আমেরিকান নাগরিকের মৃত্যুর মামলায় স্ত্রীর প্রেমিক গ্রেপ্তার

আগের সংবাদ

মন্ত্রীপতœীর ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন

পরের সংবাদ

শেরিল স্যান্ডবার্গের সফলতার গল্প

প্রকাশিত: মে ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নানা প্রতিকূলতাকে পরাজিত করে উঠে আসা এমনই একজন নারী শেরিল স্যান্ডবার্গ। ফেসবুকের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) শেরিল একজন নারী অধিকার কর্মীও। ২০০১ সালে গুগলের হয়ে কাজ করতে সিলিকন ভ্যালিতে যাওয়ার আগে স্যান্ডবার্গ বিশ্বব্যাংক ও ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন ট্রেজারি বিভাগে কাজ করেছিলেন। খ্যাতনামা হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা নেয়া স্যান্ডবার্গ ব্যবসার জগতে ফরচুন ম্যাগাজিনের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নারীর মধ্যে একজন হিসেবে জায়গা করে নেন। নারীদের ব্যক্তিগত ও পেশাদার সাফল্য অর্জনে অনুপ্রাণিত করতে তিনি ‘লিন ইন’ নামে একটি বই রচনা করেছেন। পারিবারিক জীবনে তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের মা। তিনি সার্ভেমাঙ্কির সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ডেভিড গোল্ডবার্গকে বিয়ে করেছিলেন। ২০১৫ সালে স্বামী মারা যাওয়ার পর মনোবিজ্ঞানী বন্ধু অ্যাডাম গ্র্যান্টের সঙ্গে মিলে ২০১৭ সালে প্রয়াত স্বামীর জন্য দুঃখ নিয়ে ‘অপশন বি’ নামে একটি বই সহ-রচনা করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে জন্মগ্রহণকারী শেরিল স্যান্ডবার্গ চক্ষু বিশেষজ্ঞ জোয়েল স্যান্ডবার্গ ও অ্যাডেল স্যান্ডবার্গের তিন সন্তানের মধ্যে বড়। শেরিলের বয়স যখন দুই বছর, তখন স্যান্ডবার্গ পরিবার ফ্লোরিডার উত্তর মিয়ামি বিচে চলে যায়। মা-দাদিরা শেরিলের রোল মডেল ছিলেন। তারা পরিবার, কাজ ও শিক্ষার সঙ্গে ভারসাম্য রেখে চলতেন। স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের জন্য হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগে তিনি ন্যাশনাল অনার সোসাইটির সদস্য ও অ্যারোপিকস প্রশিক্ষক ছিলেন। যদিও স্যান্ডবার্গের প্রযুক্তি শিল্পে নেতৃত্বে আসার পথটি অস্বাভাবিক ছিল। উচ্চ মাধ্যমিকে তিনি গণিতে অসাধারণ ছিলেন না এবং ইন্টারনেট ও সেলফোন ছাড়াই হার্ভার্ডে স্নাতকোত্তরের পড়াশোনা শেষ করেছিলেন। বিশ্বব্যাংকের মাধ্যমে তারা প্রযুক্তি শিল্পে নেতৃত্ব দেয়া শুরু হয়েছিল। এমবিএ শেষ করে তিনি ২০০১ সাল পর্যন্ত মার্কিন ট্রেজারি বিভাগে কাজ করেছিলেন। এরপর তিনি ক্যালিফোর্নিয়ায় চলে যান এবং গুগলে গেøাবাল অনলাইন সেলস ও অপারেশনস বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট হন। ২০০৮ সাল পর্যন্ত গুগলে থাকা অবস্থায় তিনি প্রযুক্তি শিল্পের শীর্ষস্থানীয় নির্বাহী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। এরপর তিনি ফেসবুকের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। ২০১২ সালে এসে স্যান্ডবার্গ ফেসবুকের পরিচালনা পর্ষদের প্রথম নারী সদস্য হন। ফলে তিনি ফেসবুকের শেয়ারেও মালিক হন। সূত্র: ইনভেস্টোপিডিয়া

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়