প্রকাশিত: এপ্রিল ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
বই মানুষের চিন্তাশক্তির উন্নতি ঘটায়। বই পড়ার নানা অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা হয় অভিনেত্রী ও মডেল কেয়া পায়েলের সঙ্গে।
সাক্ষাৎকার : রেজা শাহীন
ছেলেবেলার পাঠ
ছোটবেলা থেকে পাঠ্য বইয়ের চেয়ে বাইরের বইয়ের প্রতি আলাদা ঝোঁক ছিল। আমাদের স্কুল থেকে ‘স্মরণিকা’ বের হতো ওই স্মরণিকায় আমার লেখা কবিতা, গল্প ছাপা হতো। টুকটাক লেখার অভ্যাস গড়ে ওঠে তখন থেকেই। আমি যখন ক্লাস ৫ম কিংবা ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ি তখন থেকে মোটামুটি সব ধরনের বই পড়া শুরু করি। তবে গল্পের বই পড়তে আমার ভালো লাগত। তখন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, হুমায়ূন আহমেদ, ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, সমরেশ মজুমদার, মাইকেল মধুসূদন দত্ত-ওনাদের বই পড়েছি। এছাড়াও আরো অনেক লেখকের বই পড়া হয়েছে ছোটবেলায়। আমি নিজে বইয়ের দোকান থেকে বই কিনে পড়তাম। আমার একজন কাজিন ছিল ও প্রচুর বই পড়ত। ওর সংগ্রহে অনেক বই ছিল। প্রায় সময় আমি ওর থেকে বই নিয়ে পড়তাম। ওই কাজিনকে দেখেই মূলত বই পড়ার প্রতি আগ্রহ জন্মায়। প্রথম প্রথম বই পড়তে বোরিং লাগত। এক সময় বইয়ের প্রতি একটা নেশা তৈরি হয়।
সাম্প্রতিক পাঠ
ইদানীং বই পড়াটা হয়ে ওঠে না। শুটিংয়ে প্রচুর সময় দিতে হয়। এছাড়া নাটকের স্ক্রিপ্ট পড়তে পড়তে অনেক সময় চলে যায়। আমি ল’তে পড়ছি। এখন ফাইনাল ইয়ারে আছি। যেটুকু অবসর পাই ওই সময়টুকু আমার ল’য়ের সাবজেক্টর বইগুলো পড়তে হয়। তবে একেবারে যে বই পড়ি না তা কিন্তু না অবসর পেলে পড়ার চেষ্টা থাকে।
যে ধরনের বই পড়া হয় বেশি
আমার গল্পের বই পড়তে ভালো লাগে। আমি যখন স্কুলে পড়তাম তখন পাঠ্য বইয়ের গল্পগুলো পড়তে আমার ভীষণ ভালো লাগত। উপন্যাসও পড়া হয়। তবে উপন্যাস পড়তে গেলে অনেক সময়ের প্রয়োজন হয় সে কারণে উপন্যাস পড়ার আগ্রহটা তুলনামূলক কম। তাছাড়া উপন্যাস পড়তে গেলে দীর্ঘ সময় মনোযোগ ধরে রাখার একটা ব্যাপার থাকে। যে গল্পগুলোতে টুইস্ট থাকে, শেখার মতো কিছু থাকে, ওরকম গল্পগুলো পড়তে ভালো লাগে। ছোট গল্পের প্রতি আমার টানটা বেশি।
প্রিয় লেখক
পছন্দের লেখক অনেকেই আছেন। তবে সবচেয়ে বেশি প্রিয় লেখকের নাম যদি বলি তাহলে বলতে হবে, হুমায়ূন আহমেদ। ওনার লেখা অনেক বই আমি পড়েছি। সেই ছোটবেলা থেকেই ওনার লেখা আমার ভীষণ ভালো লাগে। হুমায়ূন আহমেদের লেখার সঙ্গে নিজেকে সহজে কানেক্ট করতে পারি। ওনার লেখা পড়ার সময় কখনো বোরিং লাগে না। ওনার লেখা পড়ার সময় মনে হয় আমি যেন আমার আশপাশে ঘটে যাওয়া কোনো সত্যি ঘটনা পড়ছি। হুমায়ূন আহমেদের লেখায় শেখার অনেক কিছু থাকে।
বইমেলার স্মৃতি
২০১৫ কিংবা ২০১৬ সালে আমি প্রথমবার বন্ধুদের সঙ্গে বইমেলায় গিয়েছি। এরপর আর বইমেলায় যাওয়ার সুযোগ হয়নি। গত ২ বছর তো করোনার কারণে তেমন একটা কোথাও যাওয়া হয় না। এবারের বইমেলায় যাওয়ার ইচ্ছে ছিল কিন্তু শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকায় যাওয়া হয় না। তবে সামনের বইমেলায় যাওয়ার ইচ্ছে আছে।
লেখালেখি
এক সময় লেখালেখির অভ্যাস ছিল। গল্প, কবিতা লেখা হতো। এখন লেখালেখি করার তেমন সময় হয় না। নাটকের কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হয়। আমার বই লেখার কোনো ইচ্ছে নেই। তবে নাটকের স্ক্রিপ্ট লেখার ইচ্ছে আছে।
কেন বই পড়ব
আমার মনে হয় প্রত্যেক মানুষেরই বই পড়া উচিত। বই পড়ে অনেক অজানা বিষয় জানা যায়। বই মানুষকে ধৈর্যশীল হতে সাহায্য করে। এছাড়া বই মানুষের মানসিক চাপ কমায়। বই পড়ার মাধ্যমে একজন মানুষ নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করতে পারে। বই মানুষের হতাশা দূর করে।
শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।