ইতিহাসবিদ সুরজিৎ দাশগুপ্তের যুক্তিবাদী ভূমিকা

আগের সংবাদ

সয়াবিন তেলের সংকট ‘কৃত্রিম’ : এখনো বাজারে মিলছে না তেল > সরবরাহকারী-পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা- ত্রিমুখী সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি ভোক্তা

পরের সংবাদ

মায়ের পথেই হেঁটেছেন যারা

প্রকাশিত: মে ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বলিউডের কয়েকজন তারকা মা রয়েছেন, যারা নিজেদের সন্তানদের গড়ে তুলেছেন নিজেরই অভিজ্ঞতার আলোয়। মায়ের দেখানো পথ ধরেই তারা হেঁটেছেন সাফল্যের পথে। কেউ মায়ের পরিচয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন কেউবা নিজেদের পরিচিতি গড়েছেন নিজের যোগ্যতায়। বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে রইল এমন মা ও সন্তানের গল্প

জয়া বচ্চন-অভিষেক বচ্চন
বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া বচ্চনের একমাত্র ছেলে অভিষেক বচ্চন। মায়ের মতোই অভিনয় জগতে কাজ করলেও খুব একটা সফলতা পাননি বলিউডের এই অভিনেতা। তবে প্রায় খবরের শিরোনামে আসে ‘ধুম’খ্যাত এই তারকার নাম।

শর্মিলা ঠাকুর-সোহা আলি খান
সৌন্দর্যের প্রতীমা শর্মিলা ঠাকুর। নবাব মনসুর আলী পতৌদির স্ত্রী ও কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বংশধর শর্মিলা ঠাকুর ছিলেন অসাধারণ এক অভিনেত্রী। ১৯৬৯ সালে মনসুর আলীকে বিয়ে করলে তার ঘরে তিন সপ্রাণ হয়। ১৯৭০ সালে সাইফ আলি খান, ১৯৭৬ সালে সাবা আলি খান ও ১৯৭৮ সালে সোহা আলি খানের জন্ম। মেয়ে সোহা আলি খান চলচ্চিত্রে তার অভিনয় দিয়ে তেমন জাদু দেখাতে পারেননি। দেখতে মায়ের মতো হলেও মায়ের জনপ্রিয়তার ধারে কাছেও যেতে পারেননি সোহা, তবে জনপ্রিয়তা কম পাননি। তবে ছেলে সাইফ আলি খান এখনো বলিউড ইন্ডাস্ট্রির সেরা নায়কদের মধ্যে একজন।

হেমা মালিনী-এশা দেওল-অহনা দেওল
সত্তর ও আশি দশকের ‘ড্রিম গার্ল’ খ্যাত অভিনেত্রী হেমা মালিনী। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন বলিউডের সেরা নায়িকাদের একজন হিসেবে। এখনো নিজের সৌন্দর্য আর যোগ্যতায় তারকাখ্যাতি বহাল রেখেছেন। তেমনি পিছিয়ে নেই ব্যক্তিগত জীবনেও। ১৯৮০ সালে সে সময়ের জনপ্রিয় বলিউড অভিনেতা ধর্মেন্দ্রকে বিয়ে করেন। এরপর ১৯৮২ সালে এশা দেওল ও ১৯৮৪ সালে অহনা দেওলের মা হন তিনি। বড় মেয়ে এশা দেওলকে নিয়ে আসেন চলচ্চিত্রে। মাকে অনুকরণ করে রূপালী জগতে এলেও দর্শকদের প্রত্যাশায় জায়গা করে নিতে পিছিয়ে যান তিনি। ছোট মেয়ে অহনা দেওল ‘গুজারিশ’ ছবির মাধ্যমে সহ-পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন।

তনুজা-কাজল-তানিশা
‘বাহারে ফির আয়েঙ্গে’ ও ‘জুয়েল থিফ’ ছবির মিষ্টি মেয়েটির হাসির কথা বলিউড দর্শকরা এখনো ভুলতে পারেননি। এ মিষ্টি হাসির মেয়েটি হলেন সে সময়ের জনপ্রিয় নায়িকা তনুজা। এক সময় নিজের ক্যারিয়ারে প্রতিষ্ঠিত থাকলেও বর্তমানে কাজলের মা হিসেবেই দর্শক বেশি চেনেন তাকে। ১৯৭৩ সালে সমু মুখার্জিকে বিয়ে করেন তনুজা। এরপর ১৯৭৪ সালে কাজল ও ১৯৭৮ সালে তানিশার জন্ম হয়। বড় মেয়ে কাজল সৌন্দর্য ও যোগ্যতায় কোনো অংশে মায়ের চেয়ে পিছিয়ে নেই। স্বামী অজয় দেবগন ও দুই সপ্রাণকে নিয়ে পুরোপুরি সংসারি হয়ে গেলেও মাঝে মধ্যেই অভিনয়ে চমক দেখাচ্ছেন কাজল। অভিনয়ে মাধ্যমে মায়ের প্রকৃত সপ্রাণ হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন তিনি। অন্যদিকে ছোট মেয়ে তানিশা অনেকটাই ব্যর্থ।

ডিম্পল কাপাডিয়া-টুইঙ্কেল খান্না
সত্তর ও আশি দশকের সব বয়সি দর্শকের হৃদয় স্পর্শ করেন জনপ্রিয় নায়িকা ডিম্পল কাপাডিয়া। ‘ববি’ ও ‘সাগর’ ছবিতে অভিনয়ের সুবাদে শুধু ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডই নয়, সৌন্দর্য আর অভিনয়গুণে পেয়েছেন প্রশংসা। ৫৪ বছর চলছে। সুযোগ পেলেই অভিনয় করেন। ১৯৭৩ সালে বলিউড অভিনেতা রাজেশ খান্নাকে বিয়ে করেন ডিম্পল। এরপর ১২ বছর বিরতি দিয়ে ১৯৮৪ সালে আবারো অভিনয়ে ফেরেন। এর মাঝের সময়টায় ১৯৭৪ সালে টুইঙ্কেল খান্না ও ১৯৭৭ সালে রিঙ্কী খান্না নামে দুই সপ্রাণ জন্ম দেন। দুই মেয়েকেই বলিউড ফিল্মে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন ছিল তার। বড় মেয়ে টুইঙ্কেল খান্না মায়ের স্বপ্নের পথ ধরে কিছুদূর এলেও অক্ষয় কুমারকে বিয়ে করে অভিনয় থেকে পুরোপুরি সরে যান। আর ছোট মেয়ে রিঙ্কী খান্না বলিউডে নাম লেখাতে না লেখাতেই হারিয়ে যান।

ববিতা-কারিশমা-কারিনা
বলিউডের সার্থক মা বলা যায় একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ববিতাকে। সত্তর আশির দশকের সফল অভিনেত্রী তিনি। ১৯৭১ সালে তিনি রণধীন কাপুরকে বিয়ে করেন। তার ঘর আলো করে আসে কারিশমা কাপুর ও কারিনা কাপুর। দুজনই বলিউডের প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী। কারিশমা নব্বই দশকে রাজত্ব করেছেন, অন্যদিকে কারিনা কাপুর এখন অপ্রতিদ্ব›দ্বী। অভিনেতা স্বামী সাইফ আলি খান ও দুই সন্তান নিয়ে ভালোই যাচ্ছে তার দিনকাল।

নীতু কাপুর-রণবীর কাপুর
মায়ের পথেই হাঁটছেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা রণবীর কাপুর। ‘আনজানা আনজানি’, ‘তামাশা’, ‘জাগ্গা জাসুস’, ‘ইয়ে জাওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’, ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’, ‘রকস্টার’-এর মতো ছবিগুলো ভক্তদের উপহার দিয়েছেন বলিউডের এই অভিনেতা। সঞ্জয় দত্তের জীবনী নিয়ে নির্মিত ‘সঞ্জু’ ছবিতেও কাজ করেও প্রশংসিত তিনি।
– মেলা ডেস্ক

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়