বাটলার ঝড়ে বিধ্বস্ত দিল্লি

আগের সংবাদ

চাঁদার হাট নিউমার্কেট-গাউছিয়া

পরের সংবাদ

ওদেরও চাই নতুন জামা

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

“ঈদ মানে আনন্দ। ঈদ মানেই নতুন জামা।” শিশুরা ঈদকে এভাবেই ভাবে। তাই আমাদের সবার আগে চিন্তা আসে পরিবারের এই ছোট্ট সদস্যের সাজ-পোশাক নিয়ে। আবহাওয়ায় এখন গুমোট, গরম। তাই ঈদে পাতলা আর আরামের পোশাক বেছে নিতে হবে শিশুদের জন্য। বরাবরের মতো এবারও শিশুদের পোশাকে ঋতু বুঝে নকশা করেছেন ডিজাইনাররা। বিভিন্ন ব্র্যান্ড শপে বিক্রি হচ্ছে সুতি ও লিনেনের পোশাক। আবার জমকালো পোশাকগুলোর ভেতরেও থাকছে সুতির আস্তর।

হালনাগাদে শিশুর পোশাক
দেশীয় ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলো এখন শিশুদের জন্য তৈরি করছে দারুণ ট্রেন্ডি সব পোশাক। দুই থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের জন্য রং ও বাহারি নকশাদার পোশাক এসেছে ঈদের বাজারে। প্রায় সব ফ্যাশন ব্র্যান্ডেই শিশুদের জন্য রয়েছে আলাদা কর্নার। মেয়ে শিশুদের জন্য রয়েছে সালোয়ার-কামিজ, ফ্রক, টপস, স্কার্ট, কুর্তা ও প্যান্ট। ছেলে শিশুদের জন্য পাঞ্জাবি, ফতুয়া শার্ট, টি-শার্ট ও প্যান্ট। গরমের কথা চিন্তা করে মেয়ে শিশুদের ঈদ পোশাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে সালোয়ার-কামিজ ও ফ্রক। আরামদায়ক কাপড় ও নকশায় গুরুত্ব পেয়েছে প্রতিটি ঈদ পোশাক। নকশায় প্রাধান্য পাচ্ছে কারচুপি, অ্যামব্রয়ডারিসহ হাতের কাজ। আর শিশুদের জন্য বরাবরের মত বেছে নিতে পারেন উজ্জ্বল রং। এবারের ঈদ ফ্যাশনে ছেলে শিশুদের পাঞ্জাবিতে কাপড় হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে অ্যান্ডি, সিল্ক, মসলিন ও খাদি।

জেন্টল পার্কের চেয়ারম্যান ও চিফ ডিজাইনার শাহাদাৎ চৌধুরী বাবু জানান, “রুচিশীল ও ট্রেন্ডি পোশাক, প্যাটার্নে আনা হয়েছে ভিন্নতা, থাকছে দেশি ঘরানার ফিউশন। মজবুত টেইলরিং ও কাটের সাথে মানানসই করেই তৈরি হয়েছে শিশুদের পোশাক। শুধু ঈদ নয়, ঈদের পরপর বিয়েসহ নানা ধরনের অনুষ্ঠান থাকে। সে জন্য অনেকে একবারেই কেনাকাটার কাজটা সেরে নেন। তাই তেমন অনুষ্ঠানের কথা চিন্তা করেও শিশুদের কিছু পোশাকের নকশা করা হয়েছে। জেন্টল পার্কের জুনিয়র কো ব্র্যান্ড পাপপা- এর লেবেলে থাকছে কিডজ এর পাঞ্জাবি, কাবলি, শার্ট, পলো, ফ্রক বা কামিজসহ সকল ধরনের ঈদ পোশাক।”

শিশুদের ঈদ পোশাক
গরমের এই সময়ে শিশুদের পোশাকে যতটা আরাম রাখা যায়, সেই চিন্তা মাথায় রেখেই পোশাকের কাপড় ও নকশা নির্বাচন করা ভালো।
ছেলেশিশুদের জন্য ছোট হাতার শার্ট, গেঞ্জি, ছোট ও মাঝারি প্যান্ট ফ্যাশন হাউস ঘুরে দেখা গেছে। এক রঙের প্যান্টের পাশাপাশি আছে ব্লিচ করা ডেনিমের প্যান্ট। উৎসব ও আরামের কথা ভেবে এবার উজ্জ্বল ও হালকা দুই ধরনের পোশাকই দেখা গেছে। ছেলেশিশুদের পোশাকে সাদা, পেস্টাল ঘরানার রং, সাদার সঙ্গে হলুদ, নীলের ব্যবহার অনেক বেশি। ছেলেদের পোশাকে সব থেকে বেশি ব্যবহার হয়েছে সুতি, লিনেন, পাতলা খাদি ও গেঞ্জি কাপড়। ছোট হাতার ক্যাজুয়াল শার্ট, ফতুয়া, পায়জামা-পাঞ্জাবি, ক্যাজুয়াল গেঞ্জি, সবই পাওয়া যাবে। ছেলে বাচ্চাদের পোশাকে ছোট ছোট ব্লক, ফুলের প্রিন্ট, গাড়ি, ছোট ছোট কার্টুন থাকছে। একরঙা পাঞ্জাবি ছাড়াও পাতলা খাদি কাপড়ে চেকের ব্যবহার হয়েছে। পাঞ্জাবিজুড়ে এমব্রয়ডারি ছাড়াও নতুনত্ব আনতে বুকের এক পাশে অল্প করে কাজ করা হয়েছে।
শিশুদের জন্য এখন এক স্তরের পোশাকই বেশি আরামাদায়ক। এবার তাই দুই বা তিন স্তরের পোশাক দেখা যাচ্ছে একটু কম। প্রাকৃতিক তন্তু যেমন সুতি, হ্যান্ডলুম, লিনেন, তাঁত বা পাতলা খাদির পোশাক এবার পছন্দের তালিকায় প্রথমেই আসছে। এ ছাড়া সিল্ক, ভিসকস, সাটিন, অরগাঞ্জা, মসলিন, গিøটারি কাপড়, ডেনিম বা জর্জেটের মত কৃত্রিম তন্তু ব্যবহার করা হলেও তা যেন ছোট শিশুর জন্য হয় স্বস্তিদায়ক, সেদিকে রাখা হয়েছে বাড়তি নজর।
মেয়েশিশুদের ঈদের পোশাকে এবার এসেছে নতুন সব ধরন। ট্রেন্ডি টিউনিক, সালোয়ার কামিজ, ঘাগরা- চোলি, টপ-বটম, টপ-স্কার্ট, শর্ট টপ, কাফতান, থ্রি-পিস, ওয়ান শোল্ডার ফ্রক, ফ্রিল ফ্রক, দাওয়াতের ফ্রক, জাম্প স্যুট, ক্রপ টপ, কোল্ড শোল্ডার টপ, লেগিংস, পালাজ্জো, ধুতি স্টাইলের পায়জামা, সোজা কাটের প্যান্ট, শর্ট প্যান্টসহ আরও বেশ কিছু বৈচিত্র্য এসেছে। গরম বেশি থাকায় আরাম পেতে লম্বা হাতা বা বড় প্যান্ট না পরাই ভালো। তাই বেশির ভাগ পোশাকে রয়েছে ছোট হাতা। প্যান্টগুলো রাখা হয়েছে ঢিলেঢালা, যাতে সহজেই গায়ে বাতাস লাগে।
মেয়েদের কামিজের ঝুলে ও হাতায় উঁচুনিচু কাটিং, ফ্রিল, কুঁচির ব্যবহার হয়েছে নতুন আঙ্গিকে।
আড়ং, জেন্টল পার্ক, সেইলর, দেশীদশ, ক্লাব হাউস, শৈশব, লা রিভ, সহ আরও বেশ কিছু ফ্যাশন হাউস সেজেছে শিশুদের ঈদের পোশাকে।

শিশুদের পোশাক :
পাপপা ( জেন্টল পার্ক )

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়