বাইরের হাসপাতালও প্রস্তুত : রাজধানীর ৫ স্পটে কলেরার টিকা আগামী মাসে

আগের সংবাদ

ডায়রিয়া পরিস্থিতি এখনো নাজুক : ধীরে কমছে রোগী > ৩ প্রতিষ্ঠানের ঠেলাঠেলি > পরিস্থিতি মোকাবিলায় টিকা দেয়ার উদ্যোগ

পরের সংবাদ

বৈশাখের সাত গান

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

পুরনো বছরের সব জরাজীর্ণতাকে বিদায় জানিয়ে নতুনের আহ্বানে দুয়ারে হাজির বাংলা নববর্ষ-১৪২৯। ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে রমনার বটমূলে শুরু হয় ছায়ানটের বর্ষবরণের আয়োজন। গানে গানে নতুন বছরকে স্বাগত জানায় সবাই। বাংলা বর্ষবরণের সঙ্গে জড়িয়ে আছে অসংখ্য গান। শ্রোতাপ্রিয় সেসব গান নিয়ে আজকের আয়োজন। গ্রন্থনা : মেলা প্রতিবেদক

এসো হে বৈশাখ
বৈশাখের জনপ্রিয় গানের কথা বললে যে গানটি সবার আগে সামনে চলে আসে; সেটি নিঃসন্দেহে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো।’ দুই বাংলার মানুষের কাছেই এ গানটি ভীষণ প্রিয়। যদিও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পহেলা বৈশাখের কথা মাথায় রেখে এ গানটি রচনা করেননি। এটা মূলত বৈশাখ মাসের গান। বলা যায় বছরের প্রথম মাসের ঋতুবন্দনা করে তিনি এটি লিখেছিলেন। ‘ছায়ানট সঙ্গীত ভবন’ এর আয়োজনে প্রভাত অনুষ্ঠানে প্রথমবার গাওয়া হয়েছিল ‘এসো হে বৈশাখ’ গানটি।

মেলায় যাইরে মেলায় যাইরে
বর্ষবরণের আনন্দ আরেকটু বাড়িয়ে দিয়েছিল যে গানটি সেটি হলো ‘মেলায় যাইরে মেলায় যাইরে’। তুমুল জনপ্রিয় এ গানটি লেখা হয় ১৯৮৮ সালে। এটি লিখেন সংগীতশিল্পী মাকসুদুল হক।
গানটির সুর ও সঙ্গীত করেছেন ফিডব্যাক ব্যান্ড।
১৯৯০
সালে গানটি তাদের ‘মেলা’ অ্যালবামে প্রকাশ করে ফিডব্যাক ব্যান্ড। ১৯৮৮ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হলে ফিডব্যাকের প্রথম কনসার্ট হয়। সেই কনসার্টে প্রথমবার এই গানটি গাওয়া হয়। জানা যায়, গানটি তৈরি করতে দুই বছরেরও বেশি সময় লেগেছিল। এর কথাগুলো লিখতে সময় লেগেছে তিন মাস। আর সুর করতে সময় লাগে প্রায় আট মাস। নব্বই দশকের এ গানটি এত বছর পরও এখনো সমান জনপ্রিয়।

বৈশাখী শুভেচ্ছা নিও
জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী জেমসের গাওয়া ‘বৈশাখী শুভেচ্ছা নিও’ এ গানটি শুনেননি এরকম শ্রোতা খুঁজে পাওয়া মেলা ভার। এই গানটি গেয়ে অসংখ্যবার জেমস স্টেজ মাতিয়েছেন। গানটি লিখেন গীতিকার শফিক তুহিন। সুর ও সংগীত আয়োজনে ছিলেন প্রিন্স মাহমুদ। জেমসের ‘বৈশাখী শুভেচ্ছা নিও’ গানটি বর্ষবরণের আয়োজনে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে।

রমনার বটমূলে কথা হবে প্রাণ খুলে
২০০৬ সালে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী আসিফ আকবরের ‘রমনার বটমূলে কথা হবে প্রাণ খুলে’ গানটি প্রকাশিত হয়। গানটির কথা লিখেছেন কবির বকুল। সুর ও সংগীত করেছেন রাজেশ। গানটি কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবরের ক্যারিয়ারের অন্যতম শ্রোতাপ্রিয় গান এটি। এ গানটি শুনলেই চোখের সামনে ভেসে উঠে রমনা বটমূলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের চিরচেনা সে দৃশ্য। যে দৃশ্য হৃদয়ে উদ্বেলিত করে।
বাজেরে বাজে ঢোল আর ঢাক
ক্লোজআপ ওয়ান-খ্যাত কণ্ঠশিল্পী সোনিয়ার জনপ্রিয় গান ‘বাজেরে বাজে ঢোল আর ঢাক’ গানটি প্রকাশিত হয় ২০০৬ সালে। গানটি রিলিজের পর দর্শকের অভূতপূর্ব সাড়া মেলে। এ গানটির মাধ্যমে শ্রোতামহলে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন সোনিয়া। গানটি লিখেন কবির বকুল। শওকত আলী ইমন এটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেন।

আইলো রে
২০০৮ সালে কণ্ঠশিল্পী ইশতিয়াক হোসেইন বৈশাখ নিয়ে গাওয়া ‘আইলো রে’ গানটি প্রকাশ হয়। ২০০৮ সালে প্রকাশ পাওয়া এই গানটি ২০১৯ সালে নতুন করে চিত্রায়িত করেন ইশতিয়াক হোসেইন। তিনি নিজেই এই গানের সুর করেছেন। গানটির কথা লিখেছেন আসিফ ইফতেখার পিয়াস। সঙ্গীতায়োজন করেছেন মারুফ কামরুল হাসান। এটির মিউজিক ভিডিওটি পরিচালনা করেছেন সাঈদ আল নোমান সিয়াম। এত বছর পরও গানটির জনপ্রিয়তা এতটুকু কমেনি।

এলো বৈশাখ
পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ২০০৮ সালে ‘বালাম ফিচারিং জুলি’ অ্যালবাম প্রকাশিত হয়। সে অ্যালবামের অন্যতম একটি গান ছিল ‘এলো বৈশাখ’। গানটিতে কণ্ঠ দেন সঙ্গীতশিল্পী বালাম এবং তার বোন জুলি। এই গানটির কথা লিখেন টি আই অন্তর। সুর করেন বালাম নিজেই। গানটি প্রকাশের পর শ্রোতারা সাদরে গ্রহণ করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়