করোনার প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে বেইজিংয়ে ফের স্কুল বন্ধ

আগের সংবাদ

রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১৯ দফা নির্দেশনা : ঝুঁকি মোকাবিলায় নজরদারিতে চাকরিচ্যুত পুলিশরা

পরের সংবাদ

গেইট

প্রকাশিত: মে ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করেই একটা কিছু করার তাগিদ অনুভব করলাম। পরীক্ষা শেষ হওয়ার সাথে সাথে বাবা শেষবারের মতো টাকা পাঠিয়ে জানিয়ে দিয়েছে, এখন রোজগার করতে হবে, নিজের খরচ নিজেকেই চালাতে হবে, বাড়ি থেকে আর টাকা দেয়া হবে না। পরীক্ষা শেষ হতেই ঢাকা ছাড়লাম। বাড়ি চলে এলাম। উদ্দেশ্য কিছুদিন বাবা-মার সান্নিধ্যে থাকা। ভাবছি চাকরি তো একটা হবেই, তখন কোথায় যেতে হয় তার তো ঠিক নেই।
পরীক্ষার চারদিন পর বাক্সপোটরা নিয়ে লঞ্চ থেকে নামতেই বাবার ডানহাত তালেব আলি এগিয়ে এলো। পুঁইবিচির মতো দাঁত বের করে হেসে হেসে বললো,
-আইসা খুব ভালা করছো বাপ, অহন থেইকা গ্রামে থাইকা বাপের সয়সম্পত্তি দেহাহুনা করতে পারবা, আমরা আর কত দিন বাঁচমু।
আমি হতভম্ব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে আমি এখন সয়সম্পত্তি দেখাশোনা করবো। বলিহারি বুদ্ধি তালেব আলির।
আমাকে চুপচাপ দেখে দ্বিগুণ উৎসাহে বলতে শুরু করলো,
-মন চায় তো গাঁওয়ের ইস্কুত পড়াইতে পারবা, সম্মান পাইবা।
প্রসঙ্গ পাল্টানোর জন্য বললাম,
-চাচা, আপনারা কেমন আছেন?
-আছি বাজান, মাবুদ রাখছে ভালাই। তয় শরীরটা মাঝে মাঝে বাইকা বসে, তোমার চাচি তো বিছানা থেইকা উঠতেও পারে না। খবিরের বউ দেহাশোনা করে। কইতরী আছে, বাড়ির কামকাইজ করে।
আমি একটু অবাক হলাম। যতদূর জানি কইতুরীর বিয়ে হয়ে গেছে, তাহলে সে এখানে কেন? আমার মনভাব বুঝতে পেরে তালেব আলি বললো,
-না বাজান, হ্যার বিয়াডা টিকলো না। জামাই খালি মাইরধর করে, একবারতো পোড়াইয়া মারবার চাইছিলো। তোমার বাপে কইলো,
‘তালেব আলি, লইয়া আহো, মাইয়াডা তো জানে বাঁচুক’।
আমিও দেরি করলাম না, লইয়াই আইলাম।
আমি স্তব্ধ হয়ে গেলাম। কইতুরী ছিলো আমাদের স্কুলের সবচেয়ে মনোযোগী ছাত্রী। সবসময় ভালো রেজাল্ট করে নাইন থেকে টেনে উঠলো। পায়রার মতো অস্থির মেয়েটা ছোটবেলা থেকেই আমার মনে দোলা দিচ্ছিলো।
আজ তালেব আলির কথা শুনে মনের কোণের কোনো একটা তারে বেদনার সুর বেজে উঠলো। মনে হলো, এতো আমার গ্রাম, এখানে আমার ছোটবেলা কেটেছে। এখানে আমার নাড়ি পোতা আছে। এখানেই থাকবো যতদিন পারি। জন্মগ্রামের মানুষগুলোর জন্য কিছু করা যায় কিনা দেখি।
সিদ্ধান্ত নিলাম স্কুলে যোগ দেবো।
বাড়ি ঢুকতেই বাবার সাথে দেখা, বাংলাঘরে মিটিং করছেন। হাত তুলে ভেতরে যেতে বলে আবার মিটিং-এ মন দিলেন।
আমি আসতেই বাড়িতে চাঞ্চল্য শুরু হয়ে গেলো। রান্নার ধুম পড়ে গেলো। ভরপেট খেয়ে বিছানায় গেলাম।
সারাদিন শুয়ে বসে কাটিয়ে বিকেল নাগাদ গ্রাম দেখতে বের হলাম। হাঁটতে হাঁটতে স্কুলের মাঠে চলে এলাম। ছুটি হয়ে গেছে অনেক আগেই। কিন্তু তখন হেডস্যারের অফিস রুম খোলা, উঁকি দিয়ে দেখলাম সামনে অনেক কাগজপত্র নিয়ে ঘাড় গুঁজে কাজ করছেন। আমি সালাম দিতেই মাথা তুলে আমার দিকে তাকালেন, কপাল কুঁচকে বললেন,
-কী চায়?
-স্যার আমি রাজিব রহমান, মাহবুব রহমানের ছেলে।
-ও আচ্ছা, তা বাবা এখানে কী মনে করে?
প্রশ্ন শুনে আমি একটু থমকে গেলাম। তিনি আমাকে দেখে খুশি হলেন বলে মনে হলো না। জবাবের অপেক্ষা না করে আবার কাজে মন দিলেন।
অপমানিত বোধ করলেও বসে আছি। উনি একমনে কাজ করে যাচ্ছেন। অনেকক্ষণ পর মাথা তুললেন, কাগজগুলো গোছাতে গোছাতে তাকিয়ে বললেন,
-বললে না তো কেন, কী দরকারে এলে?
-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিয়ে এসেছি, আপনার স্কুলে যোগ দিতে চাই।
-স্কুল কমিটির সভাপতির ছেলে তুমি, চাইলেই তো যোগ দিতে পারো।
বলতে বলতে উঠে দাঁড়ালেন, কাগজগুলো আলমারিতে রেখে তালা দিয়ে বের হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আমিও সাথে সাথে বের হলাম।
পাশাপাশি হাঁটছি, এবার উনি আমার দিকে মনোযোগ দিলেন।
-কবে এলে ঢাকা থেকে?
-আজই এলাম।
– কোন সাবজেক্টে পড়াশোনা করেছো?
-কেমিস্ট্রিতে।
এবার উনি আমার দিকে ভালো করে তাকালেন,
-কেমিস্ট্রিতে পড়ে তুমি গ্রামের স্কুলে শিক্ষকতা করতে চাও? কতদিন করবে?
-যতদিন অন্য চাকরি না পাই ততদিন করবো।
-বেশ, ছাত্ররা তো কিছু শিখতে পারবে,
কথা বলতে বলতে আমাদের বাড়ির কাছাকাছি চলে এসেছি।
-বাড়ি চলেন স্যার।
-তুমি যাও, কাল স্কুল কমিটির কাছে একটা দরখাস্ত লিখে জমা দিও।
-আচ্ছা।
তিনি এগিয়ে গেলেন। আরো এক কিলোমিটার দূরে থাকেন তিনি।

পরদিন একটা দরখাস্ত লিখে নিয়ে গেলাম। একইভাবে কাজ করছেন উনি। আমাকে দেখে বসার জন্য ইশারায় চেয়ারটা দেখিয়ে দিলেন। হাতের কাজ শেষ করে বললেন,
-দরখাস্তটা দাও।
আমার কাছ থেকে দরখাস্ত নিয়ে পড়ে দেখলেন, তারপর কী যেন লিখে একটা ফাইলে রাখলেন, তারপর গণপতি দপ্তরীকে ডেকে বললেন,
-ফাইলটা বিকেলে সভাপতি সাহেবের বাড়ি নিয়ে যাবি, পারলে সাথে সাথে সই করিয়ে আনবি।
আমাকে বসিয়ে ক্লাস নিতে চলে গেলেন। আমিও নিজের মতো ঘুরে ঘুরে স্কুলটা দেখে পুকুর ঘাটে গিয়ে বসলাম।
আমি এই স্কুলের ছাত্র, কত স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। এই হেড স্যার একসময় সহকারী শিক্ষক ছিলেন। ক্লাস যেমন নিতেন তেমনি খেলাধুলাতেও খুব উৎসাহ দিতেন।
মনে আছে একবার ইংরেজির ক্লাস নিচ্ছিলেন, এমন সময় ঝুপ ঝুপ করে বৃষ্টি নামলো, বই বন্ধ করে বললেন,
এক দৌড়ে সব মাঠে চলে যাও, আজ বৃষ্টির মধ্যে বল খেলা হবে। আমরা সবাই হৈ চৈ করতে করতে মাঠে নেমে গেলাম। মাঠের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত ছোটাছুটি করে খেললাম। পায়ে বল পাক বা না পাক সবাই ছোটাছুটি করলো প্রচুর। স্কুল অঘোষিত ছুটি হয়ে গেলো। বিকেলে বৃষ্টি থামলে সবাই বাড়ি ফিরে গেলাম। বৃষ্টির সাথে সাথে সবাই অপার আনন্দ নিয়েই ফিরলাম।
পরদিন অর্ধেক ছাত্রই স্কুলে এলো না, জানা গেলো ওদের জ্বর। সে সময় যিনি প্রধান শিক্ষক ছিলেন তিনি খুব রেগে গিয়েছিলেন এবং স্যারকে খুব বকলেন। কিন্তু স্কুলে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছিলো।
দিনগুলোর কথা ভাবতে ভাবতে মনটা ফুরফুরে হয়ে গেলো।
পুকুরটা এখন আগের চেয়ে সুন্দরভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে, মাঝে মাঝে একটা দু’টো মাছ ভেসে উঠছে, জলের ওপর আলোর লুকোচুরি ভালোই লাগছে।

বিকেলে বাসায় ফিরে এলাম। দেখি কাঁচুমাচু মুখ করে গণপতি দপ্তরী বাবার বাংলাঘর থেকে বের হচ্ছে, হাতে সেই ফাইলটা, বাবার চেঁচামেচি শোনা যাচ্ছে। মনে হলো কাউকে ধমকাচ্ছে।
দরজার কাছ থেকে শুনলাম,
-শালা আমার স্কুলে চাকরি করবে আবার ফুটানি দেখায়, আমার সামনে আসবে না।
আমি গণপতি দপ্তরীকে জিজ্ঞেস করলাম,
-কী হলো, বাবা কার সাথে রাগ করছে?
আমার দিকে সম্ভ্রমের দৃষ্টিতে তাকিয়ে মাথা নিচু করে বের হয়ে গেলো।
পরদিন স্কুল থেকে খবর এলো আমি যেন আজই কাজে যোগ দেই।
শুরু হলো শিক্ষক জীবন। পড়াতে গিয়ে দেখলাম স্কুলের ব্যবস্থাপনা খুব সুন্দর। সবকিছুই বেশ গোছানো পাচ্ছি। সব কিছুতে হেডস্যারের তীক্ষè দৃষ্টি। প্রতি সপ্তাহে শিক্ষক-মিটিং হয় আর প্রতিমাসে ম্যানেজিং কমিটির মিটিং হয়। আসলে ম্যানেজিং কমিটির মিটিং খুব একটা দরকার হয় না। কারণ হেডস্যার একাই সবকিছু ঠিক করে রাখেন। আর গণপতি দপ্তরী ফাইল নিয়ে আমার বাবার সই নিয়ে আসে।
আর আমি দেখি যতবার গণপতি দপ্তরী আমাদের বাড়িতে আসে ততবারই বাবার মেজাজ চড়ে যায় আর গণপতি দপ্তরীর ওপর ঝড় হয়ে যায়।

স্কুলে যোগ দিয়েছি তিনমাস হয়ে গেলো, ভালোই লাগছে। ওপরের ক্লাসে বিজ্ঞান পড়াই, ছাত্ররা আমাকে বেশ পছন্দ করতে শুরু করেছে। আমার সারাদিন আনন্দে কাটে।
এ মাসের মিটিংটা স্কুল কমিটির সভাপতি অর্থাৎ আমার বাবা আমাদের বাংলাঘরে ডেকেছে। নোটিসটা দেখে হেডস্যার মৃদু হাসলেন।
আমি ক্লাস শেষ করে টিচার্স রুমে ঢুকতেই হেডস্যার আমাকে ফাইল বুঝিয়ে দিয়ে হাতে একটা অথোরাইজ লেটার দিলেন, বললেন,
-আমার পক্ষ থেকে তুমি ম্যানেজিং কমিটির মিটিং-এ যোগ দেবে, যে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার অনুমতি আছে তোমার।
একটু অবাক হলেও ভালো লাগছে, নিজেকে বেশ দায়িত্বশীল মনে হচ্ছে। ফাইল নিয়ে বাড়ি চলে গেলাম। ঠিক পাঁচটার সময় বাংলাঘরে ঢুকতেই দেখি অন্য শিক্ষকরা আগেই চলে এসেছেন। কিন্তু বাবার মুখ থমথমে। আমি ফাইল খুলে বসলাম। খুব বেশি কথা হলো না। সবাই হাজিরা খাতায় সই করলো। বাড়ির ভেতর থেকে আসা চা নাস্তা খেয়ে চলে গেলো। আর বাবাকে দেখছি খাঁচায় বন্দি বাঘের মতো গজরে যাচ্ছে।

পরদিন স্কুলের পরিবেশ থমথমে। হেডস্যার নিজের রুমে মাথা নিচু করে বসে আছেন, সামনে ফাইল-পত্র, কিন্তু কিছুই দেখছেন না। আমাকে দেখেও কিছু বললেন না।
শিক্ষকদের কমন রুমে ঢুকে দেখি, সবাই সিরিয়াস কিছু নিয়ে আলোচনা করছিলো, আমাকে দেখে থেমে গেলো। তারপর তড়িঘড়ি করে ক্লাসে ঢুকে গেলো।
এখন আমার কোনো ক্লাস নেই, বসে বসে ভাবছি। কিছু একটা হচ্ছে, কিন্তু কী হচ্ছে বুঝতে পারছি না। এমন সময় গণপতি দপ্তরী ঢুকলো কিছু বই রাখতে, রেখে ফিরে যাচ্ছিলো। আমি ডেকে বললাম,
-একটু শুনে যান দপ্তরী কাকা।
-বলেন স্যার।
-কী হয়েছে? সবাই এতো চুপচাপ কেন?
-আপনে কিছু জানেন না?
-না তো।
এদিক ওদিক তাকিয়ে মাথা নিছু করে বললো,
-হেডস্যারের মনে হয় চাকরি যাইবো গা।
-কেন? কী করেছেন তিনি?
-আদার ব্যাপারি, জাহাজের খপর জানবো ক্যামনে? ম্যানেজিং কমিটির সেদ্ধান্ত।
-কখন হলো এ সিদ্ধান্ত? কাল তো আমরা মিটিং করলাম, তখন তো এমন কিছুই হয়নি।
-এইটা হইলো সভাপতি স্যারের সেদ্ধান্ত, এইটার জন্যি মিটিং লাগে না।
বলেই বিরস বদনে বের হয়ে গেলো।
আমি বজ্রাহতের মতো বসে আছি, ভাবতেই পারছি না কিসে কী হলো? সারাদিনের আলোচনায় শুনলাম,
হেড স্যারকে একমাসের নোটিস দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে যদি তিনি সভাপতির কাছে গিয়ে নিজের দোষ স্বীকার করেন তাহলে সব ঠিক থাকবে, না হলে পদ থেকে সরে যেতে হবে।
বেশ ভারাক্রান্ত মনে বাড়ি ফিরে এলাম। সারারাত এপাশ ওপাশ করে ভোরের দিকে ঘুম আসলো।
তারপর ঘুম ভাঙতেই ঘড়িতে চোখ পড়লো।
সর্বনাশ, দশ মিনিটের মধ্যে আমাকে স্কুলে ঢুকতে হবে। হাতমুখ ধুয়ে জামাকাপড় পরে স্কুলের দিকে ছুটে গেলাম।
শুনলাম হেডস্যার আজই চার্জ বুঝিয়ে দিয়ে চলে যাবেন, গণপতি দপ্তরীকে সাথে নিয়ে আলমারি থেকে কাগজপত্র নামাচ্ছেন।
আমি চুপচাপ টেবিলের সামনে একটা চেয়ারে বসে আছি।
গণিতের শিক্ষক দিপনবাবু বললেন,
-শুনলাম আপনাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক করা হচ্ছে।
-কী বলছেন আপনি? আমি তো কিছুই জানি না।
-আপনি না জানলে কী হবে, আমরা তো শুনলাম।

আমি ছুটে গেলাম হেডস্যার এর কাছে, পায়ের কাছে বসে বললাম,
-আমাকে বলেন স্যার, কী হলো আর কেন হলো?
তিনি আমাকে তুলে ধরে বললেন,
-বলবো, যাওয়ার আগে তো বলতেই হবে।
স্যারের ইশারাতে গণপতি দপ্তরী রুম থেকে বের হয়ে গেলো।
-শোন, এ স্কুলেই আমি একজীবন কাটিয়ে দিলাম, মানুষের অবসর বলে তো একটা কথা আছে, এখন আমার অবসরে যাওয়ার সময়, তাই না হয় গেলাম।
-তাই বলে এভাবে?
-কীভাবে গেলাম সেটা তো বড় কথা নয়, যেতে হবে তাই যাচ্ছি। স্কুলটাকে দেখে রেখো।
-স্যার!
-আরেকটা কথা, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। পাক হানাদার বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। একজন মুক্তিযোদ্ধা সবসময়ই মুক্তিযোদ্ধা, আর মুক্তিযোদ্ধা কখনো মাথা নত করে না। মুক্তিযোদ্ধা কখনো মাথা নত করে নকল মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে প্রবেশ করে না। আমিও করবো না।

সবাই চোখের জলে স্যারকে বিদায় দিলাম। বাড়ি ঢোকার সময় খেয়াল করলাম,
আমাদের বাড়ির গেইটটা খুব নিচু, মাথা নত করেই ঢুকতে হয়।
আশ্চর্য! এটা এতোদিন আমার চোখে পড়লো না কেন!

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়