করোনার প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে বেইজিংয়ে ফের স্কুল বন্ধ

আগের সংবাদ

রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১৯ দফা নির্দেশনা : ঝুঁকি মোকাবিলায় নজরদারিতে চাকরিচ্যুত পুলিশরা

পরের সংবাদ

স্মৃতিচিহ্ন

প্রকাশিত: মে ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

পরপর দুই মেয়ের জন্মের পর আবারো মেয়ে হওয়ার খবরে নাজিম উদ্দীনের মন খারাপ। তবে বিষয়টি কাউকে বুঝতে দিচ্ছে না। স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করছে। এমনকি স্ত্রী শোভাকেও বিন্দুমাত্র বুঝতে দিচ্ছে না। শোভার নিজেরও মন ভালো নেই। সেও চেয়েছিল এবার একটি পুত্র সন্তান হোক। তাই স্বামীকে কিচ্ছু বলছে না। তার মানসিক অবস্থা বোঝার চেষ্টা করছে। নাজিম উদ্দীনও বড্ড চুপচাপ। এভাবে দিন পেরিয়ে গেল। রাত্রে বিছানায় গিয়ে বিষয়টি আলোচনায় আসে।
কী মেয়ে হবে বলে তোমার কি মন খারাপ? নাজিম উদ্দীন চুপচাপ। শোভার আবারো একই প্রশ্ন। তোমার মন খাপাপ তাই না?
আরে না কী যে বল। হোক না আর একটি মেয়ে। আমার ফুফুরা তো সাত বোন ছিলেন। সেখানে তিনটি মেয়েতে আমার সমস্যা থাকার কথা না। উত্তর দেয় নাজিম উদ্দীন।
আমি কিন্তু খুশি না। এবার একটা ছেলে বাবু চেয়েছিলাম। কপালই মন্দ। বড় আপার তিনটা ছেলে। আর আমার…।
এসব নিয়ে যতই ভাববে ততই কষ্ট বাড়বে। যা হচ্ছে তা মেনে নাও।
এই এক কাজ করলে হয় না?
কী কাজ?
চল আমরা ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলি-
স্ত্রীকে থামিয়ে দেয় নাজিম উদ্দীন। বলে না না এসব করা যাবে না। এত অস্থির হচ্ছ কেন। এটা করলে তোমারও শারীরিক ক্ষতি হবে।
কী যে করি, আমার কিছুই ভালো লাগছে না।
কিচ্ছু ভাবা লাগবে না চুপচাপ ঘুমাও।
দেখতে দেখতে সময় চলে যায়। আর কিছুদিন পরেই শোভার ডেলিভারি ডেট। হাতে মাত্র এক মাস। তার আগের বাচ্চা দুটির নরমাল ডেলিভারি হয়েছে। এবারো সিজার করার চিন্তা করছে না নাজিম উদ্দীন। তার মতে অযথা সিজার করা মোটেও ঠিক না। কারণ এতে মায়ের যেমন শারীরিক ক্ষতি হয়, বাচ্চাদেরও অনেক সমস্যা থাকে। তাই সবাইর উচিত নরামাল ডেলিভারির অপেক্ষা করা। বিশেষ দরকার হলে তখন তো অবশ্যই করতে হবে।
নির্দিষ্ট সময়ের পনেরো দিন আগে ডেলিভারি পেইন ওঠে শোভার। ব্যথা প্রচণ্ড। সে দাঁড়াতে পারছে না। মনে হচ্ছে এক্ষুনি মরে যাবে। আগের বাচ্চা দুটি হওয়ার সময় এমন হয়নি তার। তখন ব্যথা ছিল নরমাল। নাজিম উদ্দীন এখন অফিসে। শোভা কী করবে বুঝতে পারছে না। এমন সময় তার ঘরে আসে শাশুড়ি রোকেয়া বেগম। শোভার দিকে তাকিয়ে বলে
বউ মা তোমার কি শরীর খারাপ লাগছে?
জি আম্মা আমি দাঁড়াতে পারছি না প্রচণ্ড ব্যথা করছে। আপনার ছেলেকে একটা ফোন করেন আম্মা। আমি মনে হয় মারা যাবো।
কীসব অলক্ষুনে কথা বল বউ মা, কিচ্ছু হবে না। সন্তানের মুখ দেখার পর কোনো কষ্টই আর কষ্ট থাকে না। সব ব্যথা পানি হয়ে যায়।
কথায় কান দেয় না শোভা। শাশুড়িকে তাড়া দেয়। ও আম্মা ফোনটা করেন তো। আমি আর থাকতে পারছি না।
ছেলেকে কল করে রোকেয়া বেগম। বউ মার শরীরের অবস্থা জানায়। জবাবে নাজিম উদ্দীন বলে, এই সময় এমন হয়। আর একটু অপেক্ষা কর। আমি আসছি।
নারে বাপ তোর আসতে অনেক সময় লেগে যাবে। বউ মার মুখের দিকে তাকানো যাচ্ছে না। আমি ওরে নিয়ে হাসপাতালে চলে গেলাম। যদি কোনো অঘটন ঘটে।
কিচ্ছু হবে না আম্মা। তোমরা অযথাই টেনশন কর। বললাম তো আমি আসছি। মায়ের প্রতি কিছুটা রাগ হয় নাজিম উদ্দীনের। কল কেটে দেয়।
আপনার ছেলে কী বলল আম্মা?
একটু সবুর কর বউ মা, ও চলে আসবে। এলেই তোমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাবো।
ও আম্মা আমি মনে হয় বাঁচব না। আমার দিয়া আর দিশাকে আপনি দেখে রাখবেন মা।
কীসব বল না বউ মা কিচ্ছু হবে না। চুপ কর তো আল্লাহর নাম নাও।
নাজিম উদ্দীনের পৌঁছাতে পৌঁছাতে অনেক সময় লেগে যায়। রাত নয়টার সময় হাসপাতালে নেয়া হয় শোভাকে। সঙ্গে সঙ্গে তার আল্ট্রা শো করা হয়। রিপোর্ট অনুযায়ী বাচ্চার অবস্থা ভালো আছে। ডেলিভারি নরমালেই হবে। এরই মধ্যে নাজিম উদ্দীনের ভাই-বোনসহ অনেকে হাসপাতালে পৌঁছে গেছে। নতুন অতিথির অপেক্ষায় আছে তারা। শোভা ঘুমাচ্ছে। তাকে ইনজেকশন দেয়া হয়েছে।
শোভার ডেলিভারি হয় পরের দিন সকাল সাতটায়। সবার চোখ ফুটফুটে বাচ্চাটার দিকে। শোভা বাচ্চার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। নিজের প্রতি করুণা হচ্ছে তার। এত সুন্দর বাচ্চাটাকে পৃথিবীতে আনতে চাইনি সে। ছিঃ মানুষ এত নিষ্ঠুর।
পরিবারে নতুন অতিথি আসায় সবচেয়ে খুশি নাজিম উদ্দীনের ছোট ভাই নাইম উদ্দীন। সে শোভার কোল থেকে বাচ্চাটা নিজের কোলে নেয়। তাদের নতুন বংশধরের দিকে এক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে। বাচ্চাটাও যেন তাকে মন ভরে দেখছে। নাইম উদ্দীন বাচ্চাটির কপালে চুমা খায়। বলে, আম্মা ও মনে হয় বুঝতে পেরেছে আমি ওর চাচা। দ্যাখো কেমন হাসছে। দেখো মা আবার হাসে।
বাবারে এর নাম রক্ত। চিনতে তো পারবেই। কথায় বলে আপন দরদি হয় ধুলা ঝেড়ে কোলে নেয়।
নাজিম উদ্দীনের বোন চুমকি বলে ও আম্মা একটা জিনিস খেয়াল করেছেন, ও কিন্তু আমাদের বংশের সবাইকে হার মানিয়ে দিয়েছে। ও সবার চেয়ে সুন্দর হবে। ছোট ভাইয়ার চেয়েও। ওর চেয়ে সুন্দর বাচ্চা আমাদের বংশে আগে আসেনি মা।
মেয়ের কথায় রেগে যায় রোকেয়া বেগম। বলে, এসব বলতে নেই চুমকি। চোখ লাগবে। তুই না ওর ফুফু। মুরব্বিদের চোখ লাগে। কথাটা বলে নিশ্বাস ফেলে রোকেয়া বেগম। ভাবে চুমকি তো ঠিক কথাই বলেছে এত সুন্দর বাচ্চা এই বংশে একটাও হয়নি। বড় হলে ও দুর্গা দেবীর চেয়েও সুন্দরী হবে। এমন সুন্দর বাচ্চা খুব কম দেখা যায়।
নাজিম উদ্দীন এখনো মেয়েকে দেখিনি। ভোর পাঁচটার সময় বাসা গেছে সে। নাইম উদ্দীন ফোন করে জানিয়েছে বাচ্চা এবং তার মা ভালো আছে। এতে নাজিম উদ্দীনের উচ্ছ¡াস নেই। ডেলিভারি ঠিকমতো হয়ে গেছে এটাই বড় খবর। হঠাৎ তার হোয়াটস অ্যাপে ম্যাসেস আসে। নাজিম উদ্দীন ম্যাসেস চেক করে। চুমকি দুই মিনিটের একটি ভিড়িও পাঠিয়েছে। ভিডিও ওপেন করে মুগ্ধ হয় নাজিম উদ্দীন। ভাবতেই পারছে না এই বাচ্চাটা তার। তার ঘরে এত সুন্দর বাচ্চা। আগের দুই মেয়ে সঙ্গে ওর কোনো মিল নেই। চোখ, মুখ, নাক, গড়ন সবকিছুতে আলাদা সে। বাচ্চাটা হাত-পা নেড়ে খেলা করছে, হাসছে। সম্ভবত এই হাসিটাই দেবতার হাসি। শিশুদের হাসির মধ্যে দেবতা থাকে। শিশুরা কৃত্রিম হাসতে জানে না। ওরা হাসে অন্তর থেকে। এর মধ্যে ভনিতা নেই। কয়েকবার ভিড়িওটি দেখে নাজিম উদ্দীন। এতদিন মেয়ে হওয়া নিয়ে তার যে অতৃপ্তি ছিল এক নিমিষে তা উধাও হয়ে গেছে। মেয়ের মুখ চেয়ে সব ভুলে গেছে। পৃথিবীর সব বাবা মা-ই এমন। সন্তানের মুখ চেয়ে ভুলে যান সব দুঃখব্যথা।
মেয়েকে ছুঁয়ে দেখার জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠেছে নাজিম উদ্দীন। সে বাসা থেকে বেরিয়ে পড়ে। ভাবে মেয়ের মুখ খালি হাতে দেখা যাবে না। কিছু এটা নিয়ে যাওয়া দরকার। এমন কিছু দেবে বড় হয়ে মেয়ে যেন তা দেখে অবাক হয়। এরই মধ্যে মেয়ের নাম ঠিক করে ফেলেছে নাজিম উদ্দীন। ওর নাম দেয়া হবে মুগ্ধতা।
বাসা থেকে বেরিয়ে সোজা বসুন্ধরা সিটিতে চলে যায় নাজিম উদ্দীন। সুন্দর ডিজাইন করা একটি চেইন কিনে দ্রুত হাসপাতলের দিকে রওনা করে। বাংলা মোটরের কাছে আসতেই তার গাড়ি সিগন্যালে আটকা পড়ে। ভিআইপি যাবেন। তাই খুব সহজে রাস্তা ফাঁকা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এভাবে কেটে যায় ৪০ মিনিট। ভিআইপিওর গাড়ি এখনো যায়নি। নাজিম উদ্দীনের মেজাজ বিগড়ে যায়। মেয়েকে দেখার জন্য তার ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে।
হাসপাতালে পৌঁছাতে ১১টা বাজে নাজিম উদ্দীনের। লিফটের জন্য অপেক্ষা না করে দ্রুত সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠে যায়। সেখানে দেখা হয় নাইম উদ্দীনের সঙ্গে। তাকে বিষণ্ন লাগছে। কিরে কী হয়েছে? ভাইকে প্রশ্ন করে নাজিম উদ্দীন। এই তোর আসার সময় হলো ভাইয়া, কী করছিলে এতক্ষণ? নাইম উদ্দীন উত্তর দেয়।
ভাইয়ের কথা কান দেয় না নাজিম উদ্দীন। সে আবার বলে কী হয়ে হয়েছে সেটা তো আগে বল?
ভাইয়া বাবুর খিঁচুনি উঠেছে, তুমি কেবিনে যাও, আমি ডাক্তার ডেকে নিয়ে আসি। নাইম উদ্দীন হনহন করে নিচে নেমে যায়। পক্ষান্তরে নামিজ উদ্দীন দ্রুত কেবিনের দিকে পা চালায়। কেবিনে প্রবেশের আগেই সে কান্নার শব্দ শুনতে পায়। অনুমান করতে পারে কোনো দুর্ঘটনা ঘটে গেছে। হন্তদন্ত হয়ে কেবিনে ঢোকে নাজিম উদ্দীন। তাকে দেখে ডুকরে কেঁদে ওঠেন রোকেয়া বেগম। ও বাবা কাকে দেখতে আইছো আমার বুবু তো সবাইকে ফাঁকি দিয়ে চলে গেছে। ও বুবু এই অল্প সময়ের জন্য তুমি ক্যান আইছিলি। ও আল্লাহ এ তোমার কেমন পরীক্ষা। ভাইজিকে সামনে নিয়ে কাঁদছে চুমকি। তার মুখে ভাষা নেই। কেবল দুচোখ দিয়ে অশ্রæ ঝরছে। তার বিশ্বাস মেয়েটি এখনো বেঁচে আছে। মায়ের ধারণা মানতে পারছে না সে। মানতে পারছে না শোভাও। এক দৃষ্টিতে মেয়ের দিকে তাকিয়ে আছে। নাজিম উদ্দীন কথা বলতে পারছে না। যেন কোনো অনুভূতি নেই তার। সে যেন এক পাথর মানুষ। ইতোমধ্যে ডাক্তার নিয়ে কেবিনে আসে নাইম উদ্দীন। ডাক্তার বাচ্চাটিকে ভালো করে দেখে বলেন, ও নেই। ডাক্তারের কথা শুনে নাইম উদ্দীন ও চুমকি ডুকরে কেঁদে ওঠে। নাজিম উদ্দীন এখনো ঠাঁয় দাঁড়িয়ে। কী হলো কিছুই বুঝতে পারছে না সে।
ডাক্তার বেরিয়ে গেলে মেয়ের কাছে যায় নাজিম উদ্দীন। বাচ্চাটির মুখের কাপড় সরানো। তার শরীর থেকে যেন আলো ঠিকরে পড়ছে। সে দিকে চেয়ে আছে নাজিম উদ্দীন। সত্যিই তো এমন সুন্দর বাচ্চা এর আগে ওদের বংশে আসিনি। সবচেয়ে রূপ নিয়ে যে এলো তার সময় এত কম। এটা কোনো পরীক্ষা নিলেন সৃষ্টিকর্তা। এসব কথা ভাবতে ভাবতে বুকটা আরো ভারি হয়ে আসে নাজিম উদ্দীনের। তার খুব কাঁদছে ইচ্ছা করছে। কিন্তু পারছে না। বুকে এখন কষ্টের পাহাড়। বাচ্চার মুখ থেকে পলক সরছে না নাজিম উদ্দীনের। হঠাৎ তার অনুভব হয় বাচ্চাটা তাকে বলছে- আমি জানি বাবা তোমার খুব কষ্ট হচ্ছে। মেয়েরা বাবার মনের কথা সবচেয়ে বেশি বুঝতে পারে, আমিও পারছি। কষ্ট পেয়ো না বাবা। তুমি যেমন চেয়েছো তেমনই হয়েছে। আমি আসার খবরে তুমি খুশি হওনি। মুখে কিছু না বললেও ভেতর থেকে চেয়েছো আমি যেন না আসি। দুর্ঘটনা ঘটুক এটা তুমি চেয়েছো। মা কিন্তু চাননি। তোমাকে খুশি করার জন্য শুধু ডাক্তারের কাছে যেতে চেয়েছিলো। মা অসুস্থ জেনেও তুমি দেরি করে অফিস থেকে এলে। তুমি চেয়েছিলে আমার একটা ভাই আসুক। আমি আল্লাহকে বলল তিনি যেন আমার জন্য ফুটফুটে একটা ভাই পাঠান। ওকে তো আমি আদর করতে পারবো না তুমি করো, তোমরা করো। বাবা মুখে যে যা-ই বলুক আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ এখনো কন্যা সন্তান চান না। তারা চান আগে একটা ছেলে হোক। তারপর অন্য চিন্তা। তুমিও তেমন বাবা। কিন্তু বাবা আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি। তোমার সঙ্গে যদি আবার কখনো দেখা হয় সেদিন তোমার গলা জড়িয়ে ধরব। আদর খাবো।

সকালে তোমার তেমন কাজ ছিল না। তুমি ইচ্ছা করেই দেরি করে এলে। আমি এলাম সাতটার পর আর তুমি এলে এখন। আমি অল্প সময়ের জন্য এসেছিলাম। এই সময়ে দাদি আমাকে অনেক আদর করেছে। ফুফিও আদর করেছে। চাচ্চুও আমাকে কোলে নিয়ে চুমো খেয়েছে। অথচ তোমার চুমাটা আমার পাওয়া হলো না। চাচ্চুর দেয়া চুমাটা আমার স্মৃতিচিহ্ন হয়ে থাকবে। চাচ্চু তো বাবারই মতো আপনজন। এবার আর স্থির থাকতে পারে না নাজিম উদ্দীন। ছুটে গিয়ে মৃত মেয়েকে বুকে ছড়িয়ে ধরে। কপালে বারবার স্নেহের চুম্বন এঁকে দেয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়