সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে পাথওয়ের ইফতার বিতরণ

আগের সংবাদ

চ্যালেঞ্জে ভারসাম্যের কূটনীতি : ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে দুই পরাশক্তির চাপ, কোয়াড-আইপিএসে যোগ দিতে মার্কিন তাগিদ, চীনের মানা

পরের সংবাদ

ঈদের পোশাকেই সারাবছর

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ১৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মানুষের বেড়েছে কেনার সামর্থ্য। আর এই কেনার সামর্থ্যকে পুঁজি করে বেড়ে গেছে ঈদকেন্দ্রিক অর্থনৈতিক কর্মযজ্ঞ। বড় হচ্ছে ঈদের অর্থনীতিও। এবারের ঈদ যেহুতু গ্রীষ্মে তাই দেশের ফ্যাশন হাউসগুলোও পোশাকের নকশায় আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখেছে। এ ছাড়া উৎসব যেহেতু রঙিন, তাই উজ্জ্বল নকশার পোশাক এসেছে বাজারে। দেশি ও বিদেশি সংস্কৃতির ভাবধারা মাথায় রেখে পোশাকে ভিন্নতা আনার চেষ্টা করেছে ফ্যাশন হাউসগুলো।
নাজমুল হক ইমন

ফ্যাশন ট্রেন্ডে এখন প্যাশ্চাত্য এবং দেশীয় মোটিফ উৎসবে যেন পায় বৈচিত্র্যতা। তাই আসছে ঈদ ফ্যাশনে দেশি মোটিফের সঙ্গে চল এখন আন্তর্জাতিক মোটিফ, প্যাটার্ন, কাটিংয়ের। চলতি কাটিং, প্যাটার্নের সঙ্গে রঙে দেওয়া হয়েছে নজর। ঈদের পার্টি গাউনেও দেখা মিলবে এ ট্রেন্ডের। যে কোনো টপস বা কামিজের প্যাটার্ন এবং কাটিং ডিজাইন করা হয় দুই অংশে। বডি ও বটম। এই ঈদে ড্রেসের বডিতে ভিন্নতা তেমন পরিলক্ষিত না হলেও বটম কাটিংয়ের নতুনত্ব চোখে পড়ে। এবারের ঈদে বটম ও বডির বৈচিত্র্য সমান ভাবে দেখা যাবে।
দেশের ফ্যাশন হাউসগুলোয়ও ঈদের আগে গরমের পোশাক বিক্রি চলছে এখন। গরমের কারণে দেশের প্রকৃতি এখন নানা রঙে বর্ণিল। প্রকৃতির এই রঙের কারণেই আলাদা করে ঝলমলে রঙের পোশাক পরার দরকার পরে না। তাই পোশাকের রং কিছুটা হালকাই রাখেন ডিজাইনাররা। আর ঈদকে সামনে রেখে তাই পাঞ্জাবি ছাড়াও নতুন কেনা ক্যাজুয়াল পোশাকটি পরা যাবে সারা বছরই। মনে হচ্ছে কেমনে?
পাঞ্জাবি তো ঈদের দিনে একবেলা পরবেনই। আর বাকিটা সময়? সারাদিন ফুরফুরে থাকতে বেছে নিতে পারেন টি-শার্ট বা পোলো বা শার্টের মতো পোশাক। জিনস বা গ্যাবার্ডিন প্যান্টের সঙ্গে এগুলো মানিয়েই যাবে। কাটে-ছাঁটে নতুন এসব দিব্যি স্টাইলিশ দেখাবে আপনাকে।
ঈদ কালেকশন সম্পর্কে গ্রামীণ ইউনিক্লোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব নাজমুল হক বলেন, ‘ঈদে প্রতিবারই আমরা নতুন নতুন কালেকশন নিয়ে আসি। এবার আমরা কমফোর্টকে প্রাধাণ্য দিয়ে নতুন কালেকশন নিয়ে এসেছি। সবরকম ক্রেতাদের চাহিদাকে বিবেচনা করে আমরা ছেলে ও মেয়েদের বিভিন্ন রকম ডিজাইনের ও ফেব্রিকের পোশাক নিয়ে এসেছি। পোশাকের রং এর ক্ষেত্রেও এবার বৈচিত্র্য থাকবে। ঈদের এই উৎসবে পোশাকের মাধ্যমে আমরা আনন্দ ছড়িয়ে দিতে চায়। এদিকে মেয়েদের জন্য গ্রামীণ ইউনিক্লো -তে রয়েছে কারচুপি কাজ করা জর্জেট কামিজ এবং আরামদায়ক ভিসকস কামিজ। এছাড়াও প্রতিদিন পরিধানের জন্য রয়েছে বিভিন্ন রঙের এবং প্রিন্টের লং শার্ট, টপস এবং টিউনিকস। বটমস কালেকশন হিসেবে কামিজের জন্য রয়েছে এমব্রয়ডারি স্ক্যান্টস, পালাজ্জো, লেগিংস এবং প্রতিদিন ব্যবহারের জন্য আছে কাইতেকি প্যান্টস চিনো এবং কাইতেকি প্যান্টস (উল লাইক )। এসব রেডি টু ওয়ার আউটগোয়িং নারীদের স্ট্রিট ফ্যাশনে বছরজুড়েই দ্যূতি ছড়াবে।’ ফ্যাশন স্টোর ক্যাটস আই এর পরিচালক সাদিক কুদ্দুস বলেন, ‘ঈদে পাঞ্জাবি পরা হয় বড়জোড় দুপুর বা সন্ধ্যা রাত অবদি। বাকি সময় বা রাতের কোন দাওয়াতে গেলে পোলো, শার্টের চাহিদাও থাকে ঈদে। এবার যেমন গরমের কারণে রঙ এবং প্রিন্টের দিকে নজর দেয়া হয়েছে। প্যাটার্ন নিয়েও চলছে নানা ধরনের নিরীক্ষা। এছাড়াও এধরনের পোশাক ঈদ ছাড়াও সারা বছরই পরাও যায়। ইদানিং পলো টি-শার্ট এবং শার্টের ক্ষেত্রে এক কালার বেশ চলছে।’
ফ্যাশন হাউস জেন্টল পার্কের চেয়ারম্যান শাহাদৎ চৌধুরি বাবুর সঙ্গে কথা বলেও তেমনটা বোঝা গেল। তিনি বলেন, বিষয়টা কিন্তু এমন না; গরমে ছেলেদের পোশাকে শুধু সাদা রং চলছে। সব রঙের দেখা মিলবে গরমের পোশাকে। এতে গরমে এক ধরনের স্বস্তি পাওয়া যায়।
এবার আসি ঈদের পোশাকেই কেন সারা বছর। কেননা, সকাল শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়তে থাকে গরমের তীব্রতা। নানা কাজে ছুটতে হয় ঘরের বাইরে। প্রচণ্ড গরমে একদিকে যেমন চারপাশের সবকিছুতে অস্থির লাগে তেমনি ঘেমে নেয়ে একাকার হয় পুরো শরীর। এই প্রচণ্ড গরম থেকে ছেলেদের কিছুটা রেহাই পেতে তাই নজর দিতে হবে নিত্যদিনের পোশাকের দিকে। এ ধরনের পোশাক কিনলে ঈদের দুপুর বা রাত ছাড়াও তাই পরা যাবে সব সময়ই। এধরনের আবহাওয়ায় কেমন পোশাক পড়লে গরম কম লাগবে এবং পোশাকে কী কী বৈশিষ্ট্য থাকবে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

পোশাক : গ্রামীণ ইউনিক্লো

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়