ক্র্যাবের স্থায়ী অফিস দিচ্ছে বসুন্ধরা গ্রুপ

আগের সংবাদ

রপ্তানি পণ্যের বহর বাড়ছে : মাইলফলকের ঘরে টেক্সটাইল, কৃষি এবং চামড়াজাত পণ্য

পরের সংবাদ

ঋণের আবাদে ঝড়বৃষ্টির হানা : ধামইরহাটে বোরো চাষিদের সোনালি স্বপ্ন ভেঙে গেছে

প্রকাশিত: মে ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি : ধামইরহাটে ঘূর্ণিঝড়, শিলাবৃষ্টি, পোকার আক্রমণে কৃষকের সোনালি স্বপ্ন ভেঙে গেছে। ব্যাংক ও মহাজনের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে কলের লাঙলে জমি চাষ, বাকিতে সার, বিষ, কীটনাশক ক্রয় করে আবাদ করার পর কয়েক দিনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কৃষকের উৎপাদন খরচই উঠবে না। এর মধ্যে ব্যাংকঋণ, এনজিও, কিস্তি, বার্ষিক ঋণ এবং বাকিতে ক্রয় করা সার, বিষ, কীটনাশকের দাম পরিশোধ নিয়ে সংকটময় মুহূর্ত অতিবাহিত করছেন কৃষকরা। কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, ক্ষতির পরিমাণ ৩ শতাংশ। ঈদের আগে-পরে ঘূর্ণিঝড় এবং ঈদের দিন ভারি শিলাবৃষ্টিতে বোরোচাষির ভাগ্যে নেমে আসে কঠিন দুর্দিন। ধানগাছগুলো এলোমেলোভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পানিতে ডুবে গেছে। কাঁচা অপরিপক্ব ধান পচে গেছে। আদিভাগা, তেভাগা দিয়েও শ্রমিকদের ধান কাটতে রাজি করানো যাচ্ছে। অনেক পরিবার নিজেরাই পানি থেকে ছেকে তুলে রাস্তা ও আইলে শুকাচ্ছেন পচা আঁটি। আদিবাসী পুরুষ/মহিলার দৈনিক মজুরি ৮০০ টাকা। অধিকাংশ বোরোচাষি বলছেন, ধান ঘরে আসবে না। সরজমিন ঘুরে জানা যায়, কুষ্টিয়া থেকে আসা শ্রমিক সরদার জাহিরুল ইসলাম ধানগাছ খাড়া পাতা হলে প্রতি বিঘায় ১০ মণ করে নেয়া হচ্ছে। লেবার সরদার আরো বলছেন, কেউ কেউ উৎপাদন খরচ ঘরে নিতে পারছেন না।
এদিকে আকাশে মেঘ দেখে ভেড়ম-বস্তাবর সড়কে কৃষকরা তড়িঘড়ি করে ধান মাড়াই করছেন। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো হচ্ছে- চৌঘাট, গন্ধিহার, রসুলবিল, বলরামপুর, ভেড়ম, মঙ্গলিয়া, বীরগ্রাম, তাহেরপুর, কাজলগ্রাম, জোতওসমান, চককালু, মালাহার, ধানতাড়া, গোড়াইতাড়া, দৌলতপুর, চানকুড়ি, গাংরা, জাহানপুর, ইসবপুর, দুর্গাপুর, কাদিপুর, চান্দুরা, কালুপাড়া, মহব্বতপুর, খেড়শুকনা, নামা গোকুল, আড়ানগর, হরগরি বিল, শিবপুর, আগ্রাদ্বিগুণ। অমরপুর গ্রামের হান্নান জানান, জিরাশাইল কাটারিভোগ ধান বিনষ্ট হয়েছে। মোটা স্বর্ণা জাতীয় ধান কারো কারো ঘরে কিছু উঠবে। সেটিও বিক্রি ছাড়া খেতে পারবেন না। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তৌফিক আল জোবায়ের জানান, চলিত বছর বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ১৮ হাজার ৩০০ হেক্টর। এর মধ্যে উফশী জাত ১৭ হাজার ১০০ হেক্টর। ধানের জাতগুলো হচ্ছে বিনা-৭, ব্রি-৪৯, হাইব্রিড ও স্বর্ণা, বিশেষ করে জিরাশাইল ও কাটারিভোগ। ঘূর্ণিঝড়ে এসব ধানের ক্ষতি হয়েছে। ধামইরহাটের সর্বত্রই ঝড়বৃষ্টিতে ক্ষতি হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়