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, এবার তার লিচু বাগানে গাছ আর পাতা ছাড়া অন্য কিছু নজরে আসে না।
ডা. আলম এই প্রতিবেদককে বলেন, গাছে মুকুল আসার সময় তীব্র দাবদাহ ছিল তাই সব মুকুল পুড়ে গেছে। এছাড়া ফলন আসার আগ মুহূর্তে অতি মাত্রায় বৃষ্টি হওয়ার কারণে ঝরে গেছে অনেক লিচু। এ বছর অনেক বিষ, সার দেয়া হয়েছে। এর সবকিছুই এবার লস।
তিনি আরো বলেন, শুধু আমার বাগানের না। এই এলাকায় সব বাগানে চায়না থ্রি জাতের লিচুর একই অবস্থা। শুধু মাত্র দেশি জাতের কিছু লিচু টিকছে। আর বাকিগুলো নষ্ট হয়ে গেছে।
জামালপুর সদর উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের মহেশপুর কালীবাড়ী ঘুণ্টি এলাকার কয়েকটি বাগানে গিয়ে দেখা যায় গাছ থেকে লিচু পাড়তে ব্যস্ত সময় পার করছে বাগানিরা।
তাদেরই একজন মো. মিন্টু মিয়া। তার বাগানে ১০০টি লিচু গাছে এবার অন্যান্য জাতের লিচুর কিছুটা ফলন হলেও চায়না থ্রি জাতের লিচুর ফলন সবচেয়ে কম হয়েছে।
ভোরের কাগজ প্রতিবেককে তিনি বলেন, ১০ বছর ধরে এই বাগান আমি দেখাশোনা করি। প্রচুর রোদ আর বৃষ্টির কারণে এই বার যে ক্ষতি হয়ছে এর আগে কখনো এমন ক্ষতি হয়নি।
বাগান ক্রেতা আলম ভোরের কাগজকে বলেন, ‘দেড় লাখ টাকা দিয়ে বাগান কিনে নিছিলাম। এরপর ৫০ হাজার টাকার সার, বিষ আর পানি দিছি। কিন্তু লিচুর যে ফলন আইসে তাতে আমার ১ লাখ ২০ হাজার টাকা আসে কিনা সন্দেহ আছে। এবার খুব লস। আমি ২৪ বছর ধইরে লিচুর ব্যবসা করি। এমন ক্ষতি এর আগে কখনো হয়নি।’
এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক কৃষিবিদ জাকিয়া সুলতানা বলেন, লিচুর ফলন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাগান মালিকদের সঠিক সময়ে পরামর্শ ও সহায়তা দেয়া হয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে এবার লিচুতে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তবে বাজারমূল্য ভালো পেলে লাভবান হতে পারে কৃষক।
কৃষি বিভাগ জানায়, এ বছর জেলার ১৫০ হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় দুই শতাধিক ছোট-বড় লিচুর বাগান রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়